حم۝

٤٣:١

৪৩:১

43:1

হা মীম!^{—জহুরুল হক}
হা-মীম।^{—মুহিউদ্দীন খান}

Ha, Meem.^{—Saheeh International}

وَالْكِتَابِ الْمُبِينِ۝

٤٣:٢

৪৩:২

43:2

সুস্পষ্ট গ্রন্থখানা সন্বন্ধে ভেবে দেখো --^{—জহুরুল হক}
শপথ সুস্পষ্ট কিতাবের,^{—মুহিউদ্দীন খান}

By the clear Book,^{—Saheeh International}

إِنَّا جَعَلْنَاهُ قُرْآنًا عَرَبِيًّا لَعَلَّكُمْ تَعْقِلُونَ۝

٤٣:٣

৪৩:৩

43:3

নিঃসন্দেহ আমরা এটিকে এক আরবী ভাষণ করেছি যেন তোমরা বুঝতে পারো।^{—জহুরুল হক}
আমি একে করেছি কোরআন, আরবী ভাষায়, যাতে তোমরা বুঝ।^{—মুহিউদ্দীন খান}

Indeed, We have made it an Arabic Qur'an that you might understand.^{—Saheeh International}

وَإِنَّهُ فِي أُمِّ الْكِتَابِ لَدَيْنَا لَعَلِيٌّ حَكِيمٌ۝

٤٣:٤

৪৩:৪

43:4

আর নিঃসন্দেহ এটি রয়েছে আমাদের কাছে আদিগ্রন্থে, মহোচ্চ, জ্ঞানসমৃদ্ধ।^{—জহুরুল হক}
নিশ্চয় এ কোরআন আমার কাছে সমুন্নত অটল রয়েছে লওহে মাহফুযে।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And indeed it is, in the Mother of the Book with Us, exalted and full of wisdom.^{—Saheeh International}

أَفَنَضْرِبُ عَنْكُمُ الذِّكْرَ صَفْحًا أَنْ كُنْتُمْ قَوْمًا مُسْرِفِينَ۝

٤٣:٥

৪৩:৫

43:5

কী! আমরা কি তোমাদের থেকে স্মারক গ্রন্থখানা সর্বতোভাবে সরিয়ে নেব যেহেতু তোমরা হচ্ছ এক সীমালংঘনকারী জাতি?^{—জহুরুল হক}
তোমরা সীমাতিক্রমকারী সম্প্রদায়-এ কারণে কি আমি তোমাদের কাছ থেকে কোরআন প্রত্যাহার করে নেব?^{—মুহিউদ্দীন খান}

Then should We turn the message away, disregarding you, because you are a transgressing people?^{—Saheeh International}

وَكَمْ أَرْسَلْنَا مِنْ نَبِيٍّ فِي الْأَوَّلِينَ۝

٤٣:٦

৪৩:৬

43:6

আর নবীদের কতজনকে যে আমরা পূর্ববর্তীদের কাছে পাঠিয়েছিলাম?^{—জহুরুল হক}
পূর্ববর্তী লোকদের কাছে আমি অনেক রসূলই প্রেরণ করেছি।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And how many a prophet We sent among the former peoples,^{—Saheeh International}

وَمَا يَأْتِيهِمْ مِنْ نَبِيٍّ إِلَّا كَانُوا بِهِ يَسْتَهْزِئُونَ۝

٤٣:٧

৪৩:৭

43:7

আর নবীদের এমন কেউ তাদের কাছে আসেন নি যাঁকে তারা বিদ্রূপ না করত।^{—জহুরুল হক}
যখনই তাদের কাছে কোন রসূল আগমন করেছেন, তখনই তারা তাঁর সাথে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করেছে।^{—মুহিউদ্দীন খান}

But there would not come to them a prophet except that they used to ridicule him.^{—Saheeh International}

فَأَهْلَكْنَا أَشَدَّ مِنْهُمْ بَطْشًا وَمَضَىٰ مَثَلُ الْأَوَّلِينَ۝

٤٣:٨

৪৩:৮

43:8

তারপর এদের চাইতে বলবীর্যে বেশী শক্তিশালীদেরও আমরা ধ্বংস করেছিলাম, আর পূর্ববর্তীদের দৃষ্টান্ত অতীতে রয়েছে।^{—জহুরুল হক}
সুতরাং আমি তাদের চেয়ে অধিক শক্তি সম্পন্নদেরকে ধ্বংস করে দিয়েছি। পূর্ববর্তীদের এ ঘটনা অতীত হয়ে গেছে।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And We destroyed greater than them in [striking] power, and the example of the former peoples has preceded.^{—Saheeh International}

وَلَئِنْ سَأَلْتَهُمْ مَنْ خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ لَيَقُولُنَّ خَلَقَهُنَّ الْعَزِيزُ الْعَلِيمُ۝

٤٣:٩

৪৩:৯

43:9

আর তুমি যদি তাদের জিজ্ঞাসা কর -- ''কে মহাকাশমন্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন?’’ -- তারা নিশ্চয়ই বলবে -- ''এগুলো সৃষ্টি করেছেন মহাশক্তিশালী সর্বজ্ঞাতা --^{—জহুরুল হক}
আপনি যদি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করেন কে নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডল সৃষ্টি করেছে? তারা অবশ্যই বলবে, এগুলো সৃষ্টি করেছেন পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞ আল্লাহ।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And if you should ask them, "Who has created the heavens and the earth?" they would surely say, "They were created by the Exalted in Might, the Knowing."^{—Saheeh International}

الَّذِي جَعَلَ لَكُمُ الْأَرْضَ مَهْدًا وَجَعَلَ لَكُمْ فِيهَا سُبُلًا لَعَلَّكُمْ تَهْتَدُونَ۝

٤٣:١٠

৪৩:১০

43:10

যিনি তোমাদের জন্য পৃথিবীকে করেছেন এক খাটিয়া, আর এতে তৈরী করেছেন তোমাদের কারণে পথসমূহ, যাতে তোমরা পথের দিশা পেতে পার,^{—জহুরুল হক}
যিনি তোমাদের জন্যে পৃথিবীকে করেছেন বিছানা এবং তাতে তোমাদের জন্যে করেছেন পথ, যাতে তোমরা গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে পার।^{—মুহিউদ্দীন খান}

[The one] who has made for you the earth a bed and made for you upon it roads that you might be guided^{—Saheeh International}

وَالَّذِي نَزَّلَ مِنَ السَّمَاءِ مَاءً بِقَدَرٍ فَأَنْشَرْنَا بِهِ بَلْدَةً مَيْتًا ۚ كَذَٰلِكَ تُخْرَجُونَ۝

٤٣:١١

৪৩:১১

43:11

আর যিনি আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেন পরিমাপ মতো, তারপর তা দিয়ে আমরা প্রাণবন্ত করি মৃত দেশকে, এইভাবেই তোমাদের পুনরুত্থিত করা হবে।^{—জহুরুল হক}
এবং যিনি আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেছেন পরিমিত। আতঃপর তদ্দ্বারা আমি মৃত ভূ-ভাগকে পুনরুজ্জীবিত করেছি। তোমরা এমনিভাবে উত্থিত হবে।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And who sends down rain from the sky in measured amounts, and We revive thereby a dead land - thus will you be brought forth -^{—Saheeh International}

وَالَّذِي خَلَقَ الْأَزْوَاجَ كُلَّهَا وَجَعَلَ لَكُمْ مِنَ الْفُلْكِ وَالْأَنْعَامِ مَا تَرْكَبُونَ۝

٤٣:١٢

৪৩:১২

43:12

আর যিনি সমস্ত-কিছু জোড়ায়-জোড়ায় সৃষ্টি করেছেন, আর তোমাদের জন্য নৌকা-জাহাজ ও গবাদি-পশুর মধ্যে বানিয়েছেন সেগুলো যা তোমরা চড়ো, --^{—জহুরুল হক}
এবং যিনি সবকিছুর যুগল সৃষ্টি করেছেন এবং নৌকা ও চতুস্পদ জন্তুকে তোমাদের জন্যে যানবাহনে পরিণত করেছেন,^{—মুহিউদ্দীন খান}

And who created the species, all of them, and has made for you of ships and animals those which you mount.^{—Saheeh International}

لِتَسْتَوُوا عَلَىٰ ظُهُورِهِ ثُمَّ تَذْكُرُوا نِعْمَةَ رَبِّكُمْ إِذَا اسْتَوَيْتُمْ عَلَيْهِ وَتَقُولُوا سُبْحَانَ الَّذِي سَخَّرَ لَنَا هَـٰذَا وَمَا كُنَّا لَهُ مُقْرِنِينَ۝

٤٣:١٣

৪৩:১৩

43:13

যেন তোমরা তাদের পিঠের উপরে মজবুত হয়ে বসতে পার, তারপর তোমাদের প্রভুর অনুগ্রহ স্মরণ করো যখন তোমরা তাদের উপরে বস, আর বলো -- ''সকল মহিমা তাঁর যিনি এদের আমাদের বশ করেছেন, অথচ আমরা এতে সমর্থ ছিলাম না,^{—জহুরুল হক}
যাতে তোমরা তাদের পিঠের উপর আরোহণ কর। অতঃপর তোমাদের পালনকর্তার নেয়ামত স্মরণ কর এবং বল পবিত্র তিনি, যিনি এদেরকে আমাদের বশীভূত করে দিয়েছেন এবং আমরা এদেরকে বশীভূত করতে সক্ষম ছিলাম না।^{—মুহিউদ্দীন খান}

That you may settle yourselves upon their backs and then remember the favor of your Lord when you have settled upon them and say. "Exalted is He who has subjected this to us, and we could not have [otherwise] subdued it.^{—Saheeh International}

وَإِنَّا إِلَىٰ رَبِّنَا لَمُنْقَلِبُونَ۝

٤٣:١٤

৪৩:১৪

43:14

''আর অবশ্য আমরা আমাদের প্রভুর দিকেই তো ফিরে যাব।’’^{—জহুরুল হক}
আমরা অবশ্যই আমাদের পালনকর্তার দিকে ফিরে যাব।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And indeed we, to our Lord, will [surely] return."^{—Saheeh International}

وَجَعَلُوا لَهُ مِنْ عِبَادِهِ جُزْءًا ۚ إِنَّ الْإِنْسَانَ لَكَفُورٌ مُبِينٌ۝

٤٣:١٥

৪৩:১৫

43:15

তথাপি তারা তাঁর বান্দাদের মধ্যে থেকে তাঁর সঙ্গে অংশীদার বানিয়েছে। নিঃসন্দেহ মানুষ তো স্পষ্টই অকৃতজ্ঞ।^{—জহুরুল হক}
তারা আল্লাহর বান্দাদের মধ্য থেকে আল্লাহর অংশ স্থির করেছে। বাস্তবিক মানুষ স্পষ্ট অকৃতজ্ঞ।^{—মুহিউদ্দীন খান}

But they have attributed to Him from His servants a portion. Indeed, man is clearly ungrateful.^{—Saheeh International}

أَمِ اتَّخَذَ مِمَّا يَخْلُقُ بَنَاتٍ وَأَصْفَاكُمْ بِالْبَنِينَ۝

٤٣:١٦

৪৩:১৬

43:16

তিনি যা সৃষ্টি করেছেন তার মধ্যে থেকে কি তিনি কন্যাদের গ্রহণ করেছেন আর তোমাদের জন্য নির্ধারিত করেছেন পুত্রদের?^{—জহুরুল হক}
তিনি কি তাঁর সৃষ্টি থেকে কন্যা সন্তান গ্রহণ করেছেন এবং তোমাদের জন্য মনোনীত করেছেন পুত্র সন্তান?^{—মুহিউদ্দীন খান}

Or has He taken, out of what He has created, daughters and chosen you for [having] sons?^{—Saheeh International}

وَإِذَا بُشِّرَ أَحَدُهُمْ بِمَا ضَرَبَ لِلرَّحْمَـٰنِ مَثَلًا ظَلَّ وَجْهُهُ مُسْوَدًّا وَهُوَ كَظِيمٌ۝

٤٣:١٧

৪৩:১৭

43:17

আর যখন তাদের কাউকে সুসংবাদ দেওয়া হয় তাই দিয়ে যার দৃষ্টান্ত সে স্থাপন করে পরম করুণাময়ের প্রতি, তার চেহারা তখন কালো হয়ে যায় আর সে অতিমাত্রায় ক্ষুদ্ধ্ব হয়।^{—জহুরুল হক}
তারা রহমান আল্লাহর জন্যে যে, কন্যা-সন্তান বর্ণনা করে, যখন তাদের কাউকে তার সংবাদ দেয়া হয়, তখন তার মুখমন্ডল কালো হয়ে যায় এবং ভীষণ মনস্তাপ ভোগ করে।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And when one of them is given good tidings of that which he attributes to the Most Merciful in comparison, his face becomes dark, and he suppresses grief.^{—Saheeh International}

أَوَمَنْ يُنَشَّأُ فِي الْحِلْيَةِ وَهُوَ فِي الْخِصَامِ غَيْرُ مُبِينٍ۝

٤٣:١٨

৪৩:১৮

43:18

তবে কি যে গহনাগাটিতে রক্ষিত আর যে বিতর্ককালে স্পষ্টবাদিতা বিহীন?^{—জহুরুল হক}
তারা কি এমন ব্যক্তিকে আল্লাহর জন্যে বর্ণনা করে, যে অলংকারে লালিত-পালিত হয় এবং বিতর্কে কথা বলতে অক্ষম।^{—মুহিউদ্দীন খান}

So is one brought up in ornaments while being during conflict unevident [attributed to Allah]?^{—Saheeh International}

وَجَعَلُوا الْمَلَائِكَةَ الَّذِينَ هُمْ عِبَادُ الرَّحْمَـٰنِ إِنَاثًا ۚ أَشَهِدُوا خَلْقَهُمْ ۚ سَتُكْتَبُ شَهَادَتُهُمْ وَيُسْأَلُونَ۝

٤٣:١٩

৪৩:১৯

43:19

আর তারা ফিরিশতাদের, যারা খোদ পরম করুণাময়ের দাস, কন্যা বানায়। কী! এদের সৃষ্টি কি তারা দেখেছিল? তাদের সাক্ষ্য শীঘ্রই লিপিবদ্ধ করা হবে এবং তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।^{—জহুরুল হক}
তারা নারী স্থির করে ফেরেশতাগণকে, যারা আল্লাহর বান্দা। তারা কি তাদের সৃষ্টি প্রত্যক্ষ করেছে? এখন তাদের দাবী লিপিবদ্ধ করা হবে এবং তাদের জিজ্ঞাসা করা হবে।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And they have made the angels, who are servants of the Most Merciful, females. Did they witness their creation? Their testimony will be recorded, and they will be questioned.^{—Saheeh International}

وَقَالُوا لَوْ شَاءَ الرَّحْمَـٰنُ مَا عَبَدْنَاهُمْ ۗ مَا لَهُمْ بِذَٰلِكَ مِنْ عِلْمٍ ۖ إِنْ هُمْ إِلَّا يَخْرُصُونَ۝

٤٣:٢٠

৪৩:২০

43:20

আর তারা বলে -- ''পরম করুণাময় যদি চাইতেন তবে আমরা এ-সবের উপাসনা করতাম না।’’ তাদের এ ব্যাপারে কোনো জ্ঞান নেই, তারা তো শুধু ঝুটা আন্দাজই করছে।^{—জহুরুল হক}
তারা বলে, রহমান আল্লাহ ইচছা না করলে আমরা ওদের পূজা করতাম না। এ বিষয়ে তারা কিছুই জানে না। তারা কেবল অনুমানে কথা বলে।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And they said, "If the Most Merciful had willed, we would not have worshipped them." They have of that no knowledge. They are not but falsifying.^{—Saheeh International}

أَمْ آتَيْنَاهُمْ كِتَابًا مِنْ قَبْلِهِ فَهُمْ بِهِ مُسْتَمْسِكُونَ۝

٤٣:٢١

৪৩:২১

43:21

অথবা তাদের কি এর আগে আমরা কোনো গ্রন্থ দিয়েছি, ফলে তারা তাতে আকঁড়ে রয়েছে?^{—জহুরুল হক}
আমি কি তাদেরকে কোরআনের পূর্বে কোন কিতাব দিয়েছি, অতঃপর তারা তাকে আঁকড়ে রেখেছে?^{—মুহিউদ্দীন খান}

Or have We given them a book before the Qur'an to which they are adhering?^{—Saheeh International}

بَلْ قَالُوا إِنَّا وَجَدْنَا آبَاءَنَا عَلَىٰ أُمَّةٍ وَإِنَّا عَلَىٰ آثَارِهِمْ مُهْتَدُونَ۝

٤٣:٢٢

৪৩:২২

43:22

না, তারা বলে -- ''আমরা তো আমাদের পিতৃপুরুষদের একটি সম্প্রদায়ভুক্ত পেয়েছি, আর আমরা নিঃসন্দেহে তাদেরই পদচিহ্নের উপরে পরিচালিত হয়েছি।’’^{—জহুরুল হক}
বরং তারা বলে, আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদেরকে পেয়েছি এক পথের পথিক এবং আমরা তাদেরই পদাংক অনুসরণ করে পথপ্রাপ্ত।^{—মুহিউদ্দীন খান}

Rather, they say, "Indeed, we found our fathers upon a religion, and we are in their footsteps [rightly] guided."^{—Saheeh International}

وَكَذَٰلِكَ مَا أَرْسَلْنَا مِنْ قَبْلِكَ فِي قَرْيَةٍ مِنْ نَذِيرٍ إِلَّا قَالَ مُتْرَفُوهَا إِنَّا وَجَدْنَا آبَاءَنَا عَلَىٰ أُمَّةٍ وَإِنَّا عَلَىٰ آثَارِهِمْ مُقْتَدُونَ۝

٤٣:٢٣

৪৩:২৩

43:23

আর এইভাবেই তোমার আগে কোনো জনপদে আমরা সতর্ককারীদের কাউকেও পাঠাই নি, যার বড়লোকেরা না বলেছে -- ''আমরা নিশ্চয়ই আমাদের পিতৃপুরুষদের একটি সম্প্রদায়ভুক্ত পেয়েছি, আর আমরা আলবৎ তাদেরই পদাংকের অনুসারী।’’^{—জহুরুল হক}
এমনিভাবে আপনার পূর্বে আমি যখন কোন জনপদে কোন সতর্ককারী প্রেরণ করেছি, তখনই তাদের বিত্তশালীরা বলেছে, আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদেরকে পেয়েছি এক পথের পথিক এবং আমরা তাদেরই পদাংক অনুসরণ করে চলছি।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And similarly, We did not send before you any warner into a city except that its affluent said, "Indeed, we found our fathers upon a religion, and we are, in their footsteps, following."^{—Saheeh International}

قَالَ أَوَلَوْ جِئْتُكُمْ بِأَهْدَىٰ مِمَّا وَجَدْتُمْ عَلَيْهِ آبَاءَكُمْ ۖ قَالُوا إِنَّا بِمَا أُرْسِلْتُمْ بِهِ كَافِرُونَ۝

٤٣:٢٤

৪৩:২৪

43:24

তিনি বলেছিলেন -- ''কী! যদিও আমি তোমাদের কাছে তার চাইতেও ভালো পথনির্দেশ নিয়ে এসেছি যার উপরে তোমরা তোমাদের পিতৃপুরুষদের পেয়েছিলে?’’ তারা বললে, ''তোমাদের যা দিয়ে পাঠানো হয়েছে আমরা তাতে নিশ্চয়ই অবিশ্বাসী।^{—জহুরুল হক}
সে বলত, তোমরা তোমাদের পূর্বপুরুষদেরকে যে বিষয়ের উপর পেয়েছ, আমি যদি তদপেক্ষা উত্তম বিষয় নিয়ে তোমাদের কাছে এসে থাকি, তবুও কি তোমরা তাই বলবে? তারা বলত তোমরা যে বিষয়সহ প্রেরিত হয়েছ, তা আমরা মানব না।^{—মুহিউদ্দীন খান}

[Each warner] said, "Even if I brought you better guidance than that [religion] upon which you found your fathers?" They said, "Indeed we, in that with which you were sent, are disbelievers."^{—Saheeh International}

فَانْتَقَمْنَا مِنْهُمْ ۖ فَانْظُرْ كَيْفَ كَانَ عَاقِبَةُ الْمُكَذِّبِينَ۝

٤٣:٢٥

৪৩:২৫

43:25

সুতরাং আমরা তাদের পরিণতি দিয়েছিলাম, অতএব চেয়ে দেখো -- কেমন হয়েছিল মিথ্যাচারীদের পরিণাম!^{—জহুরুল হক}
অতঃপর আমি তাদের কাছ থেকে প্রতিশোধ নিয়েছি। অতএব দেখুন, মিথ্যারোপকারীদের পরিণাম কিরূপ হয়েছে।^{—মুহিউদ্দীন খান}

So we took retribution from them; then see how was the end of the deniers.^{—Saheeh International}

وَإِذْ قَالَ إِبْرَاهِيمُ لِأَبِيهِ وَقَوْمِهِ إِنَّنِي بَرَاءٌ مِمَّا تَعْبُدُونَ۝

٤٣:٢٦

৪৩:২৬

43:26

আর স্মরণ করো! ইব্রাহীম তাঁর পিতৃকে ও তাঁর স্বজাতিকে বললেন, ''তোমরা যার পূজা কর তা থেকে আমি অবশ্যই মুক্ত,^{—জহুরুল হক}
যখন ইব্রাহীম তার পিতা ও সম্প্রদায়কে বলল, তোমরা যাদের পূজা কর, তাদের সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And [mention, O Muhammad], when Abraham said to his father and his people, "Indeed, I am disassociated from that which you worship^{—Saheeh International}

إِلَّا الَّذِي فَطَرَنِي فَإِنَّهُ سَيَهْدِينِ۝

٤٣:٢٧

৪৩:২৭

43:27

''তাঁকে ব্যতীত যিনি আমাকে আদিতে সৃষ্টি করেছেন, কাজেই নিশ্চয় তিনি শীঘ্রই আমাকে পথ দেখাবেন।’’^{—জহুরুল হক}
তবে আমার সম্পর্ক তাঁর সাথে যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন। অতএব, তিনিই আমাকে সৎপথ প্রদর্শন করবেন।^{—মুহিউদ্দীন খান}

Except for He who created me; and indeed, He will guide me."^{—Saheeh International}

وَجَعَلَهَا كَلِمَةً بَاقِيَةً فِي عَقِبِهِ لَعَلَّهُمْ يَرْجِعُونَ۝

٤٣:٢٨

৪৩:২৮

43:28

আর তিনি এটিকে তাঁর বংশধরদের মধ্যে একটি চিরন্তন বাণী বানিয়েছিলেন, যেন তারা ফিরতে পারে।^{—জহুরুল হক}
এ কথাটিকে সে অক্ষয় বাণীরূপে তার সন্তানদের মধ্যে রেখে গেছে, যাতে তারা আল্লাহর দিকেই আকৃষ্ট থাকে।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And he made it a word remaining among his descendants that they might return [to it].^{—Saheeh International}

بَلْ مَتَّعْتُ هَـٰؤُلَاءِ وَآبَاءَهُمْ حَتَّىٰ جَاءَهُمُ الْحَقُّ وَرَسُولٌ مُبِينٌ۝

٤٣:٢٩

৪৩:২৯

43:29

বস্তুতঃ আমি এদের ও এদের পূর্বপুরুষদের উপভোগ করতে দিয়েছিলাম, যে পর্যন্ত না তাদের কাছে এসেছিল মহাসত্য ও একজন স্পষ্ট প্রতীয়মান রসূল।^{—জহুরুল হক}
পরন্ত আমিই এদেরকে ও এদের পূর্বপুরুষদেরকে জীবনোপভোগ করতে দিয়েছি, অবশেষে তাদের কাছে সত্য ও স্পষ্ট বর্ণনাকারী রসূল আগমন করেছে।^{—মুহিউদ্দীন খান}

However, I gave enjoyment to these [people of Makkah] and their fathers until there came to them the truth and a clear Messenger.^{—Saheeh International}

وَلَمَّا جَاءَهُمُ الْحَقُّ قَالُوا هَـٰذَا سِحْرٌ وَإِنَّا بِهِ كَافِرُونَ۝

٤٣:٣٠

৪৩:৩০

43:30

আর এখন যেহেতু তাদের কাছে মহাসত্য এসেই গেছে, তারা বলছে, ''এ এক জাদু, আর আমরা অবশ্যই এতে অবিশ্বাসী।’’^{—জহুরুল হক}
যখন সত্য তাদের কাছে আগমন করল, তখন তারা বলল, এটা যাদু, আমরা একে মানি না।^{—মুহিউদ্দীন খান}

But when the truth came to them, they said, "This is magic, and indeed we are, concerning it, disbelievers."^{—Saheeh International}

وَقَالُوا لَوْلَا نُزِّلَ هَـٰذَا الْقُرْآنُ عَلَىٰ رَجُلٍ مِنَ الْقَرْيَتَيْنِ عَظِيمٍ۝

٤٣:٣١

৪৩:৩১

43:31

আর তারা বলে, ''এই কুরআনখানা দুটো জনপদের মধ্যের কোনো এক প্রভাবশালী ব্যক্তির কাছে কেন অবতীর্ণ হল না?’’^{—জহুরুল হক}
তারা বলে, কোরআন কেন দুই জনপদের কোন প্রধান ব্যক্তির উপর অবতীর্ণ হল না?^{—মুহিউদ্দীন খান}

And they said, "Why was this Qur'an not sent down upon a great man from [one of] the two cities?"^{—Saheeh International}

أَهُمْ يَقْسِمُونَ رَحْمَتَ رَبِّكَ ۚ نَحْنُ قَسَمْنَا بَيْنَهُمْ مَعِيشَتَهُمْ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا ۚ وَرَفَعْنَا بَعْضَهُمْ فَوْقَ بَعْضٍ دَرَجَاتٍ لِيَتَّخِذَ بَعْضُهُمْ بَعْضًا سُخْرِيًّا ۗ وَرَحْمَتُ رَبِّكَ خَيْرٌ مِمَّا يَجْمَعُونَ۝

٤٣:٣٢

৪৩:৩২

43:32

তারাই কি তোমার প্রভুর করুণা ভাগ-বাঁটা করে? আমরাই এই দুনিয়ার জীবনে তাদের জীবিকা তাদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা করে দিই, এবং তাদের কাউকে অপরের উপরে মর্যাদায় উন্নত করি, যেন তাদের কেউ-কেউ অপরকে সেবারত করে নিতে পারে। আর তোমার প্রভুর করুণা বেশি ভাল তার চাইতে যা তারা জমা করে।^{—জহুরুল হক}
তারা কি আপনার পালনকর্তার রহমত বন্টন করে? আমি তাদের মধ্যে তাদের জীবিকা বন্টন করেছি পার্থিব জীবনে এবং একের মর্যাদাকে অপরের উপর উন্নীত করেছি, যাতে একে অপরকে সেবক রূপে গ্রহণ করে। তারা যা সঞ্চয় করে, আপনার পালনকর্তার রহমত তদপেক্ষা উত্তম।^{—মুহিউদ্দীন খান}

Do they distribute the mercy of your Lord? It is We who have apportioned among them their livelihood in the life of this world and have raised some of them above others in degrees [of rank] that they may make use of one another for service. But the mercy of your Lord is better than whatever they accumulate.^{—Saheeh International}

وَلَوْلَا أَنْ يَكُونَ النَّاسُ أُمَّةً وَاحِدَةً لَجَعَلْنَا لِمَنْ يَكْفُرُ بِالرَّحْمَـٰنِ لِبُيُوتِهِمْ سُقُفًا مِنْ فِضَّةٍ وَمَعَارِجَ عَلَيْهَا يَظْهَرُونَ۝

٤٣:٣٣

৪৩:৩৩

43:33

আর মানুষ যদি একই সম্প্রদায়ের হয়ে না যেতো তাহলে যারা পরম করুণাময়কে অস্বীকার করে তাদের জন্য আমরা নিশ্চয় বানাতাম -- তাদের ঘরগুলোর জন্য রূপোর ছাদ ও সিড়ি যাঁ দিয়ে তারা ওঠে,^{—জহুরুল হক}
যদি সব মানুষের এক মতাবলম্বী হয়ে যাওয়ার আশংকা না থাকত, তবে যারা দয়াময় আল্লাহকে অস্বীকার করে আমি তাদেরকে দিতাম তাদের গৃহের জন্যে রৌপ্য নির্মিত ছাদ ও সিঁড়ি, যার উপর তারা চড়ত।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And if it were not that the people would become one community [of disbelievers], We would have made for those who disbelieve in the Most Merciful - for their houses - ceilings and stairways of silver upon which to mount^{—Saheeh International}

وَلِبُيُوتِهِمْ أَبْوَابًا وَسُرُرًا عَلَيْهَا يَتَّكِئُونَ۝

٤٣:٣٤

৪৩:৩৪

43:34

আর তাদের ঘরবাড়ির জন্য দরজাগুলো ও পালংক যার উপরে তারা শয়ন করে,^{—জহুরুল হক}
এবং তাদের গৃহের জন্যে দরজা দিতাম এবং পালংক দিতাম যাতে তারা হেলান দিয়ে বসত।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And for their houses - doors and couches [of silver] upon which to recline^{—Saheeh International}

وَزُخْرُفًا ۚ وَإِنْ كُلُّ ذَٰلِكَ لَمَّا مَتَاعُ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا ۚ وَالْآخِرَةُ عِنْدَ رَبِّكَ لِلْمُتَّقِينَ۝

٤٣:٣٥

৪৩:৩৫

43:35

আর সোনাদানা। আর এ সমস্তই এই দুনিয়ার জীবনের ভোগসম্ভার বৈ তো নয়। আর পরকাল তোমার প্রভুর কাছে ধর্মভীরুদের জন্যেই।^{—জহুরুল হক}
এবং স্বর্ণনির্মিতও দিতাম। এগুলো সবই তো পার্থিব জীবনের ভোগ সামগ্রী মাত্র। আর পরকাল আপনার পালনকর্তার কাছে তাঁদের জন্যেই যারা ভয় করে।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And gold ornament. But all that is not but the enjoyment of worldly life. And the Hereafter with your Lord is for the righteous.^{—Saheeh International}

وَمَنْ يَعْشُ عَنْ ذِكْرِ الرَّحْمَـٰنِ نُقَيِّضْ لَهُ شَيْطَانًا فَهُوَ لَهُ قَرِينٌ۝

٤٣:٣٦

৪৩:৩৬

43:36

আর যে পরম করুণাময়ের স্মরণ থেকে বেখেয়াল হয় তার জন্য আমরা ধার্য করি একজন শয়তান, ফলে সে হয় তার জন্য একটি সহচর।^{—জহুরুল হক}
যে ব্যক্তি দয়াময় আল্লাহর স্মরণ থেকে চোখ ফিরিয়ে নেয়, আমি তার জন্যে এক শয়তান নিয়োজিত করে দেই, অতঃপর সে-ই হয় তার সঙ্গী।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And whoever is blinded from remembrance of the Most Merciful - We appoint for him a devil, and he is to him a companion.^{—Saheeh International}

وَإِنَّهُمْ لَيَصُدُّونَهُمْ عَنِ السَّبِيلِ وَيَحْسَبُونَ أَنَّهُمْ مُهْتَدُونَ۝

٤٣:٣٧

৪৩:৩৭

43:37

আর নিঃসন্দেহ তারা তাদের পথ থেকে অবশ্যই ফিরিয়ে রাখে, অথচ তারা মনে করে যে তারা সৎপথে চালিত হচ্ছে, --^{—জহুরুল হক}
শয়তানরাই মানুষকে সৎপথে বাধা দান করে, আর মানুষ মনে করে যে, তারা সৎপথে রয়েছে।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And indeed, the devils avert them from the way [of guidance] while they think that they are [rightly] guided^{—Saheeh International}

حَتَّىٰ إِذَا جَاءَنَا قَالَ يَا لَيْتَ بَيْنِي وَبَيْنَكَ بُعْدَ الْمَشْرِقَيْنِ فَبِئْسَ الْقَرِينُ۝

٤٣:٣٨

৪৩:৩৮

43:38

যে পর্যন্ত না সে আমাদের কাছে আসে তখন সে বলবে -- ''হায় আফসোস! আমার মধ্যে ও তোমার মধ্যে যদি দূরত্ব হতো দুটি পূর্বাঞ্চলের! সুতরাং কত নিকৃষ্ট সহচর!’’^{—জহুরুল হক}
অবশেষে যখন সে আমার কাছে আসবে, তখন সে শয়তানকে বলবে, হায়, আমার ও তোমার মধ্যে যদি পূর্ব-পশ্চিমের দূরত্ব থাকত। কত হীন সঙ্গী সে।^{—মুহিউদ্দীন খান}

Until, when he comes to Us [at Judgement], he says [to his companion], "Oh, I wish there was between me and you the distance between the east and west - how wretched a companion."^{—Saheeh International}

وَلَنْ يَنْفَعَكُمُ الْيَوْمَ إِذْ ظَلَمْتُمْ أَنَّكُمْ فِي الْعَذَابِ مُشْتَرِكُونَ۝

٤٣:٣٩

৪৩:৩৯

43:39

আর -- ''যেহেতু তোমরা অন্যায়াচরণ করেছিলে তাই শাস্তিভোগের মধ্যে তোমরা অংশীদার হওয়া সত্ত্বেওে আজকের দিনে তোমাদের কোনো ফায়দা হবে না।’’^{—জহুরুল হক}
তোমরা যখন কুফর করছিলে, তখন তোমাদের আজকের আযাবে শরীক হওয়া কোন কাজে আসবে না।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And never will it benefit you that Day, when you have wronged, that you are [all] sharing in the punishment.^{—Saheeh International}

أَفَأَنْتَ تُسْمِعُ الصُّمَّ أَوْ تَهْدِي الْعُمْيَ وَمَنْ كَانَ فِي ضَلَالٍ مُبِينٍ۝

٤٣:٤٠

৪৩:৪০

43:40

কি! তুমি কি তবে বধিরকে শোনাতে পারবে, অথবা অন্ধকে এবং যে স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে রয়েছে তাকে পথ দেখাতে পারবে?^{—জহুরুল হক}
আপনি কি বধিরকে শোনাতে পারবেন? অথবা যে অন্ধ ও যে স্পষ্ট পথ ভ্রষ্টতায় লিপ্ত, তাকে পথ প্রদর্শণ করতে পারবেন?^{—মুহিউদ্দীন খান}

Then will you make the deaf hear, [O Muhammad], or guide the blind or he who is in clear error?^{—Saheeh International}

فَإِمَّا نَذْهَبَنَّ بِكَ فَإِنَّا مِنْهُمْ مُنْتَقِمُونَ۝

٤٣:٤١

৪৩:৪১

43:41

কিন্ত আমরা যদি তোমাকে নিয়ে নিই, আমরা তবুও তাদের থেকে শেষ-পরিণতি আদায় করব,^{—জহুরুল হক}
অতঃপর আমি যদি আপনাকে নিয়ে যাই, তবু আমি তাদের কাছে থেকে প্রতিশোধ নেব।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And whether [or not] We take you away [in death], indeed, We will take retribution upon them.^{—Saheeh International}

أَوْ نُرِيَنَّكَ الَّذِي وَعَدْنَاهُمْ فَإِنَّا عَلَيْهِمْ مُقْتَدِرُونَ۝

٤٣:٤٢

৪৩:৪২

43:42

অথবা আমরা নিশ্চয় তোমাকে দেখিয়ে দেব যা আমরা তাদের ওয়াদা করেছিলাম, কেননা আমরা আলবৎ তাদের উপরে ক্ষমতাবান।^{—জহুরুল হক}
অথবা যদি আমি তাদেরকে যে আযাবের ওয়াদা দিয়েছি, তা আপনাকে দেখিয়ে দেই, তবু তাদের উপর আমার পূর্ণ ক্ষমতা রয়েছে।^{—মুহিউদ্দীন খান}

Or whether [or not] We show you that which We have promised them, indeed, We are Perfect in Ability.^{—Saheeh International}

فَاسْتَمْسِكْ بِالَّذِي أُوحِيَ إِلَيْكَ ۖ إِنَّكَ عَلَىٰ صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ۝

٤٣:٤٣

৪৩:৪৩

43:43

সেজন্য তোমার কাছে যা প্রত্যাদেশ দেওয়া হচ্ছে তাতে আঁকড়ে ধরো। নিঃসন্দেহ তুমি সরল-সঠিক পথের উপরে রয়েছো।^{—জহুরুল হক}
অতএব, আপনার প্রতি যে ওহী নাযিল করা হয়, তা দৃঢ়ভাবে অবলম্বন করুন। নিঃসন্দেহে আপনি সরল পথে রয়েছেন।^{—মুহিউদ্দীন খান}

So adhere to that which is revealed to you. Indeed, you are on a straight path.^{—Saheeh International}

وَإِنَّهُ لَذِكْرٌ لَكَ وَلِقَوْمِكَ ۖ وَسَوْفَ تُسْأَلُونَ۝

٤٣:٤٤

৪৩:৪৪

43:44

আর এইটি নিশ্চয়ই তো একটি স্মরণীয় গ্রন্থ তোমার জন্য ও তোমার লোকদের জন্য, আর শীঘ্রই তোমাদের জিজ্ঞাসা করা হবে।^{—জহুরুল হক}
এটা আপনার ও আপনার সম্প্রদায়ের জন্যে উল্লেখিত থাকবে এবং শীঘ্রই আপনারা জিজ্ঞাসিত হবেন।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And indeed, it is a remembrance for you and your people, and you [all] are going to be questioned.^{—Saheeh International}

وَاسْأَلْ مَنْ أَرْسَلْنَا مِنْ قَبْلِكَ مِنْ رُسُلِنَا أَجَعَلْنَا مِنْ دُونِ الرَّحْمَـٰنِ آلِهَةً يُعْبَدُونَ۝

٤٣:٤٥

৪৩:৪৫

43:45

আর তোমার আগে আমাদের রসূলদের মধ্যের যাঁদের আমরা পাঠিয়েছিলাম তাঁদের জিজ্ঞেস করো -- আমরা কি পরম করুণাময়কে বাদ দিয়ে উপাসনার জন্য উপাস্যদের দাঁড় করিয়েছিলাম?^{—জহুরুল হক}
আপনার পূর্বে আমি যেসব রসূল প্রেরণ করেছি, তাদেরকে জিজ্ঞেস করুন, দয়াময় আল্লাহ ব্যতীত আমি কি কোন উপাস্য স্থির করেছিলাম এবাদতের জন্যে?^{—মুহিউদ্দীন খান}

And ask those We sent before you of Our messengers; have We made besides the Most Merciful deities to be worshipped?^{—Saheeh International}

وَلَقَدْ أَرْسَلْنَا مُوسَىٰ بِآيَاتِنَا إِلَىٰ فِرْعَوْنَ وَمَلَئِهِ فَقَالَ إِنِّي رَسُولُ رَبِّ الْعَالَمِينَ۝

٤٣:٤٦

৪৩:৪৬

43:46

আর আমরা নিশ্চয় মূসাকে আমাদের নির্দেশাবলী দিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম ফির'আউন ও তার প্রধানদের কাছে, কাজেই তিনি বলেছিলেন -- ''আমি নিশ্চয় বিশ্বজগতের প্রভুর বাণীবাহক।’’^{—জহুরুল হক}
আমি মূসাকে আমার নিদর্শনাবলী দিয়ে ফেরাউন ও তার পরিষদবর্গের কাছে প্রেরণ করেছিলাম, অতঃপর সে বলেছিল, আমি বিশ্ব পালনকর্তার রসূল।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And certainly did We send Moses with Our signs to Pharaoh and his establishment, and he said, "Indeed, I am the messenger of the Lord of the worlds."^{—Saheeh International}

فَلَمَّا جَاءَهُمْ بِآيَاتِنَا إِذَا هُمْ مِنْهَا يَضْحَكُونَ۝

٤٣:٤٧

৪৩:৪৭

43:47

কিন্ত যখন তিনি আমাদের নির্দেশাবলী নিয়ে তাদের কাছে এলেন তখন দেখো, তারা এসব নিয়ে হাসিঠাট্টা করতে লাগল।^{—জহুরুল হক}
অতঃপর সে যখন তাদের কাছে আমার নিদর্শনাবলী উপস্থাপন করল, তখন তারা হাস্যবিদ্রুপ করতে লাগল।^{—মুহিউদ্দীন খান}

But when he brought them Our signs, at once they laughed at them.^{—Saheeh International}

وَمَا نُرِيهِمْ مِنْ آيَةٍ إِلَّا هِيَ أَكْبَرُ مِنْ أُخْتِهَا ۖ وَأَخَذْنَاهُمْ بِالْعَذَابِ لَعَلَّهُمْ يَرْجِعُونَ۝

٤٣:٤٨

৪৩:৪৮

43:48

আর আমরা তাদের এমন কোনো নিদর্শন দেখাই নি যা ছিল না তার ভগিনী থেকে আরো বড়, আর আমরা তাদের পাকড়াও করেছিলাম শাস্তি দিয়ে যেন তারা ফিরে আসে।^{—জহুরুল হক}
আমি তাদেরকে যে নিদর্শনই দেখাতাম, তাই হত পূর্ববর্তী নিদর্শন অপেক্ষা বৃহৎ এবং আমি তাদেরকে শাস্তি দ্বারা পাকড়াও করলাম, যাতে তারা ফিরে আসে।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And We showed them not a sign except that it was greater than its sister, and We seized them with affliction that perhaps they might return [to faith].^{—Saheeh International}

وَقَالُوا يَا أَيُّهَ السَّاحِرُ ادْعُ لَنَا رَبَّكَ بِمَا عَهِدَ عِنْدَكَ إِنَّنَا لَمُهْتَدُونَ۝

٤٣:٤٩

৪৩:৪৯

43:49

আর তারা বলেছিল -- ''ওহে জাদুকর! তোমার প্রভুকে আমাদের জন্য ডাকো যেমন তিনি তোমার কাছে অংগীকার করেছিলেন, আমরা অবশ্যই তখন সৎপথাবলন্বী হব।’’^{—জহুরুল হক}
তারা বলল, হে যাদুকর, তুমি আমাদের জন্যে তোমার পালনকর্তার কাছে সে বিষয় প্রার্থনা কর, যার ওয়াদা তিনি তোমাকে দিয়েছেন; আমরা অবশ্যই সৎপথ অবলম্বন করব।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And they said [to Moses], "O magician, invoke for us your Lord by what He has promised you. Indeed, we will be guided."^{—Saheeh International}

فَلَمَّا كَشَفْنَا عَنْهُمُ الْعَذَابَ إِذَا هُمْ يَنْكُثُونَ۝

٤٣:٥٠

৪৩:৫০

43:50

তারপর আমরা যখন তাদের থেকে শাস্তিটা সরিয়ে নিলাম তখন দেখো! তারা অংগীকার ভঙ্গ করে বসল।^{—জহুরুল হক}
অতঃপর যখন আমি তাদের থেকে আযাব প্রত্যাহার করে নিলাম, তখনই তারা অঙ্গীকার ভঙ্গ করতে লাগলো।^{—মুহিউদ্দীন খান}

But when We removed from them the affliction, at once they broke their word.^{—Saheeh International}

وَنَادَىٰ فِرْعَوْنُ فِي قَوْمِهِ قَالَ يَا قَوْمِ أَلَيْسَ لِي مُلْكُ مِصْرَ وَهَـٰذِهِ الْأَنْهَارُ تَجْرِي مِنْ تَحْتِي ۖ أَفَلَا تُبْصِرُونَ۝

٤٣:٥١

৪৩:৫১

43:51

আর ফির'আউন তার লোকদলের মধ্যে ঘোষণা করে বললে -- ''হে আমার স্বজাতি! মিশরের রাজ্য কি আমার নয়, আর এইসব নদনদী যা আমার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে? তোমরা কি তবে দেখতে পাচ্ছ না?^{—জহুরুল হক}
ফেরাউন তার সম্প্রদায়কে ডেকে বলল, হে আমার কওম, আমি কি মিসরের অধিপতি নই? এই নদী গুলো আমার নিম্নদেশে প্রবাহিত হয়, তোমরা কি দেখ না?^{—মুহিউদ্দীন খান}

And Pharaoh called out among his people; he said, "O my people, does not the kingdom of Egypt belong to me, and these rivers flowing beneath me; then do you not see?^{—Saheeh International}

أَمْ أَنَا خَيْرٌ مِنْ هَـٰذَا الَّذِي هُوَ مَهِينٌ وَلَا يَكَادُ يُبِينُ۝

٤٣:٥٢

৪৩:৫২

43:52

''বস্তুতঃ আমি বেশি ভাল এর চেয়ে যে স্বয়ং হীন-ঘৃণ্য, ও স্পষ্টবাদিতার যার ক্ষমতা নেই।^{—জহুরুল হক}
আমি যে শ্রেষ্ট এ ব্যক্তি থেকে, যে নীচ এবং কথা বলতেও সক্ষম নয়।^{—মুহিউদ্দীন খান}

Or am I [not] better than this one who is insignificant and hardly makes himself clear?^{—Saheeh International}

فَلَوْلَا أُلْقِيَ عَلَيْهِ أَسْوِرَةٌ مِنْ ذَهَبٍ أَوْ جَاءَ مَعَهُ الْمَلَائِكَةُ مُقْتَرِنِينَ۝

٤٣:٥٣

৪৩:৫৩

43:53

''তবে কেন সোনার কঙ্কন তার প্রতি ছোড়া হল না, অথবা তার সঙ্গে কেন ফিরিশতারা এল না সারিবদ্ধভাবে।’’^{—জহুরুল হক}
তাকে কেন স্বর্ণবলয় পরিধান করানো হল না, অথবা কেন আসল না তার সঙ্গে ফেরেশতাগণ দল বেঁধে?^{—মুহিউদ্দীন খান}

Then why have there not been placed upon him bracelets of gold or come with him the angels in conjunction?"^{—Saheeh International}

فَاسْتَخَفَّ قَوْمَهُ فَأَطَاعُوهُ ۚ إِنَّهُمْ كَانُوا قَوْمًا فَاسِقِينَ۝

٤٣:٥٤

৪৩:৫৪

43:54

এইভাবে সে তার স্বজাতিকে ধাপ্পা দিয়েছিল, ফলে তারা তাকে মেনে চলল। নিঃসন্দেহ তারা ছিল সীমালংঘনকারী জাতি।^{—জহুরুল হক}
অতঃপর সে তার সম্প্রদায়কে বোকা বানিয়ে দিল, ফলে তারা তার কথা মেনে নিল। নিশ্চয় তারা ছিল পাপাচারী সম্প্রদায়।^{—মুহিউদ্দীন খান}

So he bluffed his people, and they obeyed him. Indeed, they were [themselves] a people defiantly disobedient [of Allah].^{—Saheeh International}

فَلَمَّا آسَفُونَا انْتَقَمْنَا مِنْهُمْ فَأَغْرَقْنَاهُمْ أَجْمَعِينَ۝

٤٣:٥٥

৪৩:৫৫

43:55

অতএব তারা যখন আমাদের রাগিয়ে তুললো তখন আমরা তাদের থেকে শেষ-পরিণতি গ্রহণ করলাম, ফলে তাদের একসঙ্গে ডুবিয়ে দিয়েছিলাম।^{—জহুরুল হক}
অতঃপর যখন আমাকে রাগাম্বিত করল তখন আমি তাদের কাছ থেকে প্রতিশোধ নিলাম এবং নিমজ্জত করলাম। তাদের সবাইকে।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And when they angered Us, We took retribution from them and drowned them all.^{—Saheeh International}

فَجَعَلْنَاهُمْ سَلَفًا وَمَثَلًا لِلْآخِرِينَ۝

٤٣:٥٦

৪৩:৫৬

43:56

সুতরাং আমরা তাদের বানিয়ে দিয়েছিলাম এক অতীত ইতিহাস এবং পরবর্তীদের জন্য এক দৃষ্টান্ত।^{—জহুরুল হক}
অতঃপর আমি তাদেরকে করে দিলাম অতীত লোক ও দৃষ্টান্ত পরবর্তীদের জন্যে।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And We made them a precedent and an example for the later peoples.^{—Saheeh International}

وَلَمَّا ضُرِبَ ابْنُ مَرْيَمَ مَثَلًا إِذَا قَوْمُكَ مِنْهُ يَصِدُّونَ۝

٤٣:٥٧

৪৩:৫৭

43:57

আর যখন মরিয়মের পুত্রের দৃষ্টান্ত ছোঁড়া হয় তখন দেখো, তোমার স্বজাতি তাতে শোরগোল তোলে।^{—জহুরুল হক}
যখনই মরিয়ম তনয়ের দৃষ্টান্ত বর্ণনা করা হল, তখনই আপনার সম্প্রদায় হঞ্জগোল শুরু করে দিল^{—মুহিউদ্দীন খান}

And when the son of Mary was presented as an example, immediately your people laughed aloud.^{—Saheeh International}

وَقَالُوا أَآلِهَتُنَا خَيْرٌ أَمْ هُوَ ۚ مَا ضَرَبُوهُ لَكَ إِلَّا جَدَلًا ۚ بَلْ هُمْ قَوْمٌ خَصِمُونَ۝

٤٣:٥٨

৪৩:৫৮

43:58

আর তারা বলে -- ''আমাদের দেবদেবীরা অধিকতর ভাল, না সে? তারা তোমার কাছে এ কথা তোলে না তর্কবিতর্ক করার জন্যে ব্যতীত? বস্তুত তারা হচ্ছে বিবাদপ্রিয় জাতি।^{—জহুরুল হক}
এবং বলল, আমাদের উপাস্যরা শ্রেষ্ঠ, না সে? তারা আপনার সামনে যে উদাহরণ উপস্থাপন করে তা কেবল বিতর্কের জন্যেই করে। বস্তুতঃ তারা হল এক বিতর্ককারী সম্প্রদায়।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And they said, "Are your gods better, or is he?" They did not present the comparison except for [mere] argument. But, [in fact], they are a people prone to dispute.^{—Saheeh International}

إِنْ هُوَ إِلَّا عَبْدٌ أَنْعَمْنَا عَلَيْهِ وَجَعَلْنَاهُ مَثَلًا لِبَنِي إِسْرَائِيلَ۝

٤٣:٥٩

৪৩:৫৯

43:59

তিনি একজন বান্দা বৈ তো নন যাঁর প্রতি আমরা অনুগ্রহ করেছি, এবং তাঁকে আমরা ইসরাঈলের বংশধরদের জন্য আদর্শস্বরূপ বানিয়েছিলাম।^{—জহুরুল হক}
সে তো এক বান্দাই বটে আমি তার প্রতি অনুগ্রহ করেছি এবং তাকে করেছি বণী-ইসরাঈলের জন্যে আদর্শ।^{—মুহিউদ্দীন খান}

Jesus was not but a servant upon whom We bestowed favor, and We made him an example for the Children of Israel.^{—Saheeh International}

وَلَوْ نَشَاءُ لَجَعَلْنَا مِنْكُمْ مَلَائِكَةً فِي الْأَرْضِ يَخْلُفُونَ۝

٤٣:٦٠

৪৩:৬০

43:60

আর আমরা যদি চাইতাম তবে নিশ্চয়ই আমরা তোমাদের মধ্যে ফিরিশ্‌তাদের নিয়োগ করতাম পৃথিবীতে প্রতিনিধি হবার জন্য!^{—জহুরুল হক}
আমি ইচ্ছা করলে তোমাদের থেকে ফেরেশতা সৃষ্টি করতাম, যারা পৃথিবীতে একের পর এক বসবাস করত।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And if We willed, We could have made [instead] of you angels succeeding [one another] on the earth.^{—Saheeh International}

وَإِنَّهُ لَعِلْمٌ لِلسَّاعَةِ فَلَا تَمْتَرُنَّ بِهَا وَاتَّبِعُونِ ۚ هَـٰذَا صِرَاطٌ مُسْتَقِيمٌ۝

٤٣:٦١

৪৩:৬১

43:61

আর নিঃসন্দেহ এ-ই হচ্ছে ঘড়িধন্টা সন্বন্ধে নিশ্চিত জ্ঞান; সুতরাং এ-সন্বন্ধে তোমরা সন্দেহ করো না, আর আমাকে অনুসরণ করো। এটিই হচ্ছে সহজ-সঠিক পথ।^{—জহুরুল হক}
সুতরাং তা হল কেয়ামতের নিদর্শন। কাজেই তোমরা কেয়ামতে সন্দেহ করো না এবং আমার কথা মান। এটা এক সরল পথ।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And indeed, Jesus will be [a sign for] knowledge of the Hour, so be not in doubt of it, and follow Me. This is a straight path.^{—Saheeh International}

وَلَا يَصُدَّنَّكُمُ الشَّيْطَانُ ۖ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُبِينٌ۝

٤٣:٦٢

৪৩:৬২

43:62

আর শয়তান যেন তোমাদের কিছুতেই ফিরিয়ে না দেয়, নিঃসন্দেহ সে হচ্ছে তোমাদের জন্য প্রকাশ্য শত্রু।^{—জহুরুল হক}
শয়তান যেন তোমাদেরকে নিবৃত্ত না করে। সে তোমাদের প্রকাশ্য শুত্রু।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And never let Satan avert you. Indeed, he is to you a clear enemy.^{—Saheeh International}

وَلَمَّا جَاءَ عِيسَىٰ بِالْبَيِّنَاتِ قَالَ قَدْ جِئْتُكُمْ بِالْحِكْمَةِ وَلِأُبَيِّنَ لَكُمْ بَعْضَ الَّذِي تَخْتَلِفُونَ فِيهِ ۖ فَاتَّقُوا اللَّهَ وَأَطِيعُونِ۝

٤٣:٦٣

৪৩:৬৩

43:63

আর যখন ঈসা স্পষ্ট প্রমাণাবলী নিয়ে এলেন তখন তিনি বললেন -- ''আমি তোমাদের কাছে জ্ঞান নিয়ে এসেছি, আর তোমরা যে-সব বিষয়ে মতভেদ করছ তার কোনো কোনোটি তোমাদের জন্য সুস্পষ্ট করে দিতে, সুতরাং তোমরা আল্লাহ্‌কে ভয়-ভক্তি করো ও আমাকে মেনে চল।^{—জহুরুল হক}
ঈসা যখন স্পষ্ট নিদর্শনসহ আগমন করল, তখন বলল, আমি তোমাদের কাছে প্রজ্ঞা নিয়ে এসেছি এবং তোমরা যে, কোন কোন বিষয়ে মতভেদ করছ তা ব্যক্ত করার জন্যে এসেছি, অতএব, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার কথা মান।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And when Jesus brought clear proofs, he said, "I have come to you with wisdom and to make clear to you some of that over which you differ, so fear Allah and obey me.^{—Saheeh International}

إِنَّ اللَّهَ هُوَ رَبِّي وَرَبُّكُمْ فَاعْبُدُوهُ ۚ هَـٰذَا صِرَاطٌ مُسْتَقِيمٌ۝

٤٣:٦٤

৪৩:৬৪

43:64

''নিঃসন্দেহ আল্লাহ্ -- তিনি আমার প্রভু ও তোমাদেরও প্রভু, সেজন্য তাঁরই উপাসনা কর। এটিই সহজ-সঠিক পথ।’’^{—জহুরুল হক}
নিশ্চয় আল্লাহই আমার পালনকর্তা ও তোমাদের পালনকর্তা। অতএব, তাঁর এবাদত কর। এটা হল সরল পথ।^{—মুহিউদ্দীন খান}

Indeed, Allah is my Lord and your Lord, so worship Him. This is a straight path."^{—Saheeh International}

فَاخْتَلَفَ الْأَحْزَابُ مِنْ بَيْنِهِمْ ۖ فَوَيْلٌ لِلَّذِينَ ظَلَمُوا مِنْ عَذَابِ يَوْمٍ أَلِيمٍ۝

٤٣:٦٥

৪৩:৬৫

43:65

কিন্ত বিভিন্ন দল নিজেদের মধ্যে মতভেদ সৃষ্টি করল, কাজেই ধিক্ তাদের প্রতি যারা অন্যায়াচরণ করেছিল -- এক মর্মন্তুদ দিনের শাস্তির কারণে!^{—জহুরুল হক}
অতঃপর তাদের মধ্যে থেকে বিভিন্ন দল মতভেদ সৃষ্টি করল। সুতরাং যালেমদের জন্যে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক দিবসের আযাবের দুর্ভোগ।^{—মুহিউদ্দীন খান}

But the denominations from among them differed [and separated], so woe to those who have wronged from the punishment of a painful Day.^{—Saheeh International}

هَلْ يَنْظُرُونَ إِلَّا السَّاعَةَ أَنْ تَأْتِيَهُمْ بَغْتَةً وَهُمْ لَا يَشْعُرُونَ۝

٤٣:٦٦

৪৩:৬৬

43:66

তারা কি চেয়ে রয়েছে শুধু ঘড়িঘান্টার জন্য যেন তাদের উপরে এটি এসে পড়ে আকস্মিকভাবে যখন তারা টেরও না পায়।^{—জহুরুল হক}
তারা কেবল কেয়ামতেরই অপেক্ষা করছে যে, আকস্মিকভাবে তাদের কাছে এসে যাবে এবং তারা খবর ও রাখবে না।^{—মুহিউদ্দীন খান}

Are they waiting except for the Hour to come upon them suddenly while they perceive not?^{—Saheeh International}

الْأَخِلَّاءُ يَوْمَئِذٍ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ عَدُوٌّ إِلَّا الْمُتَّقِينَ۝

٤٣:٦٧

৪৩:৬৭

43:67

সেইদিন বন্ধুরা -- তাদের কেউ-কেউ অপরের শত্রু হয়ে পড়বে, তবে ধর্মপরায়ণরা ব্যতীত।^{—জহুরুল হক}
বন্ধুবর্গ সেদিন একে অপরের শত্রু হবে, তবে খোদাভীরুরা নয়।^{—মুহিউদ্দীন খান}

Close friends, that Day, will be enemies to each other, except for the righteous^{—Saheeh International}

يَا عِبَادِ لَا خَوْفٌ عَلَيْكُمُ الْيَوْمَ وَلَا أَنْتُمْ تَحْزَنُونَ۝

٤٣:٦٨

৪৩:৬৮

43:68

''হে আমার বান্দারা! আজকের দিনে তোমাদের জন্য কোনো ভয় নেই আর তোমরা দুঃখও করবে না, --^{—জহুরুল হক}
হে আমার বান্দাগণ, তোমাদের আজ কোন ভয় নেই এবং তোমরা দুঃখিতও হবে না।^{—মুহিউদ্দীন খান}

[To whom Allah will say], "O My servants, no fear will there be concerning you this Day, nor will you grieve,^{—Saheeh International}

الَّذِينَ آمَنُوا بِآيَاتِنَا وَكَانُوا مُسْلِمِينَ۝

٤٣:٦٩

৪৩:৬৯

43:69

''যারা আমাদের নির্দেশাবলীতে বিশ্বাস করেছিলে এবং মুসলিম হয়েছিলে, --^{—জহুরুল হক}
তোমরা আমার আয়াতসমূহে বিশ্বাস স্থাপন করেছিলে এবং তোমরা আজ্ঞাবহ ছিলে।^{—মুহিউদ্দীন খান}

[You] who believed in Our verses and were Muslims.^{—Saheeh International}

ادْخُلُوا الْجَنَّةَ أَنْتُمْ وَأَزْوَاجُكُمْ تُحْبَرُونَ۝

٤٣:٧٠

৪৩:৭০

43:70

''তোমরা বেহেশতে প্রবেশ করো -- তোমরা ও তোমাদের সঙ্গিনীরা তোমাদের আনন্দিত করা হবে।’’^{—জহুরুল হক}
জান্নাতের প্রবেশ কর তোমরা এবং তোমাদের বিবিগণ সানন্দে।^{—মুহিউদ্দীন খান}

Enter Paradise, you and your kinds, delighted."^{—Saheeh International}

يُطَافُ عَلَيْهِمْ بِصِحَافٍ مِنْ ذَهَبٍ وَأَكْوَابٍ ۖ وَفِيهَا مَا تَشْتَهِيهِ الْأَنْفُسُ وَتَلَذُّ الْأَعْيُنُ ۖ وَأَنْتُمْ فِيهَا خَالِدُونَ۝

٤٣:٧١

৪৩:৭১

43:71

তাদের সামনে পরিবেশন করা হবে সোনার খাঞ্চা ও পানপাত্র, আর তাতে থাকবে যা অন্তর কামনা করে ও চোখ তৃপ্ত হয়, আর তোমরা তাতে স্থায়ীভাবে অবস্থান করবে।^{—জহুরুল হক}
তাদের কাছে পরিবেশন করা হবে স্বর্ণের থালা ও পানপাত্র এবং তথায় রয়েছে মনে যা চায় এবং নয়ন যাতে তৃপ্ত হয়। তোমরা তথায় চিরকাল অবস্থান করবে।^{—মুহিউদ্দীন খান}

Circulated among them will be plates and vessels of gold. And therein is whatever the souls desire and [what] delights the eyes, and you will abide therein eternally.^{—Saheeh International}

وَتِلْكَ الْجَنَّةُ الَّتِي أُورِثْتُمُوهَا بِمَا كُنْتُمْ تَعْمَلُونَ۝

٤٣:٧٢

৪৩:৭২

43:72

আর এইটিই সেই জান্নাত, তোমাদের এটি উত্তরাধিকার করতে দেওয়া হয়েছে তোমরা যা করতে তার জন্যে।^{—জহুরুল হক}
এই যে, জান্নাতের উত্তরাধিকারী তোমরা হয়েছ, এটা তোমাদের কর্মের ফল।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And that is Paradise which you are made to inherit for what you used to do.^{—Saheeh International}

لَكُمْ فِيهَا فَاكِهَةٌ كَثِيرَةٌ مِنْهَا تَأْكُلُونَ۝

٤٣:٧٣

৪৩:৭৩

43:73

তোমাদের জন্য সেখানে রয়েছে প্রচুর ফলমূল, তা থেকে তোমরা আহার করবে।^{—জহুরুল হক}
তথায় তোমাদের জন্যে আছে প্রচুর ফল-মূল, তা থেকে তোমরা আহার করবে।^{—মুহিউদ্দীন খান}

For you therein is much fruit from which you will eat.^{—Saheeh International}

إِنَّ الْمُجْرِمِينَ فِي عَذَابِ جَهَنَّمَ خَالِدُونَ۝

٤٣:٧٤

৪৩:৭৪

43:74

অপরাধীরা নিশ্চয় জাহান্নামের শাস্তির মধ্যে অবস্থান করবে,^{—জহুরুল হক}
নিশ্চয় অপরাধীরা জাহান্নামের আযাবে চিরকাল থাকবে।^{—মুহিউদ্দীন খান}

Indeed, the criminals will be in the punishment of Hell, abiding eternally.^{—Saheeh International}

لَا يُفَتَّرُ عَنْهُمْ وَهُمْ فِيهِ مُبْلِسُونَ۝

٤٣:٧٥

৪৩:৭৫

43:75

তাদের থেকে তা লাঘব করা হবে না, আর তাতে তারা হতাশ হয়ে পড়বে।^{—জহুরুল হক}
তাদের থেকে আযাব লাঘব করা হবে না এবং তারা তাতেই থাকবে হতাশ হয়ে।^{—মুহিউদ্দীন খান}

It will not be allowed to subside for them, and they, therein, are in despair.^{—Saheeh International}

وَمَا ظَلَمْنَاهُمْ وَلَـٰكِنْ كَانُوا هُمُ الظَّالِمِينَ۝

٤٣:٧٦

৪৩:৭৬

43:76

আর আমরা তাদের প্রতি অন্যায় করি নি, বরঞ্চ তারা নিজেরাই অন্যায় করেছিল।^{—জহুরুল হক}
আমি তাদের প্রতি জুলুম করিনি; কিন্তু তারাই ছিল জালেম।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And We did not wrong them, but it was they who were the wrongdoers.^{—Saheeh International}

وَنَادَوْا يَا مَالِكُ لِيَقْضِ عَلَيْنَا رَبُّكَ ۖ قَالَ إِنَّكُمْ مَاكِثُونَ۝۝

٤٣:٧٧

৪৩:৭৭

43:77

আর তারা ডেকে বলবে -- ''হে মালিক! তোমার প্রভু আমাদের নিঃশেষ করে ফেলুন।’’ সে বলবে -- ''তোমরা নিশ্চয় অপেক্ষা করবে।’’^{—জহুরুল হক}
তারা ডেকে বলবে, হে মালেক, পালনকর্তা আমাদের কিসসাই শেষ করে দিন। সে বলবে, নিশ্চয় তোমরা চিরকাল থাকবে।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And they will call, "O Malik, let your Lord put an end to us!" He will say, "Indeed, you will remain."^{—Saheeh International}

لَقَدْ جِئْنَاكُمْ بِالْحَقِّ وَلَـٰكِنَّ أَكْثَرَكُمْ لِلْحَقِّ كَارِهُونَ۝

٤٣:٧٨

৪৩:৭৮

43:78

''আমরা তো তোমাদের কাছে সত্য নিয়েই এসেছিলাম, কিন্ত তোমাদের অধিকাংশই সত্যের প্রতি বিমুখ ছিলে।’’^{—জহুরুল হক}
আমি তোমাদের কাছে সত্যধর্ম পৌঁছিয়েছি; কিন্তু তোমাদের অধিকাংশই সত্যধর্মে নিস্পৃহ!^{—মুহিউদ্দীন খান}

We had certainly brought you the truth, but most of you, to the truth, were averse.^{—Saheeh International}

أَمْ أَبْرَمُوا أَمْرًا فَإِنَّا مُبْرِمُونَ۝

٤٣:٧٩

৪৩:৭৯

43:79

অথবা তারা কি কোনো ব্যাপারে সিদ্ধান্ত করে ফেলেছে? কিন্ত বাস্তবে আমরাই সিদ্ধান্তকারী।^{—জহুরুল হক}
তারা কি কোন ব্যবস্থা চুড়ান্ত করেছে? তাহলে আমিও এক ব্যবস্থা চুড়ান্ত করেছি।^{—মুহিউদ্দীন খান}

Or have they devised [some] affair? But indeed, We are devising [a plan].^{—Saheeh International}

أَمْ يَحْسَبُونَ أَنَّا لَا نَسْمَعُ سِرَّهُمْ وَنَجْوَاهُمْ ۚ بَلَىٰ وَرُسُلُنَا لَدَيْهِمْ يَكْتُبُونَ۝

٤٣:٨٠

৪৩:৮০

43:80

অথবা তারা কি মনে করে যে আমরা তাদের লুকোনো বিষয় ও তাদের গোপন আলোচনা শুনি না? অবশ্যই, আর আমাদের দূতরা তাদের সঙ্গে থেকে লিখে চলেছে।^{—জহুরুল হক}
তারা কি মনে করে যে, আমি তাদের গোপন বিষয় ও গোপন পরামর্শ শুনি না? হঁ্যা, শুনি। আমার ফেরেশতাগণ তাদের নিকটে থেকে লিপিবদ্ধ করে।^{—মুহিউদ্দীন খান}

Or do they think that We hear not their secrets and their private conversations? Yes, [We do], and Our messengers are with them recording.^{—Saheeh International}

قُلْ إِنْ كَانَ لِلرَّحْمَـٰنِ وَلَدٌ فَأَنَا أَوَّلُ الْعَابِدِينَ۝

٤٣:٨١

৪৩:৮১

43:81

তুমি বলো -- ''যদি পরম করুণাময়ের কোনো সন্তান থাকত তবে আমিই হচ্ছি উপাসনাকারীদের মধ্যে অগ্রণী।’’^{—জহুরুল হক}
বলুন, দয়াময় আল্লাহর কোন সন্তান থাকলে আমি সর্ব প্রথম তার এবাদত করব।^{—মুহিউদ্দীন খান}

Say, [O Muhammad], "If the Most Merciful had a son, then I would be the first of [his] worshippers."^{—Saheeh International}

سُبْحَانَ رَبِّ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ رَبِّ الْعَرْشِ عَمَّا يَصِفُونَ۝

٤٣:٨٢

৪৩:৮২

43:82

সকল মহিমা হোক মহাকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর প্রভুর! তিনি আরশের প্রভু, তারা যা আরোপ করে তা থেকে তিনি বহু ঊর্ধ্বে।^{—জহুরুল হক}
তারা যা বর্ণনা করে, তা থেকে নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের পালনকর্তা, আরশের পালনকর্তা পবিত্র।^{—মুহিউদ্দীন খান}

Exalted is the Lord of the heavens and the earth, Lord of the Throne, above what they describe.^{—Saheeh International}

فَذَرْهُمْ يَخُوضُوا وَيَلْعَبُوا حَتَّىٰ يُلَاقُوا يَوْمَهُمُ الَّذِي يُوعَدُونَ۝

٤٣:٨٣

৪৩:৮৩

43:83

সুতরাং তাদের ছেড়ে দাও আঁকুপাঁকু করতে ও ছেলেখেলা খেলতে যে পর্যন্ত না তারা তাদের দিনের মুখোমুখি হয় যেটি সন্বন্ধে তাদের ওয়াদা করা হয়েছিল।^{—জহুরুল হক}
অতএব, তাদেরকে বাকচাতুরী ও ক্রীড়া-কৌতুক করতে দিন সেই দিবসের সাক্ষাত পর্যন্ত, যার ওয়াদা তাদেরকে দেয়া হয়।^{—মুহিউদ্দীন খান}

So leave them to converse vainly and amuse themselves until they meet their Day which they are promised.^{—Saheeh International}

وَهُوَ الَّذِي فِي السَّمَاءِ إِلَـٰهٌ وَفِي الْأَرْضِ إِلَـٰهٌ ۚ وَهُوَ الْحَكِيمُ الْعَلِيمُ۝

٤٣:٨٤

৪৩:৮৪

43:84

আর তিনিই সেইজন যিনি মহাকাশে উপাস্য আর দুনিয়াতেও উপাস্য। আর তিনিই পরমজ্ঞানী, সর্বজ্ঞাতা।^{—জহুরুল হক}
তিনিই উপাস্য নভোমন্ডলে এবং তিনিই উপাস্য ভুমন্ডলে। তিনি প্রজ্ঞাময়, সর্বজ্ঞ,^{—মুহিউদ্দীন খান}

And it is Allah who is [the only] deity in the heaven, and on the earth [the only] deity. And He is the Wise, the Knowing.^{—Saheeh International}

وَتَبَارَكَ الَّذِي لَهُ مُلْكُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَمَا بَيْنَهُمَا وَعِنْدَهُ عِلْمُ السَّاعَةِ وَإِلَيْهِ تُرْجَعُونَ۝

٤٣:٨٥

৪৩:৮৫

43:85

আর পুণ্যময় তিনি যাঁর অধিকারে রয়েছে মহাকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সার্বভৌমত্ব আর যা-কিছু রয়েছে এ দুইয়ের মধ্যে, আর তাঁরই কাছে রয়েছে ঘড়িঘান্টার জ্ঞান, আর তাঁর কাছেই তোমাদের ফিরিয়ে নেওয়া হবে।^{—জহুরুল হক}
বরকতময় তিনিই, নভোমন্ডল, ভূমন্ডল ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছু যার। তাঁরই কাছে আছে কেয়ামতের জ্ঞান এবং তাঁরই দিকে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And blessed is He to whom belongs the dominion of the heavens and the earth and whatever is between them and with whom is knowledge of the Hour and to whom you will be returned.^{—Saheeh International}

وَلَا يَمْلِكُ الَّذِينَ يَدْعُونَ مِنْ دُونِهِ الشَّفَاعَةَ إِلَّا مَنْ شَهِدَ بِالْحَقِّ وَهُمْ يَعْلَمُونَ۝

٤٣:٨٦

৪৩:৮৬

43:86

আর তাঁকে বাদ দিয়ে তারা যাদের ডাকে তাদের কোনো ক্ষমতা নেই সুপারিশ করার, তিনি ব্যতীত যিনি সত্যের সাথে সাক্ষ্য দেন, আর তারা জানে।^{—জহুরুল হক}
তিনি ব্যতীত তারা যাদের পুজা করে, তারা সুপারিশের অধিকারী হবে না, তবে যারা সত্য স্বীকার করত ও বিশ্বাস করত।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And those they invoke besides Him do not possess [power of] intercession; but only those who testify to the truth [can benefit], and they know.^{—Saheeh International}

وَلَئِنْ سَأَلْتَهُمْ مَنْ خَلَقَهُمْ لَيَقُولُنَّ اللَّهُ ۖ فَأَنَّىٰ يُؤْفَكُونَ۝

٤٣:٨٧

৪৩:৮৭

43:87

আর তুমি যদি তাদের জিজ্ঞাসা কর -- কে তাদের সৃষ্টি করেছেন, তারা নিশ্চয়ই বলবে -- ''আল্লাহ্‌’’। তাহলে কোথায়-কেমনে তারা ফিরে যাচ্ছে!^{—জহুরুল হক}
যদি আপনি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করেন, কে তাদেরকে সৃষ্টি করেছেন, তবে অবশ্যই তারা বলবে, আল্লাহ, অতঃপর তারা কোথায় ফিরে যাচ্ছে ?^{—মুহিউদ্দীন খান}

And if you asked them who created them, they would surely say, "Allah." So how are they deluded?^{—Saheeh International}

وَقِيلِهِ يَا رَبِّ إِنَّ هَـٰؤُلَاءِ قَوْمٌ لَا يُؤْمِنُونَ۝

٤٣:٨٨

৪৩:৮৮

43:88

আর তাঁর উক্তি -- ''হে আমার প্রভু! তারা তো এক জাতি যারা ঈমান আনছে না।’’^{—জহুরুল হক}
রসূলের এই উক্তির কসম, হে আমার পালনকর্তা, এ সম্প্রদায় তো বিশ্বাস স্থাপন করে না।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And [Allah acknowledges] his saying, "O my Lord, indeed these are a people who do not believe."^{—Saheeh International}

فَاصْفَحْ عَنْهُمْ وَقُلْ سَلَامٌ ۚ فَسَوْفَ يَعْلَمُونَ۝

٤٣:٨٩

৪৩:৮৯

43:89

''সুতরাং তুমি তাদের থেকে ফিরে যাও এবং বলো -- 'সালাম!’ তারপর শীঘ্রই তারা জানতে পারবে।’’^{—জহুরুল হক}
অতএব, আপনি তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিন এবং বলুন, ‘সালাম’। তারা শীঘ্রই জানতে পারবে।^{—মুহিউদ্দীন খান}

So turn aside from them and say, "Peace." But they are going to know.^{—Saheeh International}