حم۝

٤٠:١

৪০:১

40:1

হা, মীম!^{—জহুরুল হক}
হা-মীম।^{—মুহিউদ্দীন খান}

Ha, Meem.^{—Saheeh International}

تَنْزِيلُ الْكِتَابِ مِنَ اللَّهِ الْعَزِيزِ الْعَلِيمِ۝

٤٠:٢

৪০:২

40:2

এই গ্রন্থের অবতারণ মহাশক্তিশালী, সর্বজ্ঞাতা আল্লাহ্‌র কাছ থেকে,^{—জহুরুল হক}
কিতাব অবতীর্ণ হয়েছে আল্লাহর পক্ষ থেকে, যিনি পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞ।^{—মুহিউদ্দীন খান}

The revelation of the Book is from Allah, the Exalted in Might, the Knowing.^{—Saheeh International}

غَافِرِ الذَّنْبِ وَقَابِلِ التَّوْبِ شَدِيدِ الْعِقَابِ ذِي الطَّوْلِ ۖ لَا إِلَـٰهَ إِلَّا هُوَ ۖ إِلَيْهِ الْمَصِيرُ۝

٤٠:٣

৪০:৩

40:3

পাপ থেকে পরিত্রাণকারী ও তওবা কবুলকারী, প্রতিফলদানে কঠোর, উদারতার অধীশ্বর। তিনি ছাড়া অন্য উপাস্য নেই, তাঁরই কাছে শেষ-আগমন।^{—জহুরুল হক}
পাপ ক্ষমাকারী, তওবা কবুলকারী, কঠোর শাস্তিদাতা ও সামর্থ?476;ান। তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। তাঁরই দিকে হবে প্রত্যাবর্তন।^{—মুহিউদ্দীন খান}

The forgiver of sin, acceptor of repentance, severe in punishment, owner of abundance. There is no deity except Him; to Him is the destination.^{—Saheeh International}

مَا يُجَادِلُ فِي آيَاتِ اللَّهِ إِلَّا الَّذِينَ كَفَرُوا فَلَا يَغْرُرْكَ تَقَلُّبُهُمْ فِي الْبِلَادِ۝

٤٠:٤

৪০:৪

40:4

আল্লাহ্‌র নির্দেশাবলী সন্বন্ধে কেউ বচসা করে না, কেবল তারা ছাড়া যারা অবিশ্বাস করে, সুতরাং শহরে-নগরে তাদের চলাফেরা যেন তোমাকে প্রতারিত না করে।^{—জহুরুল হক}
কাফেররাই কেবল আল্লাহর আয়াত সম্পর্কে বিতর্ক করে। কাজেই নগরীসমূহে তাদের বিচরণ যেন আপনাকে বিভ্রান্তিতে না ফেলে।^{—মুহিউদ্দীন খান}

No one disputes concerning the signs of Allah except those who disbelieve, so be not deceived by their [uninhibited] movement throughout the land.^{—Saheeh International}

كَذَّبَتْ قَبْلَهُمْ قَوْمُ نُوحٍ وَالْأَحْزَابُ مِنْ بَعْدِهِمْ ۖ وَهَمَّتْ كُلُّ أُمَّةٍ بِرَسُولِهِمْ لِيَأْخُذُوهُ ۖ وَجَادَلُوا بِالْبَاطِلِ لِيُدْحِضُوا بِهِ الْحَقَّ فَأَخَذْتُهُمْ ۖ فَكَيْفَ كَانَ عِقَابِ۝

٤٠:٥

৪০:৫

40:5

এদের আগে নূহের স্বজাতি প্রত্যাখ্যান করেছিল, আর তাদের পরের অন্যান্য দলও, আর প্রত্যেক সম্প্রদায়ই তাদের রসূল সন্বন্ধে মতলব করেছিল তাঁকে ধরে আনতে, আর তারা তর্কাতর্কি করত মিথ্যার সাহায্যে যেন তার দ্বারা তারা সত্যকে পঙ্গু করে ফেলতে পারে, ফলে আমি তাদের পাকড়াও করলাম, সুতরাং কেমন ছিল আমার শাস্তিদান!^{—জহুরুল হক}
তাদের পূর্বে নূহের সম্প্রদায় মিথ্যারোপ করেছিল, আর তাদের পরে অন্য অনেক দল ও প্রত্যেক সম্প্রদায় নিজ নিজ পয়গম্বরকে আক্রমণ করার ইচ্ছা করেছিল এবং তারা মিথ্যা বিতর্কে প্রবৃত্ত হয়েছিল, যেন সত্যধর্মকে ব্যর্থ করে দিতে পারে। অতঃপর আমি তাদেরকে পাকড়াও করলাম। কেমন ছিল আমার শাস্তি।^{—মুহিউদ্দীন খান}

The people of Noah denied before them and the [disbelieving] factions after them, and every nation intended [a plot] for their messenger to seize him, and they disputed by [using] falsehood to [attempt to] invalidate thereby the truth. So I seized them, and how [terrible] was My penalty.^{—Saheeh International}

وَكَذَٰلِكَ حَقَّتْ كَلِمَتُ رَبِّكَ عَلَى الَّذِينَ كَفَرُوا أَنَّهُمْ أَصْحَابُ النَّارِ۝

٤٠:٦

৪০:৬

40:6

আর এভাবেই তোমার প্রভুর বাণী সত্য প্রমাণিত হয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে যারা অবিশ্বাস করেছিল -- যে তারাই হচ্ছে আগুনের বাসিন্দা।^{—জহুরুল হক}
এভাবে কাফেরদের বেলায় আপনার পালনকর্তার এ বাক্য সত্য হল যে, তারা জাহান্নামী।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And thus has the word of your Lord come into effect upon those who disbelieved that they are companions of the Fire.^{—Saheeh International}

الَّذِينَ يَحْمِلُونَ الْعَرْشَ وَمَنْ حَوْلَهُ يُسَبِّحُونَ بِحَمْدِ رَبِّهِمْ وَيُؤْمِنُونَ بِهِ وَيَسْتَغْفِرُونَ لِلَّذِينَ آمَنُوا رَبَّنَا وَسِعْتَ كُلَّ شَيْءٍ رَحْمَةً وَعِلْمًا فَاغْفِرْ لِلَّذِينَ تَابُوا وَاتَّبَعُوا سَبِيلَكَ وَقِهِمْ عَذَابَ الْجَحِيمِ۝

٤٠:٧

৪০:৭

40:7

যারা আরশ বহন করে আর যারা এর চারপাশে রয়েছে তারা তাদের প্রভুর প্রশংসায় জপতপ করছে আর তাঁর প্রতি বিশ্বাস করছে, আর পরিত্রাণ প্রার্থনা করছে তাদের জন্য যারা বিশ্বাস করেছে -- ''আমাদের প্রভু! তুমি সব-কিছুকে পরিবেষ্টন করে রয়েছ করুণার ও জ্ঞানের দ্বারা, কাজেই তুমি পরিত্রাণ করো তাদের যারা ফিরেছে ও তোমার পথ অনুসরণ করেছে, আর তাদের রক্ষা করো জ্বলন্ত আগুনের শাস্তি থেকে।^{—জহুরুল হক}
যারা আরশ বহন করে এবং যারা তার চারপাশে আছে, তারা তাদের পালনকর্তার সপ্রশংস পবিত্রতা বর্ণনা করে, তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে এবং মুমিনদের জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করে বলে, হে আমাদের পালনকর্তা, আপনার রহমত ও জ্ঞান সবকিছুতে পরিব্যাপ্ত। অতএব, যারা তওবা করে এবং আপনার পথে চলে, তাদেরকে ক্ষমা করুন এবং জাহান্নামের আযাব থেকে রক্ষা করুন।^{—মুহিউদ্দীন খান}

Those [angels] who carry the Throne and those around it exalt [Allah] with praise of their Lord and believe in Him and ask forgiveness for those who have believed, [saying], "Our Lord, You have encompassed all things in mercy and knowledge, so forgive those who have repented and followed Your way and protect them from the punishment of Hellfire.^{—Saheeh International}

رَبَّنَا وَأَدْخِلْهُمْ جَنَّاتِ عَدْنٍ الَّتِي وَعَدْتَهُمْ وَمَنْ صَلَحَ مِنْ آبَائِهِمْ وَأَزْوَاجِهِمْ وَذُرِّيَّاتِهِمْ ۚ إِنَّكَ أَنْتَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ۝

٤٠:٨

৪০:৮

40:8

''আমাদের প্রভু! আর তাদের প্রবেশ করাও নন্দন-কাননে যা তুমি ওয়াদা করেছিলে তাদের জন্য, আর যারা সৎকর্ম করেছে -- তাদের বাপদাদাদের ও তাদের পতি-পত্নীদের ও তাদের সন্তান-সন্ততিদের মধ্যে থেকে। নিঃসন্দেহ তুমি নিজেই মহাশক্তিশালী, পরমজ্ঞানী।^{—জহুরুল হক}
হে আমাদের পালনকর্তা, আর তাদেরকে দাখিল করুন চিরকাল বসবাসের জান্নাতে, যার ওয়াদা আপনি তাদেরকে দিয়েছেন এবং তাদের বাপ-দাদা, পতি-পত্নী ও সন্তানদের মধ্যে যারা সৎকর্ম করে তাদেরকে। নিশ্চয় আপনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।^{—মুহিউদ্দীন খান}

Our Lord, and admit them to gardens of perpetual residence which You have promised them and whoever was righteous among their fathers, their spouses and their offspring. Indeed, it is You who is the Exalted in Might, the Wise.^{—Saheeh International}

وَقِهِمُ السَّيِّئَاتِ ۚ وَمَنْ تَقِ السَّيِّئَاتِ يَوْمَئِذٍ فَقَدْ رَحِمْتَهُ ۚ وَذَٰلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ۝

٤٠:٩

৪০:৯

40:9

''আর তাদের রক্ষা করো মন্দ থেকে। আর সেইদিন যাকে তুমি মন্দ থেকে রক্ষা করবে তাকে তো তুমি আলবৎ করুণা করেছ। আর এইটিই খোদ মহাসাফল্য।’’^{—জহুরুল হক}
এবং আপনি তাদেরকে অমঙ্গল থেকে রক্ষা করুন। আপনি যাকে সেদিন অমঙ্গল থেকে রক্ষা করবেন, তার প্রতি অনুগ্রহই করবেন। এটাই মহাসাফল্য।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And protect them from the evil consequences [of their deeds]. And he whom You protect from evil consequences that Day - You will have given him mercy. And that is the great attainment."^{—Saheeh International}

إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا يُنَادَوْنَ لَمَقْتُ اللَّهِ أَكْبَرُ مِنْ مَقْتِكُمْ أَنْفُسَكُمْ إِذْ تُدْعَوْنَ إِلَى الْإِيمَانِ فَتَكْفُرُونَ۝

٤٠:١٠

৪০:১০

40:10

নিঃসন্দেহ যারা অবিশ্বাস পোষণ করে তাদের ঘোষণা করা হবে -- ''আল্লাহ্‌র বিরূপতা তোমাদের নিজেদের প্রতি তোমাদের বিরক্তির চেয়েও অনেক বেশী ছিল, কেননা ধর্মবিশ্বাসের প্রতি তোমাদের আহ্বান করা হচ্ছিল অথচ তোমরা প্রত্যাখ্যান করছিলে!’’^{—জহুরুল হক}
যারা কাফের তাদেরকে উচ্চঃস্বরে বলা হবে, তোমাদের নিজেদের প্রতি তোমাদের আজকের এ ক্ষোভ অপেক্ষা আল্লার ক্ষোভ অধিক ছিল, যখন তোমাদেরকে ঈমান আনতে বলা হয়েছিল, অতঃপর তোমরা কুফরী করছিল।^{—মুহিউদ্দীন খান}

Indeed, those who disbelieve will be addressed, "The hatred of Allah for you was [even] greater than your hatred of yourselves [this Day in Hell] when you were invited to faith, but you refused."^{—Saheeh International}

قَالُوا رَبَّنَا أَمَتَّنَا اثْنَتَيْنِ وَأَحْيَيْتَنَا اثْنَتَيْنِ فَاعْتَرَفْنَا بِذُنُوبِنَا فَهَلْ إِلَىٰ خُرُوجٍ مِنْ سَبِيلٍ۝

٤٠:١١

৪০:১১

40:11

তারা বলবে -- ''আমাদের প্রভু! তুমি দুইবার আমাদের মৃত্যুমুখে ফেলেছ, আর তুমি আমাদের দুইবার জীবন দান করেছ, কাজেই আমরা আমাদের অপরাধ স্বীকার করছি সুতরাং বেরুনোর কোনো পথ আছে কী?’’^{—জহুরুল হক}
তারা বলবে হে আমাদের পালনকর্তা! আপনি আমাদেরকে দু’বার মৃত্যু দিয়েছেন এবং দু’ বার জীবন দিয়েছেন। এখন আমাদের অপরাধ স্বীকার করছি। অতঃপর এখন ও নিস্কৃতির কোন উপায় আছে কি?^{—মুহিউদ্দীন খান}

They will say, "Our Lord, You made us lifeless twice and gave us life twice, and we have confessed our sins. So is there to an exit any way?"^{—Saheeh International}

ذَٰلِكُمْ بِأَنَّهُ إِذَا دُعِيَ اللَّهُ وَحْدَهُ كَفَرْتُمْ ۖ وَإِنْ يُشْرَكْ بِهِ تُؤْمِنُوا ۚ فَالْحُكْمُ لِلَّهِ الْعَلِيِّ الْكَبِيرِ۝

٤٠:١٢

৪০:১২

40:12

''এটিই তোমাদের, কেননা যখন আল্লাহ্‌কে তাঁর একত্ব সন্বন্ধে ঘোষণা করা হতো তখন তোমরা অবিশ্বাস করতে, আর যদি তাঁর সঙ্গে অংশী দাঁড় করানো হতো তাহলে তোমরা বিশ্বাস করতে। বস্তুতঃ হুকুম আল্লাহ্‌র -- মহোচ্চ, মহামহিম।^{—জহুরুল হক}
তোমাদের এ বিপদ এ কারণে যে, যখন এক আল্লাহকে ডাকা হত, তখন তোমরা কাফের হয়ে যেতে যখন তার সাথে শরীককে ডাকা হত তখন তোমরা বিশ্বাস স্থাপন করতে। এখন আদেশ তাই, যা আল্লাহ করবেন, যিনি সর্বোচ্চ, মহান।^{—মুহিউদ্দীন খান}

[They will be told], "That is because, when Allah was called upon alone, you disbelieved; but if others were associated with Him, you believed. So the judgement is with Allah, the Most High, the Grand."^{—Saheeh International}

هُوَ الَّذِي يُرِيكُمْ آيَاتِهِ وَيُنَزِّلُ لَكُمْ مِنَ السَّمَاءِ رِزْقًا ۚ وَمَا يَتَذَكَّرُ إِلَّا مَنْ يُنِيبُ۝

٤٠:١٣

৪০:১৩

40:13

তিনিই সেইজন যিনি তোমাদের তাঁর নিদর্শনাবলী দেখিয়ে থাকেন এবং তোমাদের জন্য আকাশ থেকে পাঠিয়ে থাকেন রিযেক। আর কেউ মনোনিবেশ করে না সে ব্যতীত যে ফেরে।^{—জহুরুল হক}
তিনিই তোমাদেরকে তাঁর নিদর্শনাবলী দেখান এবং তোমাদের জন্যে আকাশ থেকে নাযিল করেন রুযী। চিন্তা-ভাবনা তারাই করে, যারা আল্লাহর দিকে রুজু থাকে।^{—মুহিউদ্দীন খান}

It is He who shows you His signs and sends down to you from the sky, provision. But none will remember except he who turns back [in repentance].^{—Saheeh International}

فَادْعُوا اللَّهَ مُخْلِصِينَ لَهُ الدِّينَ وَلَوْ كَرِهَ الْكَافِرُونَ۝

٤٠:١٤

৪০:১৪

40:14

সুতরাং আল্লাহ্‌কেই আহ্‌বান করো তাঁর প্রতি ধর্মে বিশুদ্ধচিত্ত হয়ে, যদিও অবিশ্বাসীরা বিরূপ হয়।^{—জহুরুল হক}
অতএব, তোমরা আল্লাহকে খাঁটি বিশ্বাস সহকারে ডাক, যদিও কাফেররা তা অপছন্দ করে।^{—মুহিউদ্দীন খান}

So invoke Allah, [being] sincere to Him in religion, although the disbelievers dislike it.^{—Saheeh International}

رَفِيعُ الدَّرَجَاتِ ذُو الْعَرْشِ يُلْقِي الرُّوحَ مِنْ أَمْرِهِ عَلَىٰ مَنْ يَشَاءُ مِنْ عِبَادِهِ لِيُنْذِرَ يَوْمَ التَّلَاقِ۝

٤٠:١٥

৪০:১৫

40:15

তিনি স্তরে স্তরে উন্নয়ণকারী, আরশের অধিপতি। তিনি তাঁর আদেশক্রমে রূহ পাঠিয়ে থাকেন তাঁর বান্দাদের মধ্যের যার প্রতি তিনি ইচ্ছা করে থাকেন, যেন সে সতর্ক করতে পারে মহামিলনের দিন সম্পর্কে --^{—জহুরুল হক}
তিনিই সুউচ্চ মর্যাদার অধিকারী, আরশের মালিক, তাঁর বান্দাদের মধ্যে যার প্রতি ইচ্ছা তত্ত্বপূর্ণ বিষয়াদি নাযিল করেন, যাতে সে সাক্ষাতের দিন সম্পর্কে সকলকে সতর্ক করে।^{—মুহিউদ্দীন খান}

[He is] the Exalted above [all] degrees, Owner of the Throne; He places the inspiration of His command upon whom He wills of His servants to warn of the Day of Meeting.^{—Saheeh International}

يَوْمَ هُمْ بَارِزُونَ ۖ لَا يَخْفَىٰ عَلَى اللَّهِ مِنْهُمْ شَيْءٌ ۚ لِمَنِ الْمُلْكُ الْيَوْمَ ۖ لِلَّهِ الْوَاحِدِ الْقَهَّارِ۝

٤٠:١٦

৪০:১৬

40:16

যেদিন তারা বের হয়ে পড়বে, আল্লাহ্‌র সমক্ষে তাদের সন্বন্ধে কিছুই লুকোনো থাকবে না। ''আজকের দিনে কার রাজত্ব?’’ ''একক সার্বভৌম কর্তৃত্বশীল আল্লাহ্‌র।’’^{—জহুরুল হক}
যেদিন তারা বের হয়ে পড়বে, আল্লাহর কাছে তাদের কিছুই গোপন থাকবে না। আজ রাজত্ব কার? এক প্রবল পরাক্রান্ত আল্লাহর।^{—মুহিউদ্দীন খান}

The Day they come forth nothing concerning them will be concealed from Allah. To whom belongs [all] sovereignty this Day? To Allah, the One, the Prevailing.^{—Saheeh International}

الْيَوْمَ تُجْزَىٰ كُلُّ نَفْسٍ بِمَا كَسَبَتْ ۚ لَا ظُلْمَ الْيَوْمَ ۚ إِنَّ اللَّهَ سَرِيعُ الْحِسَابِ۝

٤٠:١٧

৪০:১৭

40:17

সেইদিন প্রত্যেক সত্ত্বাকে প্রতিদান দেওয়া হবে যা সে অর্জন করেছে তার দ্বারা। সেইদিন কোনো অবিচার হবে না। নিঃসন্দেহ আল্লাহ্ হিসাব গ্রহণে তৎপর।^{—জহুরুল হক}
আজ প্রত্যেকেই তার কৃতকর্মের প্রতিদান পাবে। আজ যুলুম নেই। নিশ্চয় আল্লাহ দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী।^{—মুহিউদ্দীন খান}

This Day every soul will be recompensed for what it earned. No injustice today! Indeed, Allah is swift in account.^{—Saheeh International}

وَأَنْذِرْهُمْ يَوْمَ الْآزِفَةِ إِذِ الْقُلُوبُ لَدَى الْحَنَاجِرِ كَاظِمِينَ ۚ مَا لِلظَّالِمِينَ مِنْ حَمِيمٍ وَلَا شَفِيعٍ يُطَاعُ۝

٤٠:١٨

৪০:১৮

40:18

আর তুমি তাদের সাবধান করে দাও আসন্ন দিন সম্পর্কে যখন হৃৎপিন্ডগুলো দুঃখকষ্টে কন্ঠাগত হবে। অন্যায়াচারীদের জন্য কোনো বন্ধু থাকবে না, আর থাকবে না কোনো সুপারিশকারী শুনবার মতো।^{—জহুরুল হক}
আপনি তাদেরকে আসন্ন দিন সম্পর্কে সতর্ক করুন, যখন প্রাণ কন্ঠাগত হবে, দম বন্ধ হওয়ার উপক্রম হবে। পাপিষ্ঠদের জন্যে কোন বন্ধু নেই এবং সুপারিশকারীও নেই; যার সুপারিশ গ্রাহ্য হবে।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And warn them, [O Muhammad], of the Approaching Day, when hearts are at the throats, filled [with distress]. For the wrongdoers there will be no devoted friend and no intercessor [who is] obeyed.^{—Saheeh International}

يَعْلَمُ خَائِنَةَ الْأَعْيُنِ وَمَا تُخْفِي الصُّدُورُ۝

٤٠:١٩

৪০:১৯

40:19

তিনি জানেন চোখগুলোর চুপিসারে চাওয়া আর যা বুকগুলো লুকিয়ে রাখে।^{—জহুরুল হক}
চোখের চুরি এবং অন্তরের গোপন বিষয় তিনি জানেন।^{—মুহিউদ্দীন খান}

He knows that which deceives the eyes and what the breasts conceal.^{—Saheeh International}

وَاللَّهُ يَقْضِي بِالْحَقِّ ۖ وَالَّذِينَ يَدْعُونَ مِنْ دُونِهِ لَا يَقْضُونَ بِشَيْءٍ ۗ إِنَّ اللَّهَ هُوَ السَّمِيعُ الْبَصِيرُ۝

٤٠:٢٠

৪০:২০

40:20

আর আল্লাহ্ বিচার করেন সঠিকভাবে, কিন্ত তাঁকে বাদ দিয়ে যাদের তারা আহ্বান করে তারা কোনো কিছুরই সমাধান করতে পারে না। নিঃসন্দেহ আল্লাহ্ -- তিনিই সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।^{—জহুরুল হক}
আল্লাহ ফয়সালা করেন সঠিকভাবে, আল্লাহর পরিবর্তে তারা যাদেরকে ডাকে, তারা কিছুই ফয়সালা করে না। নিশ্চয় আল্লাহ সবকিছু শুনেন, সবকিছু দেখেন।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And Allah judges with truth, while those they invoke besides Him judge not with anything. Indeed, Allah - He is the Hearing, the Seeing.^{—Saheeh International}

أَوَلَمْ يَسِيرُوا فِي الْأَرْضِ فَيَنْظُرُوا كَيْفَ كَانَ عَاقِبَةُ الَّذِينَ كَانُوا مِنْ قَبْلِهِمْ ۚ كَانُوا هُمْ أَشَدَّ مِنْهُمْ قُوَّةً وَآثَارًا فِي الْأَرْضِ فَأَخَذَهُمُ اللَّهُ بِذُنُوبِهِمْ وَمَا كَانَ لَهُمْ مِنَ اللَّهِ مِنْ وَاقٍ۝

٤٠:٢١

৪০:২১

40:21

এরা কি দুনিয়াতে পরিভ্রমণ করে নি, করলে দেখত কেমন হয়েছিল তাদের পরিণাম যারা ছিল এদের পূর্ববর্তী? তারা তো ছিল বলবিক্রমে এদের চেয়েও প্রবল আর দুনিয়াদারির কৃতিত্বেও, কিন্ত আল্লাহ্ তাদের পাকড়াও করলেন তাদের অপরাধের জন্য, আর তাদের জন্য আল্লাহ্‌র থেকে কোনো রক্ষাকারী নেই।^{—জহুরুল হক}
তারা কি দেশ-বিদেশ ভ্রমণ করে না, যাতে দেখত তাদের পূর্বসুরিদের কি পরিণাম হয়েছে? তাদের শক্তি ও কীর্তি পৃথিবীতে এদের অপেক্ষা অধিকতর ছিল। অতঃপর আল্লাহ তাদেরকে তাদের গোনাহের কারণে ধৃত করেছিলেন এবং আল্লাহ থেকে তাদেরকে রক্ষাকারী কেউ হয়নি।^{—মুহিউদ্দীন খান}

Have they not traveled through the land and observed how was the end of those who were before them? They were greater than them in strength and in impression on the land, but Allah seized them for their sins. And they had not from Allah any protector.^{—Saheeh International}

ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمْ كَانَتْ تَأْتِيهِمْ رُسُلُهُمْ بِالْبَيِّنَاتِ فَكَفَرُوا فَأَخَذَهُمُ اللَّهُ ۚ إِنَّهُ قَوِيٌّ شَدِيدُ الْعِقَابِ۝

٤٠:٢٢

৪০:২২

40:22

এমনটাই! কেন না তাদের ক্ষেত্রে -- তাদের রসূলগণ তাদের কাছে এসেছিলেন সুস্পষ্ট প্রমাণাবলী নিয়ে, কিন্ত তারা অবিশ্বাস করেছিল, কাজেই আল্লাহ্ তাদের পাকড়াও করলেন। নিঃসন্দেহ তিনি মহাশক্তিশালী, প্রতিফলদানে কঠোর।^{—জহুরুল হক}
এর কারণ এই যে, তাদের কাছে তাদের রসূলগণ সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী নিয়ে আগমন করত, অতঃপর তারা কাফের হয়ে যায়, তখন আল্লাহ তাদের ধৃত করেন। নিশ্চয় তিনি শক্তিধর, কঠোর শাস্তিদাতা।^{—মুহিউদ্দীন খান}

That was because their messengers were coming to them with clear proofs, but they disbelieved, so Allah seized them. Indeed, He is Powerful and severe in punishment.^{—Saheeh International}

وَلَقَدْ أَرْسَلْنَا مُوسَىٰ بِآيَاتِنَا وَسُلْطَانٍ مُبِينٍ۝

٤٠:٢٣

৪০:২৩

40:23

আর আমরা নিশ্চয়ই মূসাকে পাঠিয়েছিলাম আমাদের নির্দেশাবলী ও স্পষ্ট কর্তৃত্ত্ব দিয়ে,^{—জহুরুল হক}
আমি আমার নিদর্শনাবলী ও স্পষ্ট প্রমাণসহ মূসাকে প্রেরণ করেছি।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And We did certainly send Moses with Our signs and a clear authority^{—Saheeh International}

إِلَىٰ فِرْعَوْنَ وَهَامَانَ وَقَارُونَ فَقَالُوا سَاحِرٌ كَذَّابٌ۝

٤٠:٢٤

৪০:২৪

40:24

ফিরআউন ও হামান ও ক্কারূনের কাছে, কিন্ত তারা বলল -- ''একজন জাদুকর, মিথ্যাবাদী।’’^{—জহুরুল হক}
ফেরাউন, হামান ও কারুণের কাছে, অতঃপর তারা বলল, সে তো জাদুকর, মিথ্যাবাদী।^{—মুহিউদ্দীন খান}

To Pharaoh, Haman and Qarun; but they said, "[He is] a magician and a liar."^{—Saheeh International}

فَلَمَّا جَاءَهُمْ بِالْحَقِّ مِنْ عِنْدِنَا قَالُوا اقْتُلُوا أَبْنَاءَ الَّذِينَ آمَنُوا مَعَهُ وَاسْتَحْيُوا نِسَاءَهُمْ ۚ وَمَا كَيْدُ الْكَافِرِينَ إِلَّا فِي ضَلَالٍ۝

٤٠:٢٥

৪০:২৫

40:25

তারপর যখন তিনি আমাদের তরফ থেকে সত্য নিয়ে তাদের কাছে এলেন তখন তারা বলল, ''তার সঙ্গে যারা বিশ্বাস করেছে তাদের ছেলেদের কোতল করো ও বাঁচতে দাও তাদের মেয়েদের।’’ বস্তুতঃ অবিশ্বাসীদের চক্তান্ত ব্যর্থ বৈ তো নয়।^{—জহুরুল হক}
অতঃপর মূসা যখন আমার কাছ থেকে সত্যসহ তাদের কাছে পৌঁছাল; তখন তারা বলল, যারা তার সঙ্গী হয়ে বিশ্বাস স্থাপন করেছে, তাদের পুত্র সন্তানদেরকে হত্যা কর, আর তাদের নারীদেরকে জীবিত রাখ। কাফেরদের চক্রান্ত ব্যর্থই হয়েছে।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And when he brought them the truth from Us, they said, "Kill the sons of those who have believed with him and keep their women alive." But the plan of the disbelievers is not except in error.^{—Saheeh International}

وَقَالَ فِرْعَوْنُ ذَرُونِي أَقْتُلْ مُوسَىٰ وَلْيَدْعُ رَبَّهُ ۖ إِنِّي أَخَافُ أَنْ يُبَدِّلَ دِينَكُمْ أَوْ أَنْ يُظْهِرَ فِي الْأَرْضِ الْفَسَادَ۝

٤٠:٢٦

৪০:২৬

40:26

আর ফিরআউন বলল -- ''আমাকে ছেড়ে দাও যাতে আমি মূসাকে বধ করতে পারি, আর সে তার প্রভুকে ডাকতে থাকুক, নিঃসন্দেহ আমি আশঙ্কা করছি যে সে তোমাদের ধর্মমত বদলে দেবে, অথবা সে দেশের মধ্যে বিপর্যয়ের প্রসার করবে।^{—জহুরুল হক}
ফেরাউন বলল; তোমরা আমাকে ছাড়, মূসাকে হত্যা করতে দাও, ডাকুক সে তার পালনকর্তাকে! আমি আশংকা করি যে, সে তোমাদের ধর্ম পরিবর্তন করে দেবে অথবা সে দেশময় বিপর্যয় সৃষ্টি করবে।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And Pharaoh said, "Let me kill Moses and let him call upon his Lord. Indeed, I fear that he will change your religion or that he will cause corruption in the land."^{—Saheeh International}

وَقَالَ مُوسَىٰ إِنِّي عُذْتُ بِرَبِّي وَرَبِّكُمْ مِنْ كُلِّ مُتَكَبِّرٍ لَا يُؤْمِنُ بِيَوْمِ الْحِسَابِ۝

٤٠:٢٧

৪০:২৭

40:27

আর মূসা বললেন -- ''আমি নিশ্চয়ই আমার প্রভুর ও তোমাদের প্রভুর আশ্রয় চাইছি প্রত্যেক অহংকারী থেকে যে হিসেব- নিকেশের দিনের প্রতি বিশ্বাস করে না।’’^{—জহুরুল হক}
মূসা বলল, যারা হিসাব দিবসে বিশ্বাস করে না এমন প্রত্যেক অহংকারী থেকে আমি আমার ও তোমাদের পালনকর্তার আশ্রয় নিয়ে নিয়েছি।^{—মুহিউদ্দীন খান}

But Moses said, "Indeed, I have sought refuge in my Lord and your Lord from every arrogant one who does not believe in the Day of Account."^{—Saheeh International}

وَقَالَ رَجُلٌ مُؤْمِنٌ مِنْ آلِ فِرْعَوْنَ يَكْتُمُ إِيمَانَهُ أَتَقْتُلُونَ رَجُلًا أَنْ يَقُولَ رَبِّيَ اللَّهُ وَقَدْ جَاءَكُمْ بِالْبَيِّنَاتِ مِنْ رَبِّكُمْ ۖ وَإِنْ يَكُ كَاذِبًا فَعَلَيْهِ كَذِبُهُ ۖ وَإِنْ يَكُ صَادِقًا يُصِبْكُمْ بَعْضُ الَّذِي يَعِدُكُمْ ۖ إِنَّ اللَّهَ لَا يَهْدِي مَنْ هُوَ مُسْرِفٌ كَذَّابٌ۝

٤٠:٢٨

৪০:২৮

40:28

আর ফিরআউনের লোকদের থেকে একজন বিশ্বাসী ব্যক্তি যে তার ঈমান লুকিয়ে রেখেছিল, বলল -- ''তোমরা কি একজন লোককে হত্যা করবে যেহেতু তিনি বলেন, 'আমার প্রভু আল্লাহ্‌’, আর নিঃসন্দেহ তিনি তোমাদের প্রভুর কাছ থে কে স্পষ্ট প্রমাণ নিয়ে তোমাদের কাছে এসেছেন? আর তিনি যদি মিথ্যাবাদী হতেন তাহলে তিনি তোমাদের যে-সবের ভয় দেখান তার কতকটা তোমাদের উপরে আপতিত হবে। নিঃসন্দেহ আল্লাহ্ তাকে সৎপথে পরিচালিত করেন না যে অমিতাচারী, প্রত্যাখ্যানকারী।^{—জহুরুল হক}
ফেরাউন গোত্রের এক মুমিন ব্যক্তি, যে তার ঈমান গোপন রাখত, সে বলল, তোমরা কি একজনকে এজন্যে হত্যা করবে যে, সে বলে, আমার পালনকর্তা আল্লাহ, অথচ সে তোমাদের পালনকর্তার নিকট থেকে স্পষ্ট প্রমাণসহ তোমাদের নিকট আগমন করেছে? যদি সে মিথ্যাবাদী হয়, তবে তার মিথ্যাবাদিতা তার উপরই চাপবে, আর যদি সে সত্যবাদী হয়, তবে সে যে শাস্তির কথা বলছে, তার কিছু না কিছু তোমাদের উপর পড়বেই। নিশ্চয় আল্লাহ সীমালংঘনকারী, মিথ্যাবাদীকে পথ প্রদর্শন করেন না।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And a believing man from the family of Pharaoh who concealed his faith said, "Do you kill a man [merely] because he says, 'My Lord is Allah' while he has brought you clear proofs from your Lord? And if he should be lying, then upon him is [the consequence of] his lie; but if he should be truthful, there will strike you some of what he promises you. Indeed, Allah does not guide one who is a transgressor and a liar.^{—Saheeh International}

يَا قَوْمِ لَكُمُ الْمُلْكُ الْيَوْمَ ظَاهِرِينَ فِي الْأَرْضِ فَمَنْ يَنْصُرُنَا مِنْ بَأْسِ اللَّهِ إِنْ جَاءَنَا ۚ قَالَ فِرْعَوْنُ مَا أُرِيكُمْ إِلَّا مَا أَرَىٰ وَمَا أَهْدِيكُمْ إِلَّا سَبِيلَ الرَّشَادِ۝

٤٠:٢٩

৪০:২৯

40:29

''হে আমার স্বজাতি! তোমাদেরই আজ রাজত্ব চলছে, তোমরা দেশে সর্বপ্রধান, কিন্ত কে আমাদের সাহায্য করবে আল্লাহ্‌র দুর্যোগ থেকে যদি তা আমাদের উপরে এসে পড়ে?’’ ফিরআউন বলল -- ''আমি তোমাদের দেখাই না যা আমি না দেখি, আর আমি তোমাদের পরিচালিত করি না সঠিক পথে ছাড়া।’’^{—জহুরুল হক}
হে আমার কওম, আজ এদেশে তোমাদেরই রাজত্ব, দেশময় তোমরাই বিচরণ করছ; কিন্তু আমাদের আল্লাহর শাস্তি এসে গেলে কে আমাদেরকে সাহায্য করবে? ফেরাউন বলল, আমি যা বুঝি, তোমাদেরকে তাই বোঝাই, আর আমি তোমাদেরকে মঙ্গলের পথই দেখাই।^{—মুহিউদ্দীন খান}

O my people, sovereignty is yours today, [your being] dominant in the land. But who would protect us from the punishment of Allah if it came to us?" Pharaoh said, "I do not show you except what I see, and I do not guide you except to the way of right conduct."^{—Saheeh International}

وَقَالَ الَّذِي آمَنَ يَا قَوْمِ إِنِّي أَخَافُ عَلَيْكُمْ مِثْلَ يَوْمِ الْأَحْزَابِ۝

٤٠:٣٠

৪০:৩০

40:30

আর যে বিশ্বাস করেছিল সে বলল -- ''হে আমার স্বজাতি! আমি নিশ্চয়ই তোমাদের জন্য আশঙ্কা করছি যেমনটা ঘটেছিল সম্মিলিতগোষ্ঠীর দিনে,^{—জহুরুল হক}
সে মুমিন ব্যক্তি বললঃ হে আমার কওম, আমি তোমাদের জন্যে পূর্ববর্তী সম্প্রদায়সমূহের মতই বিপদসঙ্কুল দিনের আশংকা করি।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And he who believed said, "O my people, indeed I fear for you [a fate] like the day of the companies -^{—Saheeh International}

مِثْلَ دَأْبِ قَوْمِ نُوحٍ وَعَادٍ وَثَمُودَ وَالَّذِينَ مِنْ بَعْدِهِمْ ۚ وَمَا اللَّهُ يُرِيدُ ظُلْمًا لِلْعِبَادِ۝

٤٠:٣١

৪০:৩১

40:31

''যেমন ধরনে নূহ-এর ও 'আদ-এর ও ছামুদের সম্প্রদায়ের উপরে, আর যারা ছিল তাদের পরবর্তী। আর আল্লাহ্ বান্দাদের প্রতি কোনো জুলুম চান না।^{—জহুরুল হক}
যেমন, কওমে নূহ, আদ, সামুদ ও তাদের পরবর্তীদের অবস্থা হয়েছিল। আল্লাহ বান্দাদের প্রতি কোন যুলুম করার ইচ্ছা করেন না।^{—মুহিউদ্দীন খান}

Like the custom of the people of Noah and of 'Aad and Thamud and those after them. And Allah wants no injustice for [His] servants.^{—Saheeh International}

وَيَا قَوْمِ إِنِّي أَخَافُ عَلَيْكُمْ يَوْمَ التَّنَادِ۝

٤٠:٣٢

৪০:৩২

40:32

''আর হে আমার স্বজাতি! আমি নিঃসন্দেহ তোমাদের জন্য আশঙ্কা করছি পরস্পর ডাকাডাকির দিন সন্বন্ধে --^{—জহুরুল হক}
হে আমার কওম, আমি তোমাদের জন্যে প্রচন্ড হাঁক-ডাকের দিনের আশংকা করি।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And O my people, indeed I fear for you the Day of Calling -^{—Saheeh International}

يَوْمَ تُوَلُّونَ مُدْبِرِينَ مَا لَكُمْ مِنَ اللَّهِ مِنْ عَاصِمٍ ۗ وَمَنْ يُضْلِلِ اللَّهُ فَمَا لَهُ مِنْ هَادٍ۝

٤٠:٣٣

৪০:৩৩

40:33

''সেইদিন তোমরা ফিরবে পলায়নপর হয়ে, আল্লাহ্‌র থেকে তোমাদের জন্য কোনো রক্ষাকারী থাকবে না। আর যাকে আল্লাহ্ পথভ্রষ্ট হতে দেন তার জন্য তবে কোনো পথপ্রদর্শক থাকবে না।^{—জহুরুল হক}
যেদিন তোমরা পেছনে ফিরে পলায়ন করবে; কিন্তু আল্লাহ থেকে তোমাদেরকে রক্ষাকারী কেউ থাকবে না। আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ট করেন, তার কোন পথপ্রদর্শক নেই।^{—মুহিউদ্দীন খান}

The Day you will turn your backs fleeing; there is not for you from Allah any protector. And whoever Allah leaves astray - there is not for him any guide.^{—Saheeh International}

وَلَقَدْ جَاءَكُمْ يُوسُفُ مِنْ قَبْلُ بِالْبَيِّنَاتِ فَمَا زِلْتُمْ فِي شَكٍّ مِمَّا جَاءَكُمْ بِهِ ۖ حَتَّىٰ إِذَا هَلَكَ قُلْتُمْ لَنْ يَبْعَثَ اللَّهُ مِنْ بَعْدِهِ رَسُولًا ۚ كَذَٰلِكَ يُضِلُّ اللَّهُ مَنْ هُوَ مُسْرِفٌ مُرْتَابٌ۝

٤٠:٣٤

৪০:৩৪

40:34

''আর নিশ্চয়ই তোমাদের কাছে এর আগে ইউসুফ এসেছিলেন স্পষ্ট প্রমাণাবলী নিয়ে, কিন্ত তোমরা বরাবর সন্দেহের মধ্যে ছিলে তিনি যা নিয়ে তোমাদের কাছে এসেছিলেন সে-সন্বন্ধে। কিন্ত যখন তিনি মৃতুবরণ করলেন তখন তোমরা বললে -- 'আল্লাহ্ কখনো তাঁর পরে কোনো রসূল দাঁড় করাবেন না।’ এইভাবেই আল্লাহ্ পথভ্রষ্ট হতে দেন তাকে যে স্বয়ং অমিতাচারী, সন্দেহভাজন --^{—জহুরুল হক}
ইতিপূর্বে তোমাদের কাছে ইউসুফ সুস্পষ্ট প্রামাণাদিসহ আগমন করেছিল, অতঃপর তোমরা তার আনীত বিষয়ে সন্দেহই পোষণ করতে। অবশেষে যখন সে মারা গেল, তখন তোমরা বলতে শুরু করলে, আল্লাহ ইউসুফের পরে আর কাউকে রসূলরূপে পাঠাবেন না। এমনিভাবে আল্লাহ সীমালংঘনকারী, সংশয়ী ব্যক্তিকে পথভ্রষ্ট করেন।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And Joseph had already come to you before with clear proofs, but you remained in doubt of that which he brought to you, until when he died, you said, 'Never will Allah send a messenger after him.' Thus does Allah leave astray he who is a transgressor and skeptic."^{—Saheeh International}

الَّذِينَ يُجَادِلُونَ فِي آيَاتِ اللَّهِ بِغَيْرِ سُلْطَانٍ أَتَاهُمْ ۖ كَبُرَ مَقْتًا عِنْدَ اللَّهِ وَعِنْدَ الَّذِينَ آمَنُوا ۚ كَذَٰلِكَ يَطْبَعُ اللَّهُ عَلَىٰ كُلِّ قَلْبِ مُتَكَبِّرٍ جَبَّارٍ۝

٤٠:٣٥

৪০:৩৫

40:35

''যারা তর্ক করে আল্লাহ্‌র বাণী সন্বন্ধে তাদের কাছে কোনো দলিল-প্রমাণের আগমন ব্যতীত। এটি খুবই ঘৃণিত আল্লাহ্‌র কাছে ও যারা ঈমান এনেছে তাদের কাছে। এইভাবেই আল্লাহ্ মোহর মেরে দেন প্রত্যেক গর্বিত স্বৈরাচারীর হৃদয়ের উপরে।’’^{—জহুরুল হক}
যারা নিজেদের কাছে আগত কোন দলীল ছাড়াই আল্লাহর আয়াত সম্পর্কে বিতর্ক করে, তাদের একজন আল্লাহ ও মুমিনদের কাছে খুবই অসন্তোষজনক। এমনিভাবে আল্লাহ প্রত্যেক অহংকারী-স্বৈরাচারী ব্যক্তির অন্তরে মোহর এঁটে দেন।^{—মুহিউদ্দীন খান}

Those who dispute concerning the signs of Allah without an authority having come to them - great is hatred [of them] in the sight of Allah and in the sight of those who have believed. Thus does Allah seal over every heart [belonging to] an arrogant tyrant.^{—Saheeh International}

وَقَالَ فِرْعَوْنُ يَا هَامَانُ ابْنِ لِي صَرْحًا لَعَلِّي أَبْلُغُ الْأَسْبَابَ۝

٤٠:٣٦

৪০:৩৬

40:36

আর ফিরআউন বলল -- ''হে হামান! আমার জন্য একটি মিনার তৈরি কর যাতে আমি পথ পেতে পারি --^{—জহুরুল হক}
ফেরাউন বলল, হে হামান, তুমি আমার জন্যে একটি সুউচ্চ প্রাসাদ নির্মাণ কর, হয়তো আমি পৌঁছে যেতে পারব।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And Pharaoh said, "O Haman, construct for me a tower that I might reach the ways -^{—Saheeh International}

أَسْبَابَ السَّمَاوَاتِ فَأَطَّلِعَ إِلَىٰ إِلَـٰهِ مُوسَىٰ وَإِنِّي لَأَظُنُّهُ كَاذِبًا ۚ وَكَذَٰلِكَ زُيِّنَ لِفِرْعَوْنَ سُوءُ عَمَلِهِ وَصُدَّ عَنِ السَّبِيلِ ۚ وَمَا كَيْدُ فِرْعَوْنَ إِلَّا فِي تَبَابٍ۝

٤٠:٣٧

৪০:৩৭

40:37

''মহাকাশমন্ডলীর পথ, যাতে আমি মূসার উপাস্যের প্রতি দৃষ্টিপাত করতে পারি, কিন্ত আমি নিঃসন্দেহ তাকে মিথ্যাবাদী মনে করি।’’ আর এইভাবেই ফিরআউনের জন্য চিত্তাকর্ষক করা হয়েছিল তার কাজের মন্দদিকটা, আর তাকে নিবৃত্ত করা হয়েছিল পথ থেকে। আর ফিরআউনের ফন্দি ধ্বংসের মধ্যে ছাড়া আর কিছু নয়।^{—জহুরুল হক}
আকাশের পথে, অতঃপর উঁকি মেরে দেখব মূসার আল্লাহকে। বস্তুতঃ আমি তো তাকে মিথ্যাবাদীই মনে করি। এভাবেই ফেরাউনের কাছে সুশোভিত করা হয়েছিল তার মন্দ কর্মকে এবং সোজা পথ থেকে তাকে বিরত রাখা হয়েছিল। ফেরাউনের চক্রান্ত ব্যর্থ হওয়ারই ছিল।^{—মুহিউদ্দীন খান}

The ways into the heavens - so that I may look at the deity of Moses; but indeed, I think he is a liar." And thus was made attractive to Pharaoh the evil of his deed, and he was averted from the [right] way. And the plan of Pharaoh was not except in ruin.^{—Saheeh International}

وَقَالَ الَّذِي آمَنَ يَا قَوْمِ اتَّبِعُونِ أَهْدِكُمْ سَبِيلَ الرَّشَادِ۝

٤٠:٣٨

৪০:৩৮

40:38

আর যে ঈমান এনেছিল সে বলল -- ''হে আমার স্বজাতি! তোমরা আমার অনুসরণ করো, আমি তোমাদের চালিয়ে নিয়ে যাব সঠিক পথ ধরে।^{—জহুরুল হক}
মুমিন লোকটি বললঃ হে আমার কওম, তোমরা আমার অনুসরণ কর। আমি তোমাদেরকে সৎপথ প্রদর্শন করব।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And he who believed said, "O my people, follow me, I will guide you to the way of right conduct.^{—Saheeh International}

يَا قَوْمِ إِنَّمَا هَـٰذِهِ الْحَيَاةُ الدُّنْيَا مَتَاعٌ وَإِنَّ الْآخِرَةَ هِيَ دَارُ الْقَرَارِ۝

٤٠:٣٩

৪০:৩৯

40:39

''হে আমার স্বজাতি! নিশ্চয় দুনিয়ার এই জীবনটা সুখভোগ মাত্র, আর অবশ্য পরকাল -- সেটি হচ্ছে চিরস্থায়ী আবাস।^{—জহুরুল হক}
হে আমার কওম, পার্থিব এ জীবন তো কেবল উপভোগের বস্তু, আর পরকাল হচ্ছে স্থায়ী বসবাসের গৃহ।^{—মুহিউদ্দীন খান}

O my people, this worldly life is only [temporary] enjoyment, and indeed, the Hereafter - that is the home of [permanent] settlement.^{—Saheeh International}

مَنْ عَمِلَ سَيِّئَةً فَلَا يُجْزَىٰ إِلَّا مِثْلَهَا ۖ وَمَنْ عَمِلَ صَالِحًا مِنْ ذَكَرٍ أَوْ أُنْثَىٰ وَهُوَ مُؤْمِنٌ فَأُولَـٰئِكَ يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ يُرْزَقُونَ فِيهَا بِغَيْرِ حِسَابٍ۝

٤٠:٤٠

৪০:৪০

40:40

''যে কেউ মন্দ কাজ করে তাকে তবে প্রতিদান দেওয়া হবে না তার সমান-সমান ব্যতীত, আর যে কেউ ভাল কাজ করে -- সে পুরুষ হোক বা নারী, আর সে মুমিন হয় -- তাহলে তারাই জান্নাতে প্রবেশ করবে, সেখানে তাদের বেহিসাব রিযেক দেওয়া হবে।^{—জহুরুল হক}
যে মন্দ কর্ম করে, সে কেবল তার অনুরূপ প্রতিফল পাবে, আর যে, পুরুষ অথবা নারী মুমিন অবস্থায় সৎকর্ম করে তারাই জান্নাতে প্রবেশ করবে। তথায় তাদেরকে বে-হিসাব রিযিক দেয়া হবে।^{—মুহিউদ্দীন খান}

Whoever does an evil deed will not be recompensed except by the like thereof; but whoever does righteousness, whether male or female, while he is a believer - those will enter Paradise, being given provision therein without account.^{—Saheeh International}

وَيَا قَوْمِ مَا لِي أَدْعُوكُمْ إِلَى النَّجَاةِ وَتَدْعُونَنِي إِلَى النَّارِ۝

٤٠:٤١

৪০:৪১

40:41

''আর হে আমার স্বজাতি! আমার কী হয়েছে যে আমি তোমাদের আহ্বান করছি মুক্তির দিকে, অথচ তোমরা আমাকে ডাকছো আগুনের দিকে?^{—জহুরুল হক}
হে আমার কওম, ব্যাপার কি, আমি তোমাদেরকে দাওয়াত দেই মুক্তির দিকে, আর তোমরা আমাকে দাওয়াত দাও জাহান্নামের দিকে।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And O my people, how is it that I invite you to salvation while you invite me to the Fire?^{—Saheeh International}

تَدْعُونَنِي لِأَكْفُرَ بِاللَّهِ وَأُشْرِكَ بِهِ مَا لَيْسَ لِي بِهِ عِلْمٌ وَأَنَا أَدْعُوكُمْ إِلَى الْعَزِيزِ الْغَفَّارِ۝

٤٠:٤٢

৪০:৪২

40:42

''তোমরা আমাকে আহ্বান করছ যেন আমি আল্লাহ্‌কে অবিশ্বাস করি ও তাঁর সঙ্গে শরীক করি তাকে যার সন্বন্ধে আমার কোনো জ্ঞান নেই, পক্ষান্তরে আমি তোমাদের ডাকছি মহাশক্তিশালী, পরিত্রাণকারীর দিকে।^{—জহুরুল হক}
তোমরা আমাকে দাওয়াত দাও, যাতে আমি আল্লাহকে অস্বীকার করি এবং তাঁর সাথে শরীক করি এমন বস্তুকে, যার কোন প্রমাণ আমার কাছে নেই। আমি তোমাদেরকে দাওয়াত দেই পরাক্রমশালী, ক্ষমাশীল আল্লাহর দিকে।^{—মুহিউদ্দীন খান}

You invite me to disbelieve in Allah and associate with Him that of which I have no knowledge, and I invite you to the Exalted in Might, the Perpetual Forgiver.^{—Saheeh International}

لَا جَرَمَ أَنَّمَا تَدْعُونَنِي إِلَيْهِ لَيْسَ لَهُ دَعْوَةٌ فِي الدُّنْيَا وَلَا فِي الْآخِرَةِ وَأَنَّ مَرَدَّنَا إِلَى اللَّهِ وَأَنَّ الْمُسْرِفِينَ هُمْ أَصْحَابُ النَّارِ۝

٤٠:٤٣

৪০:৪৩

40:43

''কোনো সন্দেহ নেই যে তোমরা আমাকে যার প্রতি আহ্বান করছ তার কোনো দাবি এই দুনিয়াতে নেই এবং পরকালেও নেই, আর আমাদের প্রত্যাবর্তন তো আল্লাহ্‌রই কাছে, আর নিশ্চয় সীমালংঘনকারীরা -- তারাই আগুনের বাসিন্দা।^{—জহুরুল হক}
এতে সন্দেহ নেই যে, তোমরা আমাকে যার দিকে দাওয়াত দাও, হইকালে ও পরকালে তার কোন দাওয়াত নেই! আমাদের প্রত্যাবর্তন আল্লাহর দিকে এবং সীমা লংঘকারীরাই জাহান্নামী।^{—মুহিউদ্দীন খান}

Assuredly, that to which you invite me has no [response to a] supplication in this world or in the Hereafter; and indeed, our return is to Allah, and indeed, the transgressors will be companions of the Fire.^{—Saheeh International}

فَسَتَذْكُرُونَ مَا أَقُولُ لَكُمْ ۚ وَأُفَوِّضُ أَمْرِي إِلَى اللَّهِ ۚ إِنَّ اللَّهَ بَصِيرٌ بِالْعِبَادِ۝

٤٠:٤٤

৪০:৪৪

40:44

''সেজন্য অচিরেই তোমরা স্মরণ করবে আমি তোমাদের যা বলছি, আর আমার কাজের ভার আল্লাহ্‌তে অর্পণ করছি। নিশ্চয় আল্লাহ্ বান্দাদের সম্পর্কে সর্বদ্রষ্টা।’’^{—জহুরুল হক}
আমি তোমাদেরকে যা বলছি, তোমরা একদিন তা স্মরণ করবে। আমি আমার ব্যাপার আল্লাহর কাছে সমর্পণ করছি। নিশ্চয় বান্দারা আল্লাহর দৃষ্টিতে রয়েছে।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And you will remember what I [now] say to you, and I entrust my affair to Allah. Indeed, Allah is Seeing of [His] servants."^{—Saheeh International}

فَوَقَاهُ اللَّهُ سَيِّئَاتِ مَا مَكَرُوا ۖ وَحَاقَ بِآلِ فِرْعَوْنَ سُوءُ الْعَذَابِ۝

٤٠:٤٥

৪০:৪৫

40:45

তারপর আল্লাহ্ তাঁকে তারা যা ফন্দি এটেছিলঁ তার অনিষ্ট থেকে রক্ষা করেছিলেন, আর ফিরআউনের লোকদের জন্য এক ভীষণ শাস্তি ঘেরাও করেছিল, --^{—জহুরুল হক}
অতঃপর আল্লাহ তাকে তাদের চক্রান্তের অনিষ্ট থেকে রক্ষা করলেন এবং ফেরাউন গোত্রকে শোচনীয় আযাব গ্রাস করল।^{—মুহিউদ্দীন খান}

So Allah protected him from the evils they plotted, and the people of Pharaoh were enveloped by the worst of punishment -^{—Saheeh International}

النَّارُ يُعْرَضُونَ عَلَيْهَا غُدُوًّا وَعَشِيًّا ۖ وَيَوْمَ تَقُومُ السَّاعَةُ أَدْخِلُوا آلَ فِرْعَوْنَ أَشَدَّ الْعَذَابِ۝

٤٠:٤٦

৪০:৪৬

40:46

আগুন -- তাদের এর কাছে আনা হবে সকালে ও সন্ধ্যায়, আর যেদিন ঘড়িঘন্টা এসে দাঁড়াবে -- ''ফিরআউনের লোকদের প্রবেশ করাও কঠোরতম শাস্তিতে।’’^{—জহুরুল হক}
সকালে ও সন্ধ্যায় তাদেরকে আগুনের সামনে পেশ করা হয় এবং যেদিন কেয়ামত সংঘটিত হবে, সেদিন আদেশ করা হবে, ফেরাউন গোত্রকে কঠিনতর আযাবে দাখিল কর।^{—মুহিউদ্দীন খান}

The Fire, they are exposed to it morning and evening. And the Day the Hour appears [it will be said], "Make the people of Pharaoh enter the severest punishment."^{—Saheeh International}

وَإِذْ يَتَحَاجُّونَ فِي النَّارِ فَيَقُولُ الضُّعَفَاءُ لِلَّذِينَ اسْتَكْبَرُوا إِنَّا كُنَّا لَكُمْ تَبَعًا فَهَلْ أَنْتُمْ مُغْنُونَ عَنَّا نَصِيبًا مِنَ النَّارِ۝

٤٠:٤٧

৪০:৪৭

40:47

আর দেখো! তারা আগুনের মধ্যে পরস্পর তর্কাতর্কি করবে, তখন দুর্বলেরা বলবে তাদের যারা হামবড়াই করত -- ''অবশ্য আমরা তো তোমাদেরই তাঁবেদার ছিলাম, সুতরাং তোমরা কি আমাদের থেকে আগুনের কিছুটা অংশ সরিয়ে নেবে?’’^{—জহুরুল হক}
যখন তারা জাহান্নামে পরস্পর বিতর্ক করবে, অতঃপর দূর্বলরা অহংকারীদেরকে বলবে, আমরা তোমাদের অনুসারী ছিলাম। তোমরা এখন জাহান্নামের আগুনের কিছু অংশ আমাদের থেকে নিবৃত করবে কি?^{—মুহিউদ্দীন খান}

And [mention] when they will argue within the Fire, and the weak will say to those who had been arrogant, "Indeed, we were [only] your followers, so will you relieve us of a share of the Fire?"^{—Saheeh International}

قَالَ الَّذِينَ اسْتَكْبَرُوا إِنَّا كُلٌّ فِيهَا إِنَّ اللَّهَ قَدْ حَكَمَ بَيْنَ الْعِبَادِ۝

٤٠:٤٨

৪০:৪৮

40:48

যারা হামবড়াই করত তারা বলবে -- ''আমরা তো সব-ক’জনই এর মধ্যে রয়েছি। নিঃসন্দেহ আল্লাহ্ বিচার-মীমাংসা করে ফেলেছেন বান্দাদের মধ্যে।’’^{—জহুরুল হক}
অহংকারীরা বলবে, আমরা সবাই তো জাহান্নামে আছি। আল্লাহ তাঁর বান্দাদের ফয়সালা করে দিয়েছেন।^{—মুহিউদ্দীন খান}

Those who had been arrogant will say, "Indeed, all [of us] are in it. Indeed, Allah has judged between the servants."^{—Saheeh International}

وَقَالَ الَّذِينَ فِي النَّارِ لِخَزَنَةِ جَهَنَّمَ ادْعُوا رَبَّكُمْ يُخَفِّفْ عَنَّا يَوْمًا مِنَ الْعَذَابِ۝

٤٠:٤٩

৪০:৪৯

40:49

আর যারা আগুনের মধ্যে রয়েছে তারা জাহান্নামের রক্ষীদের বলবে -- ''তোমাদের প্রভুকে ডেকে বল তিনি যেন একটা দিন আমাদের থেকে শাস্তির কিছুটা লাঘব করে দেন।’’^{—জহুরুল হক}
যারা জাহান্নামে আছে, তারা জাহান্নামের রক্ষীদেরকে বলবে, তোমরা তোমাদের পালনকর্তাকে বল, তিনি যেন আমাদের থেকে একদিনের আযাব লাঘব করে দেন।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And those in the Fire will say to the keepers of Hell, "Supplicate your Lord to lighten for us a day from the punishment."^{—Saheeh International}

قَالُوا أَوَلَمْ تَكُ تَأْتِيكُمْ رُسُلُكُمْ بِالْبَيِّنَاتِ ۖ قَالُوا بَلَىٰ ۚ قَالُوا فَادْعُوا ۗ وَمَا دُعَاءُ الْكَافِرِينَ إِلَّا فِي ضَلَالٍ۝

٤٠:٥٠

৪০:৫০

40:50

তারা বলবে, ''এমনটি কি তোমাদের ক্ষেত্রে নয় যে তোমাদের রসূলগণ তোমাদের কাছে স্পষ্ট প্রমাণাবলী নিয়ে এসেছিলেন?’’ তারা বলবে, ''হ্যাঁ।’’ তারা বলবে -- ''তাহলে ডাকতে থাকো, বস্তুতঃ অবিশ্বাসীদের আর্তনাদ ব্যর্থতায় বৈ তো নয়।’’^{—জহুরুল হক}
রক্ষীরা বলবে, তোমাদের কাছে কি সুস্পষ্ট প্রমাণাদিসহ তোমাদের রসূল আসেননি? তারা বলবে হ্যাঁ। রক্ষীরা বলবে, তবে তোমরাই দোয়া কর। বস্তুতঃ কাফেরদের দোয়া নিস্ফলই হয়।^{—মুহিউদ্দীন খান}

They will say, "Did there not come to you your messengers with clear proofs?" They will say, "Yes." They will reply, "Then supplicate [yourselves], but the supplication of the disbelievers is not except in error."^{—Saheeh International}

إِنَّا لَنَنْصُرُ رُسُلَنَا وَالَّذِينَ آمَنُوا فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَيَوْمَ يَقُومُ الْأَشْهَادُ۝

٤٠:٥١

৪০:৫১

40:51

নিঃসন্দেহ আমরা অবশ্যই আমাদের রসূলগণকে ও যারা ঈমান এনেছে তাদের সাহায্য করে থাকি এই দুনিয়ার জীবনে আর সেইদিন যখন সাক্ষীরা দাঁড়াবে, --^{—জহুরুল হক}
আমি সাহায্য করব রসূলগণকে ও মুমিনগণকে পার্থিব জীবনে ও সাক্ষীদের দন্ডায়মান হওয়ার দিবসে।^{—মুহিউদ্দীন খান}

Indeed, We will support Our messengers and those who believe during the life of this world and on the Day when the witnesses will stand -^{—Saheeh International}

يَوْمَ لَا يَنْفَعُ الظَّالِمِينَ مَعْذِرَتُهُمْ ۖ وَلَهُمُ اللَّعْنَةُ وَلَهُمْ سُوءُ الدَّارِ۝

٤٠:٥٢

৪০:৫২

40:52

সেদিন অন্যায়াচারীদের কোনো উপকারে লাগবে না তাদের অজুহাতগুলো, আর তাদের জন্য থাকবে ধিক্কার, আর তাদের জন্য রয়েছে নিকৃষ্ট আবাস।^{—জহুরুল হক}
সে দিন যালেমদের ওযর-আপত্তি কোন উপকারে আসবে না, তাদের জন্যে থাকবে অভিশাপ এবং তাদের জন্যে থাকবে মন্দ গৃহ।^{—মুহিউদ্দীন খান}

The Day their excuse will not benefit the wrongdoers, and they will have the curse, and they will have the worst home.^{—Saheeh International}

وَلَقَدْ آتَيْنَا مُوسَى الْهُدَىٰ وَأَوْرَثْنَا بَنِي إِسْرَائِيلَ الْكِتَابَ۝

٤٠:٥٣

৪০:৫৩

40:53

আর আমরা ইতিপূর্বে মূসাকে পথনির্দেশ দিয়েছিলাম, এবং ইসরাইলের বংশধরদের উত্তরাধিকার করতে দিয়েছিলাম ধর্মগ্রন্থ --^{—জহুরুল হক}
নিশ্চয় আমি মূসাকে হেদায়েত দান করেছিলাম এবং বনী ইসরাঈলকে কিতাবের উত্তরাধিকারী করেছিলাম।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And We had certainly given Moses guidance, and We caused the Children of Israel to inherit the Scripture^{—Saheeh International}

هُدًى وَذِكْرَىٰ لِأُولِي الْأَلْبَابِ۝

٤٠:٥٤

৪০:৫৪

40:54

পথনির্দেশ ও স্মরণীয় বার্তা বুদ্ধিবিবেচনা থাকা লোকদের জন্য।^{—জহুরুল হক}
বুদ্ধিমানদের জন্যে উপদেশ ও হেদায়েত স্বরূপ।^{—মুহিউদ্দীন খান}

As guidance and a reminder for those of understanding.^{—Saheeh International}

فَاصْبِرْ إِنَّ وَعْدَ اللَّهِ حَقٌّ وَاسْتَغْفِرْ لِذَنْبِكَ وَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ بِالْعَشِيِّ وَالْإِبْكَارِ۝

٤٠:٥٥

৪০:৫৫

40:55

সুতরাং তুমি অধ্যবসায় চালিয়ে যাও, নিঃসন্দেহ আল্লাহ্‌র ওয়াদা ধ্রুবসত্য। আর তুমি তোমার দোষত্রুটির জন্য পরিত্রাণ খুঁজো এবং তোমার প্রভুর প্রশংসার সাথে রাত্রি ও প্রভাতে জপতপ করো।^{—জহুরুল হক}
অতএব, আপনি সবর করুন নিশ্চয় আল্লাহর ওয়াদা সত্য। আপনি আপনার গোনাহের জন্যে ক্ষমা প্রর্থনা করুন এবং সকাল-সন্ধ্যায় আপনার পালনকর্তার প্রশংসাসহ পবিত্রতা বর্ণনা করুন।^{—মুহিউদ্দীন খান}

So be patient, [O Muhammad]. Indeed, the promise of Allah is truth. And ask forgiveness for your sin and exalt [Allah] with praise of your Lord in the evening and the morning.^{—Saheeh International}

إِنَّ الَّذِينَ يُجَادِلُونَ فِي آيَاتِ اللَّهِ بِغَيْرِ سُلْطَانٍ أَتَاهُمْ ۙ إِنْ فِي صُدُورِهِمْ إِلَّا كِبْرٌ مَا هُمْ بِبَالِغِيهِ ۚ فَاسْتَعِذْ بِاللَّهِ ۖ إِنَّهُ هُوَ السَّمِيعُ الْبَصِيرُ۝

٤٠:٥٦

৪০:৫৬

40:56

নিঃসন্দহ যারা আল্লাহ্‌র বাণীসমূহ নিয়ে তর্কবিতর্ক করে তাদের কাছে কোনো দলিল-প্রমাণের আগমন ব্যতিরেকে, তাদের অন্তরে রয়েছে হামবড়াই বৈ তো নয়, যা তারা কখনো লাভ করতে পারবে না। সুতরাং আল্লাহ্‌র কাছে আশ্রয় চাও। নিঃসন্দেহ তিনি স্বয়ং সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।^{—জহুরুল হক}
নিশ্চয় যারা আল্লাহর আয়াত সম্পর্কে বিতর্ক করে তাদের কাছে আগত কোন দলীল ব্যতিরেকে, তাদের অন্তরে আছে কেবল আত্নম্ভরিতা, যা অর্জনে তারা সফল হবে না। অতএব, আপনি আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করুন। নিশ্চয় তিনি সবকিছু শুনেন, সবকিছু দেখেন।^{—মুহিউদ্দীন খান}

Indeed, those who dispute concerning the signs of Allah without [any] authority having come to them - there is not within their breasts except pride, [the extent of] which they cannot reach. So seek refuge in Allah. Indeed, it is He who is the Hearing, the Seeing.^{—Saheeh International}

لَخَلْقُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ أَكْبَرُ مِنْ خَلْقِ النَّاسِ وَلَـٰكِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَعْلَمُونَ۝

٤٠:٥٧

৪০:৫৭

40:57

মহাকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সৃষ্টি নিশ্চয়ই মানুষের সৃষ্টির চেয়ে কঠিনতর, কিন্ত অধিকাংশ লোকেই জানে না।^{—জহুরুল হক}
মানুষের সৃষ্টি অপেক্ষা নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডলের সৃষ্টি কঠিনতর। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ বোঝে না।^{—মুহিউদ্দীন খান}

The creation of the heavens and earth is greater than the creation of mankind, but most of the people do not know.^{—Saheeh International}

وَمَا يَسْتَوِي الْأَعْمَىٰ وَالْبَصِيرُ وَالَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ وَلَا الْمُسِيءُ ۚ قَلِيلًا مَا تَتَذَكَّرُونَ۝

٤٠:٥٨

৪০:৫৮

40:58

আর অন্ধ ও চক্ষুষ্মান একসমান নয়, আর যারা ঈমান এনেছে ও সৎকাজ করছে এবং দুস্কর্মকারীরাও নয়। সামান্যই তা যা তোমরা মনোনিবেশ করে থাকো!^{—জহুরুল হক}
অন্ধ ও চক্ষুষ্মান সমান নয়, আর যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে এবং কুকর্মী। তোমরা অল্পই অনুধাবন করে থাক।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And not equal are the blind and the seeing, nor are those who believe and do righteous deeds and the evildoer. Little do you remember.^{—Saheeh International}

إِنَّ السَّاعَةَ لَآتِيَةٌ لَا رَيْبَ فِيهَا وَلَـٰكِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ لَا يُؤْمِنُونَ۝

٤٠:٥٩

৪০:৫৯

40:59

নিঃসন্দেহ ঘড়িঘন্টা প্রায় এসেই গেছে, এতে কোনো সন্দেহ নাই। কিন্ত অধিকাংশ লোকই বিশ্বাস করে না।^{—জহুরুল হক}
কেয়ামত অবশ্যই আসবে, এতে সন্দেহ নেই; কিন্ত অধিকাংশ লোক বিশ্বাস স্থাপন করে না।^{—মুহিউদ্দীন খান}

Indeed, the Hour is coming - no doubt about it - but most of the people do not believe.^{—Saheeh International}

وَقَالَ رَبُّكُمُ ادْعُونِي أَسْتَجِبْ لَكُمْ ۚ إِنَّ الَّذِينَ يَسْتَكْبِرُونَ عَنْ عِبَادَتِي سَيَدْخُلُونَ جَهَنَّمَ دَاخِرِينَ۝

٤٠:٦٠

৪০:৬০

40:60

আর তোমাদের প্রভু বলেন -- ''তোমরা আমাকে আহ্বান করো, আমি তোমাদের প্রতি সাড়া দেব। নিঃসন্দেহ যারা আমাকে উপাসনা করার বেলা অহংকার বোধ করে তারা অচিরেই জাহান্নামে প্রবেশ করবে লাঞ্ছিত অবস্থায়।’’^{—জহুরুল হক}
তোমাদের পালনকর্তা বলেন, তোমরা আমাকে ডাক, আমি সাড়া দেব। যারা আমার এবাদতে অহংকার করে তারা সত্বরই জাহান্নামে দাখিল হবে লাঞ্ছিত হয়ে।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And your Lord says, "Call upon Me; I will respond to you." Indeed, those who disdain My worship will enter Hell [rendered] contemptible.^{—Saheeh International}

اللَّهُ الَّذِي جَعَلَ لَكُمُ اللَّيْلَ لِتَسْكُنُوا فِيهِ وَالنَّهَارَ مُبْصِرًا ۚ إِنَّ اللَّهَ لَذُو فَضْلٍ عَلَى النَّاسِ وَلَـٰكِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَشْكُرُونَ۝

٤٠:٦١

৪০:৬১

40:61

আল্লাহ্‌ই তিনি যিনি তোমাদের জন্য রাতকে সৃষ্টি করেছেন যেন তোমরা তাতে বিশ্রাম করতে পারো, আর দিনকে দেখবার জন্য। নিঃসন্দেহ আল্লাহ্ তো মানুষের প্রতি করুণাভান্ডারের অধিকারী, কিন্ত অধিকাংশ লোকই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না।^{—জহুরুল হক}
তিনিই আল্লাহ যিনি রাত্র সৃষ্টি করেছেন তোমাদের বিশ্রামের জন্যে এবং দিবসকে করেছেন দেখার জন্যে। নিশ্চয় আল্লাহ মানুষের প্রতি অনুগ্রহশীল, কিন্তু অধিকাংশ মানুষ কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে না।^{—মুহিউদ্দীন খান}

It is Allah who made for you the night that you may rest therein and the day giving sight. Indeed, Allah is full of bounty to the people, but most of the people are not grateful.^{—Saheeh International}

ذَٰلِكُمُ اللَّهُ رَبُّكُمْ خَالِقُ كُلِّ شَيْءٍ لَا إِلَـٰهَ إِلَّا هُوَ ۖ فَأَنَّىٰ تُؤْفَكُونَ۝

٤٠:٦٢

৪০:৬২

40:62

এইই আল্লাহ্‌, তোমাদের প্রভু, সব-কিছুর সৃষ্টিকর্তা, তিনি ছাড়া অন্য উপাস্য নেই, সুতরাং কার কাছ থেকে তোমরা ফিরে যাচ্ছ?^{—জহুরুল হক}
তিনি আল্লাহ, তোমাদের পালনকর্তা, সব কিছুর স্রষ্টা। তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। অতএব তোমরা কোথায় বিভ্রান্ত হচ্ছ?^{—মুহিউদ্দীন খান}

That is Allah, your Lord, Creator of all things; there is no deity except Him, so how are you deluded?^{—Saheeh International}

كَذَٰلِكَ يُؤْفَكُ الَّذِينَ كَانُوا بِآيَاتِ اللَّهِ يَجْحَدُونَ۝

٤٠:٦٣

৪০:৬৩

40:63

এইভাবেই ফিরে যাচ্ছিল তারা যারা আল্লাহ্‌র নির্দেশাবলীকে প্রত্যাখ্যান করছিল।^{—জহুরুল হক}
এমনিভাবে তাদেরকে বিভ্রান্ত করা হয়, যারা আল্লাহর আয়াতসমূহকে অস্বীকার করে।^{—মুহিউদ্দীন খান}

Thus were those [before you] deluded who were rejecting the signs of Allah.^{—Saheeh International}

اللَّهُ الَّذِي جَعَلَ لَكُمُ الْأَرْضَ قَرَارًا وَالسَّمَاءَ بِنَاءً وَصَوَّرَكُمْ فَأَحْسَنَ صُوَرَكُمْ وَرَزَقَكُمْ مِنَ الطَّيِّبَاتِ ۚ ذَٰلِكُمُ اللَّهُ رَبُّكُمْ ۖ فَتَبَارَكَ اللَّهُ رَبُّ الْعَالَمِينَ۝

٤٠:٦٤

৪০:৬৪

40:64

আল্লাহ্‌ই তিনি যিনি তোমাদের জন্য পৃথিবীকে বাসোপযোগী বানিয়েছেন আর আকাশকে একটি চাঁদোয়া, আর তিনি তোমাদের আকৃতি গঠন করেছেন, সুতরাং তিনি তোমাদের আকৃতি কত সুন্দর করেছেন! আর তিনি তোমাদের জীবিকা দিয়েছেন উৎকৃষ্ট বস্তু থেকে। এইই হচ্ছেন আল্লাহ্ -- তোমাদের প্রভু। অতএব সকল মহিমার পাত্র আল্লাহ্ -- বিশ্বজগতের প্রভু।^{—জহুরুল হক}
আল্লাহ, পৃথিবীকে করেছেন তোমাদের জন্যে বাসস্থান, আকাশকে করেছেন ছাদ এবং তিনি তোমাদেরকে আকৃতি দান করেছেন, অতঃপর তোমাদের আকৃতি সুন্দর করেছেন এবং তিনি তোমাদেরকে দান করেছেন পরিচ্ছন্ন রিযিক। তিনি আল্লাহ, তোমাদের পালনকর্তা। বিশ্বজগতের পালনকর্তা, আল্লাহ বরকতময়।^{—মুহিউদ্দীন খান}

It is Allah who made for you the earth a place of settlement and the sky a ceiling and formed you and perfected your forms and provided you with good things. That is Allah, your Lord; then blessed is Allah, Lord of the worlds.^{—Saheeh International}

هُوَ الْحَيُّ لَا إِلَـٰهَ إِلَّا هُوَ فَادْعُوهُ مُخْلِصِينَ لَهُ الدِّينَ ۗ الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ۝

٤٠:٦٥

৪০:৬৫

40:65

তিনি সদাজীবিত, তিনি ছাড়া অন্য উপাস্য নেই, সুতরাং ধর্মে তাঁর প্রতি একনিষ্ঠচিত্তে তাঁকেই ডাকো। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্‌র যিনি বিশ্বজগতের প্রভু।^{—জহুরুল হক}
তিনি চিরঞ্জীব, তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। অতএব, তাঁকে ডাক তাঁর খাঁটি এবাদতের মাধ্যমে। সমস্ত প্রশংসা বিশ্বজগতের পালনকর্তা আল্লাহর।^{—মুহিউদ্দীন খান}

He is the Ever-Living; there is no deity except Him, so call upon Him, [being] sincere to Him in religion. [All] praise is [due] to Allah, Lord of the worlds.^{—Saheeh International}

قُلْ إِنِّي نُهِيتُ أَنْ أَعْبُدَ الَّذِينَ تَدْعُونَ مِنْ دُونِ اللَّهِ لَمَّا جَاءَنِيَ الْبَيِّنَاتُ مِنْ رَبِّي وَأُمِرْتُ أَنْ أُسْلِمَ لِرَبِّ الْعَالَمِينَ۝

٤٠:٦٦

৪০:৬৬

40:66

বলো -- ''নিঃসন্দেহ আমাকে নিষেধ করা হয়েছে তাদের উপাসনা করতে যাদের তোমরা উপাসনা কর আল্লাহ্‌কে বাদ দিয়ে, -- যখন আমার কাছে আমার প্রভুর কাছ থেকে স্পষ্ট প্রমাণাবলী এসেছে, আর আমাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেন আমি বিশ্বজগতের প্রভুর প্রতি আ‌ত্মসমর্পণ করি।^{—জহুরুল হক}
বলুন, যখন আমার কাছে আমার পালনকর্তার পক্ষ থেকে স্পষ্ট প্রমাণাদি এসে গেছে, তখন আল্লাহ ব্যতীত তোমরা যার পূজা কর, তার এবাদত করতে আমাকে নিষেধ করা হয়েছে। আমাকে আদেশ করা হয়েছে বিশ্ব পালনকর্তার অনুগত থাকতে।^{—মুহিউদ্দীন খান}

Say, [O Muhammad], "Indeed, I have been forbidden to worship those you call upon besides Allah once the clear proofs have come to me from my Lord, and I have been commanded to submit to the Lord of the worlds."^{—Saheeh International}

هُوَ الَّذِي خَلَقَكُمْ مِنْ تُرَابٍ ثُمَّ مِنْ نُطْفَةٍ ثُمَّ مِنْ عَلَقَةٍ ثُمَّ يُخْرِجُكُمْ طِفْلًا ثُمَّ لِتَبْلُغُوا أَشُدَّكُمْ ثُمَّ لِتَكُونُوا شُيُوخًا ۚ وَمِنْكُمْ مَنْ يُتَوَفَّىٰ مِنْ قَبْلُ ۖ وَلِتَبْلُغُوا أَجَلًا مُسَمًّى وَلَعَلَّكُمْ تَعْقِلُونَ۝

٤٠:٦٧

৪০:৬৭

40:67

''তিনিই সেইজন যিনি তোমাদের সৃষ্টি করেছেন মাটি থেকে, তারপর শুক্রকীট থেকে, তারপর রক্তপিন্ড থেকে, তারপর তিনি তোমাদের বের করে আনেন শিশুরূপে, তারপর যেন তোমরা বাড়তে পারো তোমাদের পূর্ণযৌবনে, তারপর যেন তোমরা বৃদ্ধ হতে পারো, আর তোমাদের মধ্যে কাউকে মরতে দেওয়া হয় আগেই, -- কাজেকাজেই তোমরা যেন নির্ধারিত সময়সীমায় পৌঁছুতে পারো, আর যেন তোমরা বুঝতে-সুঝতে পারো।^{—জহুরুল হক}
তিনি তো তোমাদের সৃষ্টি করেছেন মাটির দ্বারা, অতঃপর শুক্রবিন্দু দ্বারা, অতঃপর জমাট রক্ত দ্বারা, অতঃপর তোমাদেরকে বের করেন শিশুরূপে, অতঃপর তোমরা যৌবনে পদর্পণ কর, অতঃপর বার্ধক্যে উপনীত হও। তোমাদের কারও কারও এর পূর্বেই মৃত্যু ঘটে এবং তোমরা নির্ধারিত কালে পৌঁছ এবং তোমরা যাতে অনুধাবন কর।^{—মুহিউদ্দীন খান}

It is He who created you from dust, then from a sperm-drop, then from a clinging clot; then He brings you out as a child; then [He develops you] that you reach your [time of] maturity, then [further] that you become elders. And among you is he who is taken in death before [that], so that you reach a specified term; and perhaps you will use reason.^{—Saheeh International}

هُوَ الَّذِي يُحْيِي وَيُمِيتُ ۖ فَإِذَا قَضَىٰ أَمْرًا فَإِنَّمَا يَقُولُ لَهُ كُنْ فَيَكُونُ۝

٤٠:٦٨

৪০:৬৮

40:68

''তিনিই সেইজন যিনি জীবনদান করেন ও মৃত্যু ঘটান, সুতরাং তিনি যখন কোনো ব্যাপারের বিধান করেন তখন শুধুমাত্র তিনি সে-সন্বন্ধে বলেন -- 'হও’, ফলে তা হয়ে যায়।’’^{—জহুরুল হক}
তিনিই জীবিত করেন এবং মৃত্যু দেন। যখন তিনি কোন কাজের আদেশ করেন, তখন একথাই বলেন, হয়ে যা’-তা হয়ে যায়।^{—মুহিউদ্দীন খান}

He it is who gives life and causes death; and when He decrees a matter, He but says to it, "Be," and it is.^{—Saheeh International}

أَلَمْ تَرَ إِلَى الَّذِينَ يُجَادِلُونَ فِي آيَاتِ اللَّهِ أَنَّىٰ يُصْرَفُونَ۝

٤٠:٦٩

৪০:৬৯

40:69

তুমি কি তাদের দিকে চেয়ে দেখো নি যারা আল্লাহ্‌র নির্দেশাবলী নিয়ে বিতর্ক করে? ওরা কেমন করে ফিরে যাচ্ছে --^{—জহুরুল হক}
আপনি কি তাদেরকে দেখেননি, যারা আল্লাহর আয়াত সম্পর্কে বিতর্ক করে, তারা কোথায় ফিরছে?^{—মুহিউদ্দীন খান}

Do you not consider those who dispute concerning the signs of Allah - how are they averted?^{—Saheeh International}

الَّذِينَ كَذَّبُوا بِالْكِتَابِ وَبِمَا أَرْسَلْنَا بِهِ رُسُلَنَا ۖ فَسَوْفَ يَعْلَمُونَ۝

٤٠:٧٠

৪০:৭০

40:70

যারা গ্রন্থখানাকে প্রত্যাখ্যান করছে, আর যা দিয়ে আমরা আমাদের রসূলগণকে পাঠিয়েছিলাম? কিন্ত শীগগিরই তারা বুঝতে পারবে --^{—জহুরুল হক}
যারা কিতাবের প্রতি এবং যে বিষয় দিয়ে আমি পয়গম্বরগণকে প্রেরণ করেছি, সে বিষয়ের প্রতি মিথ্যারোপ করে। অতএব, সত্বরই তারা জানতে পারবে।^{—মুহিউদ্দীন খান}

Those who deny the Book and that with which We sent Our messengers - they are going to know,^{—Saheeh International}

إِذِ الْأَغْلَالُ فِي أَعْنَاقِهِمْ وَالسَّلَاسِلُ يُسْحَبُونَ۝

٤٠:٧١

৪০:৭১

40:71

যখন তাদের গলায় বেড়ি হবে আর হবে শিকল। তাদের টেনে নিয়ে যাওয়া হবে --^{—জহুরুল হক}
যখন বেড়িও শৃঙ্খল তাদের গলদেশে পড়বে। তাদেরকে টেনে নিয়ে যাওয়া হবে।^{—মুহিউদ্দীন খান}

When the shackles are around their necks and the chains; they will be dragged^{—Saheeh International}

فِي الْحَمِيمِ ثُمَّ فِي النَّارِ يُسْجَرُونَ۝

٤٠:٧٢

৪০:৭২

40:72

ফুটন্ত পানির মধ্যে, তারপর তাদের জ্বলতে দেওয়া হবে আগুনের মধ্যে।^{—জহুরুল হক}
ফুটন্ত পানিতে, অতঃপর তাদেরকে আগুনে জ্বালানো হবে।^{—মুহিউদ্দীন খান}

In boiling water; then in the Fire they will be filled [with flame].^{—Saheeh International}

ثُمَّ قِيلَ لَهُمْ أَيْنَ مَا كُنْتُمْ تُشْرِكُونَ۝

٤٠:٧٣

৪০:৭৩

40:73

তখন তাদের বলা হবে -- ''কোথায় আছে তারা যাদের তোমরা শরিক করতে --^{—জহুরুল হক}
অতঃপর তাদেরকে বলা হবে, কোথায় গেল যাদেরকে তোমরা শরীক করতে।^{—মুহিউদ্দীন খান}

Then it will be said to them, "Where is that which you used to associate [with Him in worship]^{—Saheeh International}

مِنْ دُونِ اللَّهِ ۖ قَالُوا ضَلُّوا عَنَّا بَلْ لَمْ نَكُنْ نَدْعُو مِنْ قَبْلُ شَيْئًا ۚ كَذَٰلِكَ يُضِلُّ اللَّهُ الْكَافِرِينَ۝

٤٠:٧٤

৪০:৭৪

40:74

আল্লাহ্‌কে বাদ দিয়ে?’’ তারা বলবে, ''তারা আমাদের থেকে উধাও হয়েছে, বস্তুতঃ আমরা ইতিপূর্বে এমন কিছুকে আহ্বান করে চলি নি।’’ এভাবেই আল্লাহ্ পথভ্রষ্ট হতে দেন অবিশ্বাসীদের।^{—জহুরুল হক}
আল্লাহ ব্যতীত? তারা বলবে, তারা আমাদের কাছ থেকে উধাও হয়ে গেছে; বরং আমরা তো ইতিপূর্বে কোন কিছুর পূজাই করতাম না। এমনি ভাবে আল্লাহ কাফেরদেরকে বিভ্রান্ত করেন।^{—মুহিউদ্দীন খান}

Other than Allah?" They will say, "They have departed from us; rather, we did not used to invoke previously anything." Thus does Allah put astray the disbelievers.^{—Saheeh International}

ذَٰلِكُمْ بِمَا كُنْتُمْ تَفْرَحُونَ فِي الْأَرْضِ بِغَيْرِ الْحَقِّ وَبِمَا كُنْتُمْ تَمْرَحُونَ۝

٤٠:٧٥

৪০:৭৫

40:75

এমনটাই তোমাদের জন্য কেননা তোমরা দুনিয়াতে বেপরোয়া ব্যবহার করতে কোনো যুক্তি ব্যতীত, আর যেহেতু তোমরা হামবড়াই করতে।^{—জহুরুল হক}
এটা একারণে যে, তোমরা দুনিয়াতে অন্যায়ভাবে আনন্দ-উল্লাস করতে এবং এ কারণে যে, তোমরা ঔদ্ধত্য করতে।^{—মুহিউদ্দীন খান}

[The angels will say], "That was because you used to exult upon the earth without right and you used to behave insolently.^{—Saheeh International}

ادْخُلُوا أَبْوَابَ جَهَنَّمَ خَالِدِينَ فِيهَا ۖ فَبِئْسَ مَثْوَى الْمُتَكَبِّرِينَ۝

٤٠:٧٦

৪০:৭৬

40:76

''তোমরা জাহান্নামের দরজাগুলো দিয়ে প্রবেশ করো তাতে অবস্থানের জন্য। সুতরাং গর্বিতদের আবাসস্থল কত নিকৃষ্ট!’’^{—জহুরুল হক}
প্রবেশ কর তোমরা জাহান্নামের দরজা দিয়ে সেখানে চিরকাল বসবাসের জন্যে। কত নিকৃষ্ট দাম্ভিকদের আবাসস্থল।^{—মুহিউদ্দীন খান}

Enter the gates of Hell to abide eternally therein, and wretched is the residence of the arrogant."^{—Saheeh International}

فَاصْبِرْ إِنَّ وَعْدَ اللَّهِ حَقٌّ ۚ فَإِمَّا نُرِيَنَّكَ بَعْضَ الَّذِي نَعِدُهُمْ أَوْ نَتَوَفَّيَنَّكَ فَإِلَيْنَا يُرْجَعُونَ۝

٤٠:٧٧

৪০:৭৭

40:77

কাজেই তুমি অধ্যবসায় চালিয়ে যাও, নিশ্চয় আল্লাহ্‌র ওয়াদা সত্য। সুতরাং তাদের যা ওয়াদা করা হয়েছে আমরা যদি তার কিছুটা তোমাকে দেখিয়েই দিই অথবা তোমার মৃত্যুই ঘটাই, সর্বাবস্থায় আমাদেরই কাছে তাদের ফিরিয়ে আনা হবে।^{—জহুরুল হক}
অতএব আপনি সবর করুন। নিশ্চয় আল্লাহর ওয়াদা সত্য। অতঃপর আমি কাফেরদেরকে যে শাস্তির ওয়াদা দেই, তার কিয়দংশ যদি আপনাকে দেখিয়ে দেই অথবা আপনার প্রাণ হরণ করে নেই, সর্বাবস্থায় তারা তো আমারই কাছে ফিরে আসবে।^{—মুহিউদ্দীন খান}

So be patient, [O Muhammad]; indeed, the promise of Allah is truth. And whether We show you some of what We have promised them or We take you in death, it is to Us they will be returned.^{—Saheeh International}

وَلَقَدْ أَرْسَلْنَا رُسُلًا مِنْ قَبْلِكَ مِنْهُمْ مَنْ قَصَصْنَا عَلَيْكَ وَمِنْهُمْ مَنْ لَمْ نَقْصُصْ عَلَيْكَ ۗ وَمَا كَانَ لِرَسُولٍ أَنْ يَأْتِيَ بِآيَةٍ إِلَّا بِإِذْنِ اللَّهِ ۚ فَإِذَا جَاءَ أَمْرُ اللَّهِ قُضِيَ بِالْحَقِّ وَخَسِرَ هُنَالِكَ الْمُبْطِلُونَ۝

٤٠:٧٨

৪০:৭৮

40:78

আর নিশ্চয়ই আমরা তোমার আগে রসূলগণকে পাঠিয়ে দিয়েছি, তাঁদের মধ্যের কারো কারো সন্বন্ধে তোমার কাছে আমরা বিবৃত করেছি, আর তাদের মধ্যের অন্যদের সন্বন্ধে আমরা তোমার কাছে বিবৃত করি নি। আর কোনো রসূলেরই কাজ নয় যে তিনি আল্লাহ্‌র অনুমতি ব্যতীত কোনো নিদর্শন নিয়ে আসবেন, কিন্ত যখন আল্লাহ্‌র নির্দেশ এসে যাবে, তখন মীমাংসা হয়ে যাবে ন্যায়সংগতভাবে, আর বাতিল করার প্রচেষ্টাকারীরা তখন তখনই নাজেহাল হবে।^{—জহুরুল হক}
আমি আপনার পূর্বে অনেক রসূল প্রেরণ করেছি, তাদের কারও কারও ঘটনা আপনার কাছে বিবৃত করেছি এবং কারও কারও ঘটনা আপনার কাছে বিবৃত করিনি। আল্লাহর অনুমতি ব্যতীত কোন নিদর্শন নিয়ে আসা কোন রসূলের কাজ নয়। যখন আল্লাহর আদেশ আসবে, তখন ন্যায় সঙ্গত ফয়সালা হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে মিথ্যাপন্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And We have already sent messengers before you. Among them are those [whose stories] We have related to you, and among them are those [whose stories] We have not related to you. And it was not for any messenger to bring a sign [or verse] except by permission of Allah. So when the command of Allah comes, it will be concluded in truth, and the falsifiers will thereupon lose [all].^{—Saheeh International}

اللَّهُ الَّذِي جَعَلَ لَكُمُ الْأَنْعَامَ لِتَرْكَبُوا مِنْهَا وَمِنْهَا تَأْكُلُونَ۝

٤٠:٧٩

৪০:৭৯

40:79

আল্লাহই তিনি যিনি তেমাদের জন্য গবাদি-পশু সৃষ্টি করেছেন যেন তোমরা তাদের কতকগুলোয় চড়তে পরো ও তাদের কতকটা তোমরা খেতে পারো,^{—জহুরুল হক}
আল্লাহ তোমাদের জন্যে চতুস্পদ জন্তু সৃষ্টি করেছেন, যাতে কোন কোনটিই বাহন হিসাবে ব্যবহার কর এবং কোন কোনটিকে ভক্ষণ কর।^{—মুহিউদ্দীন খান}

It is Allah who made for you the grazing animals upon which you ride, and some of them you eat.^{—Saheeh International}

وَلَكُمْ فِيهَا مَنَافِعُ وَلِتَبْلُغُوا عَلَيْهَا حَاجَةً فِي صُدُورِكُمْ وَعَلَيْهَا وَعَلَى الْفُلْكِ تُحْمَلُونَ۝

٤٠:٨٠

৪০:৮০

40:80

আর তোমাদের জন্য তাদের মধ্যে রয়েছে মুনাফা, আর যেন তাদের সাহায্যে তোমরা পূরণ করতে পারো তোমাদের অন্তরের বাসনা, আর তাদের উপরে ও জাহাজের উপরে তোমাদের বহন করা হয়।^{—জহুরুল হক}
তাতে তোমাদের জন্যে অনেক উপকারিতা রয়েছে আর এজন্যে সৃষ্টি করেছেন; যাতে সেগুলোতে আরোহণ করে তোমরা তোমাদের অভীষ্ট প্রয়োজন পূর্ণ করতে পার। এগুলোর উপর এবং নৌকার উপর তোমরা বাহিত হও।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And for you therein are [other] benefits and that you may realize upon them a need which is in your breasts; and upon them and upon ships you are carried.^{—Saheeh International}

وَيُرِيكُمْ آيَاتِهِ فَأَيَّ آيَاتِ اللَّهِ تُنْكِرُونَ۝

٤٠:٨١

৪০:৮১

40:81

আর তিনি তোমাদের দেখিয়ে থাকেন তাঁর নিদর্শনসমূহ। সুতরাং আল্লাহ্‌র নিদর্শনাবলীর কোনটি তোমরা প্রত্যাখ্যান করবে?^{—জহুরুল হক}
তিনি তোমাদেরকে তাঁর নিদর্শনাবলী দেখান। অতএব, তোমরা আল্লাহর কোন কোন নিদর্শনকে অস্বীকার করবে?^{—মুহিউদ্দীন খান}

And He shows you His signs. So which of the signs of Allah do you deny?^{—Saheeh International}

أَفَلَمْ يَسِيرُوا فِي الْأَرْضِ فَيَنْظُرُوا كَيْفَ كَانَ عَاقِبَةُ الَّذِينَ مِنْ قَبْلِهِمْ ۚ كَانُوا أَكْثَرَ مِنْهُمْ وَأَشَدَّ قُوَّةً وَآثَارًا فِي الْأَرْضِ فَمَا أَغْنَىٰ عَنْهُمْ مَا كَانُوا يَكْسِبُونَ۝

٤٠:٨٢

৪০:৮২

40:82

ওরা কি তবে পৃথিবীতে পরিভ্রমণ করে নি, তাহলে ওরা দেখতে পেতো কেমন হয়েছিল তাদের পরিণাম যারা ওদের পূর্ববর্তী ছিল? তারা ওদের চেয়ে অধিকসংখ্যক ছিল আর শক্তিতে প্রবলতর ও দুনিয়াতে কীর্তিস্থাপনে ছিল পারদর্শী। কিন্ত তারা যা অর্জন করে চলেছিল তা তাদের কোনো কাজে আসে নি।^{—জহুরুল হক}
তারা কি পৃথিবীতে ভ্রমণ করেনি? করলে দেখত, তাদের পূর্ববর্তীদের কি পরিণাম হয়েছে। তারা তাদের চেয়ে সংখ্যায় বেশী এবং শক্তি ও কীর্তিতে অধিক প্রবল ছিল, অতঃপর তাদের কর্ম তাদেরকে কোন উপকার দেয়নি।^{—মুহিউদ্দীন খান}

Have they not traveled through the land and observed how was the end of those before them? They were more numerous than themselves and greater in strength and in impression on the land, but they were not availed by what they used to earn.^{—Saheeh International}

فَلَمَّا جَاءَتْهُمْ رُسُلُهُمْ بِالْبَيِّنَاتِ فَرِحُوا بِمَا عِنْدَهُمْ مِنَ الْعِلْمِ وَحَاقَ بِهِمْ مَا كَانُوا بِهِ يَسْتَهْزِئُونَ۝

٤٠:٨٣

৪০:৮৩

40:83

তারপর যখন তাদের রসূলগণ তাদের কাছে স্পষ্ট প্রমাণাবলী নিয়ে এসেছিলেন তখন তাদের কাছে জ্ঞানের যা রয়েছে সেজন্য তারা বেপরোয়া থাকতো, আর ওরা যা নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রপ করত তাই তাদের ঘেরাও করল।^{—জহুরুল হক}
তাদের কাছে যখন তাদের রসূলগণ স্পষ্ট প্রমাণাদিসহ আগমন করেছিল, তখন তারা নিজেদের জ্ঞান-গরিমার দম্ভ প্রকাশ করেছিল। তারা যে বিষয় নিয়ে ঠাট্টাবিদ্রুপ করেছিল, তাই তাদেরকে গ্রাস করে নিয়েছিল।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And when their messengers came to them with clear proofs, they [merely] rejoiced in what they had of knowledge, but they were enveloped by what they used to ridicule.^{—Saheeh International}

فَلَمَّا رَأَوْا بَأْسَنَا قَالُوا آمَنَّا بِاللَّهِ وَحْدَهُ وَكَفَرْنَا بِمَا كُنَّا بِهِ مُشْرِكِينَ۝

٤٠:٨٤

৪০:৮৪

40:84

সুতরাং তারা যখন আমাদের দুর্যোগ দেখতে পেল তখন বলল, ''আমরা আল্লাহ্‌তে, তাঁর একত্বে, বিশ্বাস করছি, আর যাদের আমরা তাঁর সঙ্গে শরীক করেছিলাম তাদের আমরা অস্বীকার করছি।’’^{—জহুরুল হক}
তারা যখন আমার শাস্তি প্রত্যক্ষ করল, তখন বলল, আমরা এক আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস করলাম এবং যাদেরকে শরীক করতাম, তাদেরকে পরিহার করলাম।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And when they saw Our punishment, they said," We believe in Allah alone and disbelieve in that which we used to associate with Him."^{—Saheeh International}

فَلَمْ يَكُ يَنْفَعُهُمْ إِيمَانُهُمْ لَمَّا رَأَوْا بَأْسَنَا ۖ سُنَّتَ اللَّهِ الَّتِي قَدْ خَلَتْ فِي عِبَادِهِ ۖ وَخَسِرَ هُنَالِكَ الْكَافِرُونَ۝

٤٠:٨٥

৪০:৮৫

40:85

কিন্ত যখন তারা আমাদের দুর্যোগ প্রত্যক্ষ করেছে তখন তাদের বিশ্বাসস্থাপনা তাদের কোনো উপকারে আসবে না। আল্লাহর রীতি যেটি বলবৎ হয়ে রয়েছে তাঁর বান্দাদের মধ্যে, আর অবিশ্বাসীরা তখনই নাস্তানাবুদ হবে।^{—জহুরুল হক}
অতঃপর তাদের এ ঈমান তাদের কোন উপকারে আসল না যখন তারা শাস্তি প্রত্যক্ষ করল। আল্লাহর এ নিয়মই পূর্ব থেকে তাঁর বান্দাদের মধ্যে প্রচলিত হয়েছে। সেক্ষেত্রে কাফেররা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।^{—মুহিউদ্দীন খান}

But never did their faith benefit them once they saw Our punishment. [It is] the established way of Allah which has preceded among His servants. And the disbelievers thereupon lost [all].^{—Saheeh International}