حم۝

٤٥:١

৪৫:১

45:1

হা মীম!^{—জহুরুল হক}
হা-মীম।^{—মুহিউদ্দীন খান}

Ha, Meem.^{—Saheeh International}

تَنْزِيلُ الْكِتَابِ مِنَ اللَّهِ الْعَزِيزِ الْحَكِيمِ۝

٤٥:٢

৪৫:২

45:2

এ গ্রন্থের অবতারণ আল্লাহ্‌র কাছ থেকে, যিনি মহাশক্তিশালী, পরমজ্ঞানী।^{—জহুরুল হক}
পরাক্রান্ত, প্রজ্ঞাময় আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ এ কিতাব।^{—মুহিউদ্দীন খান}

The revelation of the Book is from Allah, the Exalted in Might, the Wise.^{—Saheeh International}

إِنَّ فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ لَآيَاتٍ لِلْمُؤْمِنِينَ۝

٤٥:٣

৪৫:৩

45:3

নিঃসন্দেহ মহাকাশমন্ডলীতে ও পৃথিবীতে তো নিদর্শনাবলী রয়েছে মুমিনদের জন্য।^{—জহুরুল হক}
নিশ্চয় নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডলে মুমিনদের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে।^{—মুহিউদ্দীন খান}

Indeed, within the heavens and earth are signs for the believers.^{—Saheeh International}

وَفِي خَلْقِكُمْ وَمَا يَبُثُّ مِنْ دَابَّةٍ آيَاتٌ لِقَوْمٍ يُوقِنُونَ۝

٤٥:٤

৪৫:৪

45:4

আর তোমাদের সৃষ্টির মধ্যে এবং জীবজন্তুর মধ্যে যা তিনি ছড়িয়ে দিয়েছেন তাতে নিদর্শনাবলী রয়েছে সুনিশ্চিত লোকেদের জন্য,^{—জহুরুল হক}
আর তোমাদের সৃষ্টিতে এবং চারদিকে ছড়িয়ে রাখা জীব জন্তুর সৃজনের মধ্যেও নিদর্শনাবলী রয়েছে বিশ্বাসীদের জন্য।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And in the creation of yourselves and what He disperses of moving creatures are signs for people who are certain [in faith].^{—Saheeh International}

وَاخْتِلَافِ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ وَمَا أَنْزَلَ اللَّهُ مِنَ السَّمَاءِ مِنْ رِزْقٍ فَأَحْيَا بِهِ الْأَرْضَ بَعْدَ مَوْتِهَا وَتَصْرِيفِ الرِّيَاحِ آيَاتٌ لِقَوْمٍ يَعْقِلُونَ۝

٤٥:٥

৪৫:৫

45:5

আর রাত ও দিনের বিবর্তনে, আর আল্লাহ্ আকাশ থেকে জীবনোপকরণের মধ্যের যা-কিছু পাঠান ও যার দ্বারা পৃথিবীকে সঞ্জীবিত করেন তার মৃত্যুর পরে, আর বায়ু প্রবাহের পরিবর্তনে নিদর্শনাবলী রয়েছে সেই লোকদের জন্য যারা জ্ঞান-বুদ্ধি রাখে।^{—জহুরুল হক}
দিবারাত্রির পরিবর্তনে, আল্লাহ আকাশ থেকে যে রিযিক (বৃষ্টি) বর্ষণ করেন অতঃপর পৃথিবীকে তার মৃত্যুর পর পুনরুজ্জীবিত করেন, তাতে এবং বায়ুর পরিবর্তনে বুদ্ধিমানদের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And [in] the alternation of night and day and [in] what Allah sends down from the sky of provision and gives life thereby to the earth after its lifelessness and [in His] directing of the winds are signs for a people who reason.^{—Saheeh International}

تِلْكَ آيَاتُ اللَّهِ نَتْلُوهَا عَلَيْكَ بِالْحَقِّ ۖ فَبِأَيِّ حَدِيثٍ بَعْدَ اللَّهِ وَآيَاتِهِ يُؤْمِنُونَ۝

٤٥:٦

৪৫:৬

45:6

এইসব হচ্ছে আল্লাহ্‌র নির্দেশাবলী যা আমরা তোমার কাছে আবৃত্তি করছি যথাযথভাবে, সুতরাং আল্লাহ্ ও তাঁর নির্দেশাবলীর পরে কোন ধর্মোপদেশে তারা বিশ্বাস করবে?^{—জহুরুল হক}
এগুলো আল্লাহর আয়াত, যা আমি আপনার কাছে আবৃত্তি করি যথাযথরূপে। অতএব, আল্লাহ ও তাঁর আয়াতের পর তারা কোন কথায় বিশ্বাস স্থাপন করবে।^{—মুহিউদ্দীন খান}

These are the verses of Allah which We recite to you in truth. Then in what statement after Allah and His verses will they believe?^{—Saheeh International}

وَيْلٌ لِكُلِّ أَفَّاكٍ أَثِيمٍ۝

٤٥:٧

৪৫:৭

45:7

ধিক্ প্রত্যেক মিথ্যাবাদী পাপিষ্ঠের প্রতি।^{—জহুরুল হক}
প্রত্যেক মিথ্যাবাদী পাপাচারীর দুর্ভোগ।^{—মুহিউদ্দীন খান}

Woe to every sinful liar^{—Saheeh International}

يَسْمَعُ آيَاتِ اللَّهِ تُتْلَىٰ عَلَيْهِ ثُمَّ يُصِرُّ مُسْتَكْبِرًا كَأَنْ لَمْ يَسْمَعْهَا ۖ فَبَشِّرْهُ بِعَذَابٍ أَلِيمٍ۝

٤٥:٨

৪৫:৮

45:8

যে আল্লাহ্‌র বাণীসমূহ তার কাছে পঠিত হতে শোনে, তারপর সে অহংকারের মধ্যে অটল থাকে যেন সে সে-সব শোনেই নি। সেজন্য তাকে সুসংবাদ দাও মর্মন্তুদ শাস্তির।^{—জহুরুল হক}
সে আল্লাহর আয়াতসমূহ শুনে, অতঃপর অহংকারী হয়ে জেদ ধরে, যেন সে আয়াত শুনেনি। অতএব, তাকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির সুসংবাদ দিন।^{—মুহিউদ্দীন খান}

Who hears the verses of Allah recited to him, then persists arrogantly as if he had not heard them. So give him tidings of a painful punishment.^{—Saheeh International}

وَإِذَا عَلِمَ مِنْ آيَاتِنَا شَيْئًا اتَّخَذَهَا هُزُوًا ۚ أُولَـٰئِكَ لَهُمْ عَذَابٌ مُهِينٌ۝

٤٥:٩

৪৫:৯

45:9

আর যখন সে আমাদের বাণীগুলো থেকে কোনো কিছু জানতে পারে সে সে-সবকে তামাশা ব’লে গ্রহণ করে। এরাই -- এদেরই জন্য রয়েছে লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি।^{—জহুরুল হক}
যখন সে আমার কোন আয়াত অবগত হয়, তখন তাকে ঠাট্টারূপে গ্রহণ করে। এদের জন্যই রয়েছে লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And when he knows anything of Our verses, he takes them in ridicule. Those will have a humiliating punishment.^{—Saheeh International}

مِنْ وَرَائِهِمْ جَهَنَّمُ ۖ وَلَا يُغْنِي عَنْهُمْ مَا كَسَبُوا شَيْئًا وَلَا مَا اتَّخَذُوا مِنْ دُونِ اللَّهِ أَوْلِيَاءَ ۖ وَلَهُمْ عَذَابٌ عَظِيمٌ۝

٤٥:١٠

৪৫:১০

45:10

তাদের সামনের দিকে রয়েছে জাহান্নাম, আর তারা যা অর্জন করেছে তা তাদেরকে কোনোভাবেই লাভবান করবে না, আল্লাহ্‌কে বাদ দিয়ে যাদের তারা অভিভাবকরূপে গ্রহণ করেছিল তারাও না, আর তাদের জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি।^{—জহুরুল হক}
তাদের সামনে রয়েছে জাহান্নাম। তারা যা উপার্জন করেছে, তা তাদের কোন কাজে আসবে না, তারা আল্লাহর পরিবর্তে যাদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করেছে তারাও নয়। তাদের জন্যে রয়েছে মহাশাস্তি।^{—মুহিউদ্দীন খান}

Before them is Hell, and what they had earned will not avail them at all nor what they had taken besides Allah as allies. And they will have a great punishment.^{—Saheeh International}

هَـٰذَا هُدًى ۖ وَالَّذِينَ كَفَرُوا بِآيَاتِ رَبِّهِمْ لَهُمْ عَذَابٌ مِنْ رِجْزٍ أَلِيمٌ۝

٤٥:١١

৪৫:১১

45:11

এই হচ্ছে পথনির্দেশ, আর যারা তাদের প্রভুর বাণীসমূহ প্রত্যাখ্যান করে তাদের জন্য রয়েছে কলুষতার দরুন মর্মন্তুদ শাস্তি।^{—জহুরুল হক}
এটা সৎপথ প্রদর্শন, আর যারা তাদের পালনকর্তার আয়াতসমূহ অস্বীকার করে, তাদের জন্যে রয়েছে কঠোর যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।^{—মুহিউদ্দীন খান}

This [Qur'an] is guidance. And those who have disbelieved in the verses of their Lord will have a painful punishment of foul nature.^{—Saheeh International}

اللَّهُ الَّذِي سَخَّرَ لَكُمُ الْبَحْرَ لِتَجْرِيَ الْفُلْكُ فِيهِ بِأَمْرِهِ وَلِتَبْتَغُوا مِنْ فَضْلِهِ وَلَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ۝

٤٥:١٢

৪৫:১২

45:12

আল্লাহ্‌ই তিনি যিনি সমুদ্রকে তোমাদের অধীন করে দিয়েছেন যাতে তাঁর বিধান অনুযায়ী জাহাজগুলো তাতে চলতে পারে, আর যেন তোমরা তাঁর করুণাভান্ডার থেকে অনুসন্ধান করতে পার, আর তোমরা যেন কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পার।^{—জহুরুল হক}
তিনি আল্লাহ যিনি সমুদ্রকে তোমাদের উপকারার্থে আয়ত্বাধীন করে দিয়েছেন, যাতে তাঁর আদেশক্রমে তাতে জাহাজ চলাচল করে এবং যাতে তোমরা তাঁর অনুগ্রহ তালাশ কর ও তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ হও।^{—মুহিউদ্দীন খান}

It is Allah who subjected to you the sea so that ships may sail upon it by His command and that you may seek of His bounty; and perhaps you will be grateful.^{—Saheeh International}

وَسَخَّرَ لَكُمْ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ جَمِيعًا مِنْهُ ۚ إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَآيَاتٍ لِقَوْمٍ يَتَفَكَّرُونَ۝

٤٥:١٣

৪৫:১৩

45:13

আর তিনি তোমাদের অধীন করে দিয়েছেন মহাকাশমন্ডলীতে যা-কিছু আছে আর যা-কিছু রয়েছে পৃথিবীতে, -- এ সমস্ত তাঁর কাছ থেকে। নিঃসন্দেহ এতে তো নিদর্শনাবলী রয়েছে সেই লোকদের জন্য যারা চিন্তা করে।^{—জহুরুল হক}
এবং আয়ত্ত্বাধীন করে দিয়েছেন তোমাদের, যা আছে নভোমন্ডলে ও যা আছে ভূমন্ডলে; তাঁর পক্ষ থেকে। নিশ্চয় এতে চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And He has subjected to you whatever is in the heavens and whatever is on the earth - all from Him. Indeed in that are signs for a people who give thought.^{—Saheeh International}

قُلْ لِلَّذِينَ آمَنُوا يَغْفِرُوا لِلَّذِينَ لَا يَرْجُونَ أَيَّامَ اللَّهِ لِيَجْزِيَ قَوْمًا بِمَا كَانُوا يَكْسِبُونَ۝

٤٥:١٤

৪৫:১৪

45:14

যারা বিশ্বাস করে তাদের তুমি বলো যে তারা ক্ষমা করুক তাদের যারা আল্লাহ্‌র দিনগুলোর প্রত্যাশা করে না, এই জন্য যে তিনি লোকদের যেন প্রতিদান দিতে পারেন যা তারা অর্জন করছিল সেজন্য।^{—জহুরুল হক}
মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদেরকে ক্ষমা করে, যারা আল্লাহর সে দিনগুলো সম্পর্কে বিশ্বাস রাখে না যাতে তিনি কোন সম্প্রদায়কে কৃতকর্মের প্রতিফল দেন।^{—মুহিউদ্দীন খান}

Say, [O Muhammad], to those who have believed that they [should] forgive those who expect not the days of Allah so that He may recompense a people for what they used to earn.^{—Saheeh International}

مَنْ عَمِلَ صَالِحًا فَلِنَفْسِهِ ۖ وَمَنْ أَسَاءَ فَعَلَيْهَا ۖ ثُمَّ إِلَىٰ رَبِّكُمْ تُرْجَعُونَ۝

٤٥:١٥

৪৫:১৫

45:15

যে কেউ সৎকর্ম করে তা তবে তার নিজের জন্যে, আর যে মন্দ করে তা তবে তারই বিরুদ্ধে, তারপর তোমাদের প্রভুর তরফেই তোমাদের ফিরিয়ে আনা হবে।^{—জহুরুল হক}
যে সৎকাজ করছে, সে নিজের কল্যাণার্থেই তা করছে, আর যে অসৎকাজ করছে, তা তার উপরই বর্তাবে। অতঃপর তোমরা তোমাদের পালনকর্তার দিকে প্রত্যাবর্তিত হবে।^{—মুহিউদ্দীন খান}

Whoever does a good deed - it is for himself; and whoever does evil - it is against the self. Then to your Lord you will be returned.^{—Saheeh International}

وَلَقَدْ آتَيْنَا بَنِي إِسْرَائِيلَ الْكِتَابَ وَالْحُكْمَ وَالنُّبُوَّةَ وَرَزَقْنَاهُمْ مِنَ الطَّيِّبَاتِ وَفَضَّلْنَاهُمْ عَلَى الْعَالَمِينَ۝

٤٥:١٦

৪৫:১৬

45:16

আর আমরা অবশ্য ইসরাইলের বংশধরদের দিয়েইছিলাম গ্রন্থ ও জ্ঞান-বিজ্ঞান ও পয়গন্বরত্ব, আর আমরা তাদের জীবিকা দিয়েছিলাম উত্তম জিনিস থেকে, আর তাদের শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছিলাম জনগণের উপরে।^{—জহুরুল হক}
আমি বনী ইসরাঈলকে কিতাব, রাজত্ব ও নবুওয়ত দান করেছিলাম এবং তাদেরকে পরিচ্ছন্ন রিযিক দিয়েছিলাম এবং বিশ্ববাসীর উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছিলাম।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And We did certainly give the Children of Israel the Scripture and judgement and prophethood, and We provided them with good things and preferred them over the worlds.^{—Saheeh International}

وَآتَيْنَاهُمْ بَيِّنَاتٍ مِنَ الْأَمْرِ ۖ فَمَا اخْتَلَفُوا إِلَّا مِنْ بَعْدِ مَا جَاءَهُمُ الْعِلْمُ بَغْيًا بَيْنَهُمْ ۚ إِنَّ رَبَّكَ يَقْضِي بَيْنَهُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فِيمَا كَانُوا فِيهِ يَخْتَلِفُونَ۝

٤٥:١٧

৪৫:১৭

45:17

আর আমরা তাদের দিয়েছিলাম বিষয়টি সন্বন্ধে সুস্পষ্ট প্রমাণাবলী, কিন্ত তাদের কাছে জ্ঞান আসার পরেও তারা মতভেদ করে নি নিজেদের মধ্যে ঈর্ষা বিদ্বেষ ব্যতীত। নিঃসন্দেহ তোমার প্রভু তাদের মধ্যে কিয়ামতের দিনে বিচার-মীমাংসা করে দেবেন যে বিষয়ে তারা মতভেদ করত সে-সন্বন্ধে।^{—জহুরুল হক}
আরও দিয়েছিলাম তাদেরকে ধর্মের সুস্পষ্ট প্রমাণাদি। অতঃপর তারা জ্ঞান লাভ করার পর শুধু পারস্পরিক জেদের বশবর্তী হয়ে মতভেদ সৃষ্টি করেছে। তারা যে বিষয়ে মতভেদ করত, আপনার পালনকর্তা কেয়ামতের দিন তার ফয়সালা করে দেবেন।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And We gave them clear proofs of the matter [of religion]. And they did not differ except after knowledge had come to them - out of jealous animosity between themselves. Indeed, your Lord will judge between them on the Day of Resurrection concerning that over which they used to differ.^{—Saheeh International}

ثُمَّ جَعَلْنَاكَ عَلَىٰ شَرِيعَةٍ مِنَ الْأَمْرِ فَاتَّبِعْهَا وَلَا تَتَّبِعْ أَهْوَاءَ الَّذِينَ لَا يَعْلَمُونَ۝

٤٥:١٨

৪৫:১৮

45:18

এরপর আমরা তোমাকে ব্যাপারটিতে এক সংবিধানের উপরে প্রতিষ্ঠিত করেছি, কাজেই তুমি তা অনুসরণ করো, আর তুমি তাদের খেয়াল-খুশির অনুসরণ কর না যারা জানে না।^{—জহুরুল হক}
এরপর আমি আপনাকে রেখেছি ধর্মের এক বিশেষ শরীয়তের উপর। অতএব, আপনি এর অনুসরণ করুন এবং অজ্ঞানদের খেয়াল-খুশীর অনুসরণ করবেন না।^{—মুহিউদ্দীন খান}

Then We put you, [O Muhammad], on an ordained way concerning the matter [of religion]; so follow it and do not follow the inclinations of those who do not know.^{—Saheeh International}

إِنَّهُمْ لَنْ يُغْنُوا عَنْكَ مِنَ اللَّهِ شَيْئًا ۚ وَإِنَّ الظَّالِمِينَ بَعْضُهُمْ أَوْلِيَاءُ بَعْضٍ ۖ وَاللَّهُ وَلِيُّ الْمُتَّقِينَ۝

٤٥:١٩

৪৫:১৯

45:19

নিঃসন্দেহ তারা আল্লাহ্‌র কাছ থেকে কোনো কিছুতেই তোমাকে আদৌ লাভবান করবে না। আর আলবৎ অন্যায়াচারীরা -- তাদের কেউ-কেউ অপর কারোর বন্ধু, আর আল্লাহ্ হচ্ছেন ধর্মভীরু-দের বান্ধব।^{—জহুরুল হক}
আল্লাহর সামনে তারা আপনার কোন উপকারে আসবে না। যালেমরা একে অপরের বন্ধু। আর আল্লাহ পরহেযগারদের বন্ধু।^{—মুহিউদ্দীন খান}

Indeed, they will never avail you against Allah at all. And indeed, the wrongdoers are allies of one another; but Allah is the protector of the righteous.^{—Saheeh International}

هَـٰذَا بَصَائِرُ لِلنَّاسِ وَهُدًى وَرَحْمَةٌ لِقَوْمٍ يُوقِنُونَ۝

٤٥:٢٠

৪৫:২০

45:20

এই হচ্ছে মানবজাতির জন্য দৃষ্টিদায়ক, আর পথপ্রদর্শক ও করুণা সেই লোকদের জন্য যারা সুনিশ্চিত।^{—জহুরুল হক}
এটা মানুষের জন্যে জ্ঞানের কথা এবং বিশ্বাসী সম্প্রদায়ের জন্য হেদায়েত ও রহমত।^{—মুহিউদ্দীন খান}

This [Qur'an] is enlightenment for mankind and guidance and mercy for a people who are certain [in faith].^{—Saheeh International}

أَمْ حَسِبَ الَّذِينَ اجْتَرَحُوا السَّيِّئَاتِ أَنْ نَجْعَلَهُمْ كَالَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ سَوَاءً مَحْيَاهُمْ وَمَمَاتُهُمْ ۚ سَاءَ مَا يَحْكُمُونَ۝

٤٥:٢١

৪৫:২১

45:21

যারা দুস্কর্ম করেছে তারা কি ভাবে যে আমরা তাদের বানিয়ে দেব তাদের মতো যারা ঈমান এনেছে ও সৎকর্ম করছে -- তাদের জীবন ও তাদের মরণ কি এক সমান? কত নিকৃষ্ট যা তারা সিদ্ধান্ত করে!^{—জহুরুল হক}
যারা দুস্কর্ম উপার্জন করেছে তারা কি মনে করে যে, আমি তাদেরকে সে লোকদের মত করে দেব, যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে এবং তাদের জীবন ও মুত্যু কি সমান হবে? তাদের দাবী কত মন্দ।^{—মুহিউদ্দীন খান}

Or do those who commit evils think We will make them like those who have believed and done righteous deeds - [make them] equal in their life and their death? Evil is that which they judge.^{—Saheeh International}

وَخَلَقَ اللَّهُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ بِالْحَقِّ وَلِتُجْزَىٰ كُلُّ نَفْسٍ بِمَا كَسَبَتْ وَهُمْ لَا يُظْلَمُونَ۝

٤٥:٢٢

৪৫:২২

45:22

আর আল্লাহ্ মহাকাশমন্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন সত্যের সাথে, আর যাতে প্রত্যেক সত্ত্বাকে প্রতিফল দেওয়া হয় সে যা অর্জন করেছে তাই দিয়ে, আর তাদের প্রতি অন্যায় করা হবে না।^{—জহুরুল হক}
আল্লাহ নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডল যথাযথভাবে সৃষ্টি করেছেন, যাতে প্রত্যেক ব্যক্তি তার উপার্জনের ফল পায়। তাদের প্রতি যুলুম করা হবে না।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And Allah created the heavens and earth in truth and so that every soul may be recompensed for what it has earned, and they will not be wronged.^{—Saheeh International}

أَفَرَأَيْتَ مَنِ اتَّخَذَ إِلَـٰهَهُ هَوَاهُ وَأَضَلَّهُ اللَّهُ عَلَىٰ عِلْمٍ وَخَتَمَ عَلَىٰ سَمْعِهِ وَقَلْبِهِ وَجَعَلَ عَلَىٰ بَصَرِهِ غِشَاوَةً فَمَنْ يَهْدِيهِ مِنْ بَعْدِ اللَّهِ ۚ أَفَلَا تَذَكَّرُونَ۝

٤٥:٢٣

৪৫:২৩

45:23

তুমি কি তবে তাকে লক্ষ্য করেছ যে তার খেয়াল-খুশিকে তার উপাস্যরূপে গ্রহণ করেছে? আর আল্লাহ্ জেনে-শুনেই তাকে পথভ্রষ্ট হতে দিয়েছেন, আর তিনি মোহর মেরে দিয়েছেন তার শ্রবণেন্দ্রিয়ে ও তার হৃদয়ে, আর তার দর্শনেন্দ্রিয়ের উপরে তিনি বানিয়ে দিয়েছেন একটি পর্দা। কাজেই আল্লাহ্‌র পরে আর কে তাকে পথ দেখাবে? তবুও কি তোমরা মনোযোগ দেবে না?^{—জহুরুল হক}
আপনি কি তার প্রতি লক্ষ্য করেছেন, যে তার খেয়াল-খুশীকে স্বীয় উপাস্য স্থির করেছে? আল্লাহ জেনে শুনে তাকে পথভ্রষ্ট করেছেন, তার কান ও অন্তরে মহর এঁটে দিয়েছেন এবং তার চোখের উপর রেখেছেন পর্দা। অতএব, আল্লাহর পর কে তাকে পথ প্রদর্শন করবে? তোমরা কি চিন্তাভাবনা কর না?^{—মুহিউদ্দীন খান}

Have you seen he who has taken as his god his [own] desire, and Allah has sent him astray due to knowledge and has set a seal upon his hearing and his heart and put over his vision a veil? So who will guide him after Allah? Then will you not be reminded?^{—Saheeh International}

وَقَالُوا مَا هِيَ إِلَّا حَيَاتُنَا الدُّنْيَا نَمُوتُ وَنَحْيَا وَمَا يُهْلِكُنَا إِلَّا الدَّهْرُ ۚ وَمَا لَهُمْ بِذَٰلِكَ مِنْ عِلْمٍ ۖ إِنْ هُمْ إِلَّا يَظُنُّونَ۝

٤٥:٢٤

৪৫:২৪

45:24

আর তারা বলে -- ''আমাদের দুনিয়ার জীবন ছাড়া এইটি আর কিছুই নয়, আমরা মরি আর আমরা বেঁচে থাকি, আর কিছুই আমাদের ধ্বংস করে না সময় ব্যতীত।’’ আর এ বিষয়ে তাদের কোনো জ্ঞান নেই। তারা অনুমান করছে বৈ তো নয়।^{—জহুরুল হক}
তারা বলে, আমাদের পার্থিব জীবনই তো শেষ; আমরা মরি ও বাঁচি মহাকালই আমাদেরকে ধ্বংস করে। তাদের কাছে এ ব্যাপারে কোন জ্ঞান নেই। তারা কেবল অনুমান করে কথা বলে।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And they say, "There is not but our worldly life; we die and live, and nothing destroys us except time." And they have of that no knowledge; they are only assuming.^{—Saheeh International}

وَإِذَا تُتْلَىٰ عَلَيْهِمْ آيَاتُنَا بَيِّنَاتٍ مَا كَانَ حُجَّتَهُمْ إِلَّا أَنْ قَالُوا ائْتُوا بِآبَائِنَا إِنْ كُنْتُمْ صَادِقِينَ۝

٤٥:٢٥

৪৫:২৫

45:25

আর যখন তাদের কাছে আমাদের সুস্পষ্ট বাণীসমূহ পাঠ করা হয় তখন তাদের বিতর্ক আর কিছু নয় এ ভিন্ন যে তারা বলে, ''আমাদের পূর্বপুরুষদের নিয়ে এস যদি তোমরা সত্যবাদী হও।’’^{—জহুরুল হক}
তাদের কাছে যখন আমার সুস্পষ্ট আয়াতসমূহ পাঠ করা হয়, তখন একথা বলা ছাড়া তাদের কোন মুক্তিই থাকে না যে, তোমরা সত্যবাদী হলে আমাদের পূর্বপুরুষদেরকে নিয়ে আস।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And when Our verses are recited to them as clear evidences, their argument is only that they say, "Bring [back] our forefathers, if you should be truthful."^{—Saheeh International}

قُلِ اللَّهُ يُحْيِيكُمْ ثُمَّ يُمِيتُكُمْ ثُمَّ يَجْمَعُكُمْ إِلَىٰ يَوْمِ الْقِيَامَةِ لَا رَيْبَ فِيهِ وَلَـٰكِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَعْلَمُونَ۝

٤٥:٢٦

৪৫:২৬

45:26

তুমি বলো -- ''আল্লাহ্‌ই তোমাদের জীবন দান করেন, তারপর তোমাদের মৃত্যু ঘটান, তারপর তিনি তোমাদের একত্রিত করবেন কিয়ামতের দিনে -- তাতে কোনো সন্দেহ নেই, কিন্ত অধিকাংশ লোকেই জানে না।’’^{—জহুরুল হক}
আপনি বলুন, আল্লাহই তোমাদেরকে জীবন দান করেন, অতঃপর মৃত্যু দেন, অতঃপর তোমাদেরকে কেয়ামতের দিন একত্রিত করবেন, যাতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ বোঝে না।^{—মুহিউদ্দীন খান}

Say, "Allah causes you to live, then causes you to die; then He will assemble you for the Day of Resurrection, about which there is no doubt, but most of the people do not know."^{—Saheeh International}

وَلِلَّهِ مُلْكُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ ۚ وَيَوْمَ تَقُومُ السَّاعَةُ يَوْمَئِذٍ يَخْسَرُ الْمُبْطِلُونَ۝

٤٥:٢٧

৪৫:২৭

45:27

আর আল্লাহ্‌রই হচ্ছে মহাকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সার্বভৌমত্ব। আর যেদিন ঘড়িঘন্টা দাঁড়িয়ে যাবে, সেইদিন বাতিল- আখ্যাদানকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।^{—জহুরুল হক}
নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডলের রাজত্ব আল্লাহরই। যেদিন কেয়ামত সংঘটিত হবে, সেদিন মিথ্যাপন্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And to Allah belongs the dominion of the heavens and the earth. And the Day the Hour appears - that Day the falsifiers will lose.^{—Saheeh International}

وَتَرَىٰ كُلَّ أُمَّةٍ جَاثِيَةً ۚ كُلُّ أُمَّةٍ تُدْعَىٰ إِلَىٰ كِتَابِهَا الْيَوْمَ تُجْزَوْنَ مَا كُنْتُمْ تَعْمَلُونَ۝

٤٥:٢٨

৪৫:২৮

45:28

আর তুমি দেখতে পাবে প্রত্যেক সম্প্রদায় নতজানু হতে, প্রত্যেক সম্প্রদায়কে ডাকা হবে তার কিতাবের প্রতি। ''আজকের দিনে তোমাদের প্রতিদান দেওয়া হচ্ছে তোমরা যা করতে তাই দিয়ে।^{—জহুরুল হক}
আপনি প্রত্যেক উম্মতকে দেখবেন নতজানু অবস্থায়। প্রত্যেক উম্মতকে তাদের আমলনামা দেখতে বলা হবে। তোমরা যা করতে, অদ্য তোমারদেরকে তার প্রতিফল দেয়া হবে।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And you will see every nation kneeling [from fear]. Every nation will be called to its record [and told], "Today you will be recompensed for what you used to do.^{—Saheeh International}

هَـٰذَا كِتَابُنَا يَنْطِقُ عَلَيْكُمْ بِالْحَقِّ ۚ إِنَّا كُنَّا نَسْتَنْسِخُ مَا كُنْتُمْ تَعْمَلُونَ۝

٤٥:٢٩

৪৫:২৯

45:29

''এইটি আমাদের কিতাব যা তোমাদের বিরুদ্ধে যথাযথভাবে বর্ণনা করে। নিঃসন্দেহ আমরা লিপিবদ্ধ করে যাচ্ছি যা তোমরা করে চলেছ।’’^{—জহুরুল হক}
আমার কাছে রক্ষিত এই আমলনামা তোমাদের সম্পর্কে সত্য কথা বলবে। তোমরা যা করতে আমি তা লিপিবদ্ধ করতাম।^{—মুহিউদ্দীন খান}

This, Our record, speaks about you in truth. Indeed, We were having transcribed whatever you used to do."^{—Saheeh International}

فَأَمَّا الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ فَيُدْخِلُهُمْ رَبُّهُمْ فِي رَحْمَتِهِ ۚ ذَٰلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْمُبِينُ۝

٤٥:٣٠

৪৫:৩০

45:30

সুতরাং যারা ঈমান এনেছে ও সৎকর্ম করছে তাদের প্রভু তাদের প্রবেশ করাবেন তাঁর করুণায়। এইটিই হচ্ছে প্রকাশ্য সাফল্য।^{—জহুরুল হক}
যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে ও সৎকর্ম করেছে, তাদেরকে তাদের পালনকর্তা স্বীয় রহমতে দাখিল করবেন। এটাই প্রকাশ্য সাফল্য।^{—মুহিউদ্দীন খান}

So as for those who believed and did righteous deeds, their Lord will admit them into His mercy. That is what is the clear attainment.^{—Saheeh International}

وَأَمَّا الَّذِينَ كَفَرُوا أَفَلَمْ تَكُنْ آيَاتِي تُتْلَىٰ عَلَيْكُمْ فَاسْتَكْبَرْتُمْ وَكُنْتُمْ قَوْمًا مُجْرِمِينَ۝

٤٥:٣١

৪৫:৩১

45:31

পক্ষান্তরে যারা অবিশ্বাস পোষণ করে -- ''এমনটা কি নয় যে আমার বাণীসমূহ তোমাদের কাছে পঠিত হয়েছে? কিন্ত তোমরা গর্ববোধ করছিলে, আর তোমরা ছিলে এক অপরাধী সম্প্রদায়।^{—জহুরুল হক}
আর যারা কুফর করেছে, তাদেরকে জিজ্ঞাসা করা হবে, তোমাদের কাছে কি আয়াতসমূহ পঠিত হত না? কিন্তু তোমরা অহংকার করছিলে এবং তোমরা ছিলে এক অপরাধী সম্প্রদায়।^{—মুহিউদ্দীন খান}

But as for those who disbelieved, [it will be said], "Were not Our verses recited to you, but you were arrogant and became a people of criminals?^{—Saheeh International}

وَإِذَا قِيلَ إِنَّ وَعْدَ اللَّهِ حَقٌّ وَالسَّاعَةُ لَا رَيْبَ فِيهَا قُلْتُمْ مَا نَدْرِي مَا السَّاعَةُ إِنْ نَظُنُّ إِلَّا ظَنًّا وَمَا نَحْنُ بِمُسْتَيْقِنِينَ۝

٤٥:٣٢

৪৫:৩২

45:32

''আর যখন বলা হয় -- 'নিঃসন্দেহ আল্লাহ্‌র ওয়াদা সত্য, আর ঘড়িঘন্টা -- এতে কোনো সন্দেহ নেই’, তোমরা তখন বলে থাক -- 'আমরা জানি না কী সেই ঘড়ি, আমরা বিবেচনা করি কাল্পনিক বৈ তো নয়, আর আমরা আদে সুনিশ্চিত নই’ ।’’^{—জহুরুল হক}
যখন বলা হত, আল্লাহর ওয়াদা সত্য এবং কেয়ামতে কোন সন্দেহ নেই, তখন তোমরা বলতে আমরা জানি না কেয়ামত কি ? আমরা কেবল ধারণাই করি এবং এ বিষয়ে আমরা নিশ্চিত নই।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And when it was said, 'Indeed, the promise of Allah is truth and the Hour [is coming] - no doubt about it,' you said, 'We know not what is the Hour. We assume only assumption, and we are not convinced.' "^{—Saheeh International}

وَبَدَا لَهُمْ سَيِّئَاتُ مَا عَمِلُوا وَحَاقَ بِهِمْ مَا كَانُوا بِهِ يَسْتَهْزِئُونَ۝

٤٥:٣٣

৪৫:৩৩

45:33

আর তারা যা করেছিল তার দুস্কর্মগুলো তাদের নিকট প্রকাশ হয়ে পড়বে, আর যা নিয়ে তারা ঠাট্টা-বিদ্রূপ করত তা তাদের পরিবেষ্টন করবে।^{—জহুরুল হক}
তাদের মন্দ কর্ম গুলো তাদের সামনে প্রকাশ হয়ে পড়বে এবং যে আযাব নিয়ে তারা ঠাট্টা-বিদ্রুপ করত, তা তাদেরকে গ্রাস করবে।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And the evil consequences of what they did will appear to them, and they will be enveloped by what they used to ridicule.^{—Saheeh International}

وَقِيلَ الْيَوْمَ نَنْسَاكُمْ كَمَا نَسِيتُمْ لِقَاءَ يَوْمِكُمْ هَـٰذَا وَمَأْوَاكُمُ النَّارُ وَمَا لَكُمْ مِنْ نَاصِرِينَ۝

٤٥:٣٤

৪৫:৩৪

45:34

আর বলা হবে -- ''আজ আমরা তোমাদের ভুলে থাকব যেমন তোমরা তোমাদের এই দিনটির সাক্ষাৎ পাওয়াকে ভুলে থাকতে, ফলত তোমাদের আশ্রয়স্থল হচ্ছে আগুন, আর তোমাদের জন্য সাহায্যকারীদের কেউ থাকবে না।^{—জহুরুল হক}
বলা হবে, আজ আমি তোমাদেরকে ভুলে যাব, যেমন তোমরা এ দিনের সাক্ষাৎকে ভুলে গিয়েছিলে। তোমাদের আবাসস্থল জাহান্নাম এবং তোমাদের সাহায্যকারী নেই।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And it will be said, "Today We will forget you as you forgot the meeting of this Day of yours, and your refuge is the Fire, and for you there are no helpers.^{—Saheeh International}

ذَٰلِكُمْ بِأَنَّكُمُ اتَّخَذْتُمْ آيَاتِ اللَّهِ هُزُوًا وَغَرَّتْكُمُ الْحَيَاةُ الدُّنْيَا ۚ فَالْيَوْمَ لَا يُخْرَجُونَ مِنْهَا وَلَا هُمْ يُسْتَعْتَبُونَ۝

٤٥:٣٥

৪৫:৩৫

45:35

''এইটিই! কেননা তোমরা আল্লাহ্‌র বাণীসমূহকে তামাশা বলে গণ্য করেছিলে, ফলস্বরূপে এই দুনিয়ার জীবন তোমাদের প্রতারিত করেছিল।’’ সেজন্য আজকের দিনটায় সেখান থেকে তাদের বের করা হবে না, আর তাদের প্রতি সদয়তাও দেখানো হবে না।^{—জহুরুল হক}
এটা এজন্যে যে, তোমরা আল্লাহর আয়াতসমূহকে ঠাট্টারূপে গ্রহণ করেছিলে এবং পার্থিব জীবন তোমাদেরকে প্রতারিত করেছিল। সুতরাং আজ তাদেরকে জাহান্নাম থেকে বের করা হবে না এবং তাদের কাছে তওবা চাওয়া হবে না।^{—মুহিউদ্দীন খান}

That is because you took the verses of Allah in ridicule, and worldly life deluded you." So that Day they will not be removed from it, nor will they be asked to appease [Allah].^{—Saheeh International}

فَلِلَّهِ الْحَمْدُ رَبِّ السَّمَاوَاتِ وَرَبِّ الْأَرْضِ رَبِّ الْعَالَمِينَ۝

٤٥:٣٦

৪৫:৩৬

45:36

অতএব আল্লাহ্‌রই জন্য সমস্ত প্রশংসা, তিনি মহাকাশমন্ডলীর প্রভু ও পৃথিবীরও প্রভু, -- সমস্ত বিশ্বজগতের প্রভু।^{—জহুরুল হক}
অতএব, বিশ্বজগতের পালনকর্তা, ভূ-মন্ডলের পালনকর্তা ও নভোমন্ডলের পালনকর্তা আল্লাহর-ই প্রশংসা।^{—মুহিউদ্দীন খান}

Then, to Allah belongs [all] praise - Lord of the heavens and Lord of the earth, Lord of the worlds.^{—Saheeh International}

وَلَهُ الْكِبْرِيَاءُ فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ ۖ وَهُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ۝

٤٥:٣٧

৪৫:৩৭

45:37

আর তাঁরই হচ্ছে সমস্ত গৌরব-গরিমা মহাকাশমন্ডলীতে ও পৃথিবীতে, আর তিনি হচ্ছেন মহাশক্তিশালী, পরমজ্ঞানী।^{—জহুরুল হক}
নভোমন্ডলে ও ভূ-মন্ডলে তাঁরই গৌরব। তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And to Him belongs [all] grandeur within the heavens and the earth, and He is the Exalted in Might, the Wise.^{—Saheeh International}