قُلْ أُوحِيَ إِلَيَّ أَنَّهُ اسْتَمَعَ نَفَرٌ مِنَ الْجِنِّ فَقَالُوا إِنَّا سَمِعْنَا قُرْآنًا عَجَبًا۝

٧٢:١

৭২:১

72:1

বলো -- ''আমার কাছে প্রত্যাদেশ করা হয়েছে যে জিনদের একটি দল শুনেছিল, এবং বলেছিল -- 'আমরা নিশ্চয় এক আশ্চর্যজনক কুরআন শুনেছি,^{—জহুরুল হক}
বলুনঃ আমার প্রতি ওহী নাযিল করা হয়েছে যে, জিনদের একটি দল কোরআন শ্রবণ করেছে, অতঃপর তারা বলেছেঃ আমরা বিস্ময়কর কোরআন শ্রবণ করেছি;^{—মুহিউদ্দীন খান}

Say, [O Muhammad], "It has been revealed to me that a group of the jinn listened and said, 'Indeed, we have heard an amazing Qur'an.^{—Saheeh International}

يَهْدِي إِلَى الرُّشْدِ فَآمَنَّا بِهِ ۖ وَلَنْ نُشْرِكَ بِرَبِّنَا أَحَدًا۝

٧٢:٢

৭২:২

72:2

'যা সুষ্ঠুপথের দিকে চালনা করে, তাই আমরা তাতে ঈমান এনেছি, আর আমরা কখনো আমাদের প্রভুর সাথে কাউকেও শরিক করব না,^{—জহুরুল হক}
যা সৎপথ প্রদর্শন করে। ফলে আমরা তাতে বিশ্বাস স্থাপন করেছি। আমরা কখনও আমাদের পালনকর্তার সাথে কাউকে শরীক করব না।^{—মুহিউদ্দীন খান}

It guides to the right course, and we have believed in it. And we will never associate with our Lord anyone.^{—Saheeh International}

وَأَنَّهُ تَعَالَىٰ جَدُّ رَبِّنَا مَا اتَّخَذَ صَاحِبَةً وَلَا وَلَدًا۝

٧٢:٣

৭২:৩

72:3

'আর তিনি, -- সুউন্নত হোক আমাদের প্রভুর মহিমা, -- তিনি কোনো সহচরী গ্রহণ করেন নি, আর না কোনো সন্তান,^{—জহুরুল হক}
এবং আরও বিশ্বাস করি যে, আমাদের পালনকর্তার মহান মর্যাদা সবার উর্ধ্বে। তিনি কোন পত্নী গ্রহণ করেননি এবং তাঁর কোন সন্তান নেই।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And [it teaches] that exalted is the nobleness of our Lord; He has not taken a wife or a son^{—Saheeh International}

وَأَنَّهُ كَانَ يَقُولُ سَفِيهُنَا عَلَى اللَّهِ شَطَطًا۝

٧٢:٤

৭২:৪

72:4

'আর এই যে আমাদের মধ্যের নির্বোধেরা আল্লাহ্ সন্বন্ধে অমূলক কথা বলত,^{—জহুরুল হক}
আমাদের মধ্যে নির্বোধেরা আল্লাহ তা’আলা সম্পর্কে বাড়াবাড়ির কথাবার্তা বলত।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And that our foolish one has been saying about Allah an excessive transgression.^{—Saheeh International}

وَأَنَّا ظَنَنَّا أَنْ لَنْ تَقُولَ الْإِنْسُ وَالْجِنُّ عَلَى اللَّهِ كَذِبًا۝

٧٢:٥

৭২:৫

72:5

'আর এই যে আমরা ভেবেছিলাম যে মানুষ ও জিন আল্লাহ্ সন্বন্ধে কখনো মিথ্যাকথা বলবে না’,^{—জহুরুল হক}
অথচ আমরা মনে করতাম, মানুষ ও জিন কখনও আল্লাহ তা’আলা সম্পর্কে মিথ্যা বলতে পারে না।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And we had thought that mankind and the jinn would never speak about Allah a lie.^{—Saheeh International}

وَأَنَّهُ كَانَ رِجَالٌ مِنَ الْإِنْسِ يَعُوذُونَ بِرِجَالٍ مِنَ الْجِنِّ فَزَادُوهُمْ رَهَقًا۝

٧٢:٦

৭২:৬

72:6

''আর এই যে মানুষের মধ্যের কিছু লোক জিনজাতির কিছু লোকের আশ্রয় নিত, ফলে ওরা তাদের পাপাচার বাড়িয়ে দিত,^{—জহুরুল হক}
অনেক মানুষ অনেক জিনের আশ্রয় নিত, ফলে তারা জিনদের আত্নম্ভরিতা বাড়িয়ে দিত।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And there were men from mankind who sought refuge in men from the jinn, so they [only] increased them in burden.^{—Saheeh International}

وَأَنَّهُمْ ظَنُّوا كَمَا ظَنَنْتُمْ أَنْ لَنْ يَبْعَثَ اللَّهُ أَحَدًا۝

٧٢:٧

৭২:৭

72:7

''আর এই যে তারা ভেবেছিল যেমন তোমরা ভাবছো যে আল্লাহ্ কাউকেও পুনরুত্থিত করবেন না,^{—জহুরুল হক}
তারা ধারণা করত, যেমন তোমরা মানবেরা ধারণা কর যে, মৃত্যুর পর আল্লাহ তা’আলা কখনও কাউকে পুনরুত্থিত করবেন না।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And they had thought, as you thought, that Allah would never send anyone [as a messenger].^{—Saheeh International}

وَأَنَّا لَمَسْنَا السَّمَاءَ فَوَجَدْنَاهَا مُلِئَتْ حَرَسًا شَدِيدًا وَشُهُبًا۝

٧٢:٨

৭২:৮

72:8

''আর 'আমরা আকাশে আড়ি পাততাম, কিন্ত আমরা তাকে দেখতে পেতাম কড়া প্রহরী ও অগ্নিশিখা দিয়ে ভরপূর,^{—জহুরুল হক}
আমরা আকাশ পর্যবেক্ষণ করছি, অতঃপর দেখতে পেয়েছি যে, কঠোর প্রহরী ও উল্কাপিন্ড দ্বারা আকাশ পরিপূর্ণ।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And we have sought [to reach] the heaven but found it filled with powerful guards and burning flames.^{—Saheeh International}

وَأَنَّا كُنَّا نَقْعُدُ مِنْهَا مَقَاعِدَ لِلسَّمْعِ ۖ فَمَنْ يَسْتَمِعِ الْآنَ يَجِدْ لَهُ شِهَابًا رَصَدًا۝

٧٢:٩

৭২:৯

72:9

'আর আমরা নিশ্চয় তার মধ্যের বসবার জায়গাগুলোয় বসে থাকতাম গুনবার জন্য, কিন্ত যে কেউ শুনতে চায় সে এখন দেখতে পায় তার জন্য রয়েছে অগ্নিশিখা অপেক্ষারত;^{—জহুরুল হক}
আমরা আকাশের বিভিন্ন ঘাঁটিতে সংবাদ শ্রবণার্থে বসতাম। এখন কেউ সংবাদ শুনতে চাইলে সে জলন্ত উল্কাপিন্ড ওঁৎ পেতে থাকতে দেখে।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And we used to sit therein in positions for hearing, but whoever listens now will find a burning flame lying in wait for him.^{—Saheeh International}

وَأَنَّا لَا نَدْرِي أَشَرٌّ أُرِيدَ بِمَنْ فِي الْأَرْضِ أَمْ أَرَادَ بِهِمْ رَبُّهُمْ رَشَدًا۝

٧٢:١٠

৭২:১০

72:10

'আর আমরা অবশ্য জানি না -- পৃথিবীতে যারা রয়েছে তাদের জন্য অমঙ্গল কামনা করা হচ্ছে, না এ-সবের দ্বারা তাদের প্রভু সুষ্ঠুপথের দিশা চাইছেন;^{—জহুরুল হক}
আমরা জানি না পৃথিবীবাসীদের অমঙ্গল সাধন করা অভীষ্ট, না তাদের পালনকর্তা তাদের মঙ্গল সাধন করার ইচ্ছা রাখেন।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And we do not know [therefore] whether evil is intended for those on earth or whether their Lord intends for them a right course.^{—Saheeh International}

وَأَنَّا مِنَّا الصَّالِحُونَ وَمِنَّا دُونَ ذَٰلِكَ ۖ كُنَّا طَرَائِقَ قِدَدًا۝

٧٢:١١

৭২:১১

72:11

'আর নিশ্চয় আমাদের কেউ-কেউ সৎপথাবলন্বী আর আমাদের অন্যেরা এর বিপরীত। আমরা বিভিন্ন সম্প্রদায় বিভিন্ন পন্থী;^{—জহুরুল হক}
আমাদের কেউ কেউ সৎকর্মপরায়ণ এবং কেউ কেউ এরূপ নয়। আমরা ছিলাম বিভিন্ন পথে বিভক্ত।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And among us are the righteous, and among us are [others] not so; we were [of] divided ways.^{—Saheeh International}

وَأَنَّا ظَنَنَّا أَنْ لَنْ نُعْجِزَ اللَّهَ فِي الْأَرْضِ وَلَنْ نُعْجِزَهُ هَرَبًا۝

٧٢:١٢

৭২:১২

72:12

'আর আমরা বুঝি যে আমরা দুনিয়াতে কখনো আল্লাহ্‌কে পরাভূত করতে পারব না এবং পলায়নের দ্বারাও তাঁকে কখনও এড়াতে পারব না,^{—জহুরুল হক}
আমরা বুঝতে পেরেছি যে, আমরা পৃথিবীতে আল্লাহ তা’আলাকে পরাস্ত করতে পারব না এবং পলায়ন করেও তাকে অপারক করত পরব না।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And we have become certain that we will never cause failure to Allah upon earth, nor can we escape Him by flight.^{—Saheeh International}

وَأَنَّا لَمَّا سَمِعْنَا الْهُدَىٰ آمَنَّا بِهِ ۖ فَمَنْ يُؤْمِنْ بِرَبِّهِ فَلَا يَخَافُ بَخْسًا وَلَا رَهَقًا۝

٧٢:١٣

৭২:১৩

72:13

'আর আমরা যখন পথনির্দেশ শুনেছি আমরা তাতে বিশ্বাস করেছি। সুতরাং যে কেউ তার প্রভুর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে, সে তবে আশংকা করবে না কমে যাওয়ার অথবা লাঞ্ছনা পাবার,^{—জহুরুল হক}
আমরা যখন সুপথের নির্দেশ শুনলাম, তখন তাতে বিশ্বাস স্থাপন করলাম। অতএব, যে তার পালনকর্তার প্রতি বিশ্বাস করে, সে লোকসান ও জোর-জবরের আশংকা করে না।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And when we heard the guidance, we believed in it. And whoever believes in his Lord will not fear deprivation or burden.^{—Saheeh International}

وَأَنَّا مِنَّا الْمُسْلِمُونَ وَمِنَّا الْقَاسِطُونَ ۖ فَمَنْ أَسْلَمَ فَأُولَـٰئِكَ تَحَرَّوْا رَشَدًا۝

٧٢:١٤

৭২:১৪

72:14

''আর আমাদের মধ্যের কেউ-কেউ অবশ্য মুসলিম আর আমাদের অন্যেরা সীমালংঘনকারী। সুতরাং যারা আ‌ত্মসমর্পণ করেছে তারাই তবে সুষ্ঠুপথের সন্ধান খোঁজেছে।^{—জহুরুল হক}
আমাদের কিছুসংখ্যক আজ্ঞাবহ এবং কিছুসংখ্যক অন্যায়কারী। যারা আজ্ঞাবহ হয়, তারা সৎপথ বেছে নিয়েছে।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And among us are Muslims [in submission to Allah], and among us are the unjust. And whoever has become Muslim - those have sought out the right course.^{—Saheeh International}

وَأَمَّا الْقَاسِطُونَ فَكَانُوا لِجَهَنَّمَ حَطَبًا۝

٧٢:١٥

৭২:১৫

72:15

'আর সীমালংঘনকারীদের ক্ষেত্রে -- তারা তো জাহান্নামেরই ইন্ধন হয়েছে।’”^{—জহুরুল হক}
আর যারা অন্যায়কারী, তারা তো জাহান্নামের ইন্ধন।^{—মুহিউদ্দীন খান}

But as for the unjust, they will be, for Hell, firewood.'^{—Saheeh International}

وَأَنْ لَوِ اسْتَقَامُوا عَلَى الطَّرِيقَةِ لَأَسْقَيْنَاهُمْ مَاءً غَدَقًا۝

٧٢:١٦

৭২:১৬

72:16

আর এই যে যদি তারা নির্দেশিত পথে কায়েম থাকত তবে আমরা অবশ্যই তাদের প্রচুর পানি দিয়ে সমৃদ্ধ করতাম;^{—জহুরুল হক}
আর এই প্রত্যাদেশ করা হয়েছে যে, তারা যদি সত্যপথে কায়েম থাকত, তবে আমি তাদেরকে প্রচুর পানি বর্ষণে সিক্ত করতাম।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And [Allah revealed] that if they had remained straight on the way, We would have given them abundant provision^{—Saheeh International}

لِنَفْتِنَهُمْ فِيهِ ۚ وَمَنْ يُعْرِضْ عَنْ ذِكْرِ رَبِّهِ يَسْلُكْهُ عَذَابًا صَعَدًا۝

٧٢:١٧

৭২:১৭

72:17

যেন আমরা তাদের পরীক্ষা করতে পারি তার দ্বারা। আর যে কেউ তার প্রভুর স্মরণ থেকে ফিরে থাকে, তিনি তাকে ঢুকিয়ে দেবেন চিরবর্ধমান শাস্তিতে।^{—জহুরুল হক}
যাতে এ ব্যাপারে তাদেরকে পরীক্ষা করি। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি তার পালনকর্তার স্মরণ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, তিনি তাকে উদীয়মান আযাবে পরিচালিত করবেন।^{—মুহিউদ্দীন খান}

So We might test them therein. And whoever turns away from the remembrance of his Lord He will put into arduous punishment.^{—Saheeh International}

وَأَنَّ الْمَسَاجِدَ لِلَّهِ فَلَا تَدْعُوا مَعَ اللَّهِ أَحَدًا۝

٧٢:١٨

৭২:১৮

72:18

আর এই যে মসজিদগুলো হচ্ছে আল্লাহ্‌র জন্য, সুতরাং তোমরা আল্লাহ্‌র সঙ্গে আর কাউকেও ডেকো না।^{—জহুরুল হক}
এবং এই ওহীও করা হয়েছে যে, মসজিদসমূহ আল্লাহ তা’আলাকে স্মরণ করার জন্য। অতএব, তোমরা আল্লাহ তা’আলার সাথে কাউকে ডেকো না।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And [He revealed] that the masjids are for Allah, so do not invoke with Allah anyone.^{—Saheeh International}

وَأَنَّهُ لَمَّا قَامَ عَبْدُ اللَّهِ يَدْعُوهُ كَادُوا يَكُونُونَ عَلَيْهِ لِبَدًا۝

٧٢:١٩

৭২:১৯

72:19

আর এই যে যখন আল্লাহ্‌র বান্দা তাঁকে আহ্বান করতে দাঁড়িয়েছিলেন তখন তারা চেয়েছিল তাঁর চারিদিকে ভিড় করতে।^{—জহুরুল হক}
আর যখন আল্লাহ তা’আলার বান্দা তাঁকে ডাকার জন্যে দন্ডায়মান হল, তখন অনেক জিন তার কাছে ভিড় জমাল।^{—মুহিউদ্দীন খান}

And that when the Servant of Allah stood up supplicating Him, they almost became about him a compacted mass."^{—Saheeh International}

قُلْ إِنَّمَا أَدْعُو رَبِّي وَلَا أُشْرِكُ بِهِ أَحَدًا۝

٧٢:٢٠

৭২:২০

72:20

বলো -- ''নিঃসন্দেহ আমি আমার প্রভুকেই ডাকি, আর আমি তাঁর সঙ্গে কাউকেও শরিক করি না।’’^{—জহুরুল হক}
বলুনঃ আমি তো আমার পালনকর্তাকেই ডাকি এবং তাঁর সাথে কাউকে শরীক করি না।^{—মুহিউদ্দীন খান}

Say, [O Muhammad], "I only invoke my Lord and do not associate with Him anyone."^{—Saheeh International}

قُلْ إِنِّي لَا أَمْلِكُ لَكُمْ ضَرًّا وَلَا رَشَدًا۝

٧٢:٢١

৭২:২১

72:21

তুমি বলো -- ''আমি কোনো কর্তৃত্ব করি না তোমাদের উপরে আঘাত হানার অথবা উপকার করার।’’^{—জহুরুল হক}
বলুনঃ আমি তোমাদের ক্ষতি সাধন করার ও সুপথে আনয়ন করার মালিক নই।^{—মুহিউদ্দীন খান}

Say, "Indeed, I do not possess for you [the power of] harm or right direction."^{—Saheeh International}

قُلْ إِنِّي لَنْ يُجِيرَنِي مِنَ اللَّهِ أَحَدٌ وَلَنْ أَجِدَ مِنْ دُونِهِ مُلْتَحَدًا۝

٧٢:٢٢

৭২:২২

72:22

তুমি বলে যাও -- ''নিশ্চয়ই কেউ আমাকে কখনো রক্ষা করতে পারবে না আল্লাহ্ থেকে, আর তাঁকে বাদ দিয়ে আমি কখনো কোনো আশ্রয়ও পাব না, --^{—জহুরুল হক}
বলুনঃ আল্লাহ তা’আলার কবল থেকে আমাকে কেউ রক্ষা করতে পারবে না এবং তিনি ব্যতীত আমি কোন আশ্রয়স্থল পাব না।^{—মুহিউদ্দীন খান}

Say, "Indeed, there will never protect me from Allah anyone [if I should disobey], nor will I find in other than Him a refuge.^{—Saheeh International}

إِلَّا بَلَاغًا مِنَ اللَّهِ وَرِسَالَاتِهِ ۚ وَمَنْ يَعْصِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ فَإِنَّ لَهُ نَارَ جَهَنَّمَ خَالِدِينَ فِيهَا أَبَدًا۝

٧٢:٢٣

৭২:২৩

72:23

শুধু আল্লাহ্ থেকে পৌঁছে দেওয়া, আর তাঁর বাণীসমূহ।’’ আর যে আল্লাহ্ ও তাঁর রসূলের অবাধ্যতা করে, তার জন্য তবে নিশ্চয়ই রয়েছে জাহান্নামের আগুন, তাতে তারা থাকবে দীর্ঘকাল।^{—জহুরুল হক}
কিন্তু আল্লাহ তা’আলার বাণী পৌছানো ও তাঁর পয়গাম প্রচার করাই আমার কাজ। যে আল্লাহ ও তাঁর রসূলকে অমান্য করে, তার জন্যে রয়েছে জাহান্নামের অগ্নি। তথায় তারা চিরকাল থাকবে।^{—মুহিউদ্দীন খান}

But [I have for you] only notification from Allah, and His messages." And whoever disobeys Allah and His Messenger - then indeed, for him is the fire of Hell; they will abide therein forever.^{—Saheeh International}

حَتَّىٰ إِذَا رَأَوْا مَا يُوعَدُونَ فَسَيَعْلَمُونَ مَنْ أَضْعَفُ نَاصِرًا وَأَقَلُّ عَدَدًا۝

٧٢:٢٤

৭২:২৪

72:24

যে পর্যন্ত না তারা দেখতে পায় যা তাদের ওয়াদা করা হয়েছিল, তখন তারা সঙ্গে-সঙ্গে জানতে পারবে কে সাহায্যলাভের ক্ষেত্রে দুর্বলতর, আর সংখ্যার দিক দিয়ে অল্প।^{—জহুরুল হক}
এমনকি যখন তারা প্রতিশ্রুত শাস্তি দেখতে পাবে, তখন তারা জানতে পারবে, কার সাহায্যকারী দূর্বল এবং কার সংখ্যা কম।^{—মুহিউদ্দীন খান}

[The disbelievers continue] until, when they see that which they are promised, then they will know who is weaker in helpers and less in number.^{—Saheeh International}

قُلْ إِنْ أَدْرِي أَقَرِيبٌ مَا تُوعَدُونَ أَمْ يَجْعَلُ لَهُ رَبِّي أَمَدًا۝

٧٢:٢٥

৭২:২৫

72:25

বলো -- ''আমি জানি না তোমাদের যা ওয়াদা করা হয়েছে তা আসন্ন, না আমার প্রভু তার জন্য কোনো দীর্ঘমিয়াদ স্থির করবেন।’’^{—জহুরুল হক}
বলুনঃ আমি জানি না তোমাদের প্রতিশ্রুত বিষয় আসন্ন না আমার পালনকর্তা এর জন্যে কোন মেয়াদ স্থির করে রেখেছেন।^{—মুহিউদ্দীন খান}

Say, "I do not know if what you are promised is near or if my Lord will grant for it a [long] period."^{—Saheeh International}

عَالِمُ الْغَيْبِ فَلَا يُظْهِرُ عَلَىٰ غَيْبِهِ أَحَدًا۝

٧٢:٢٦

৭২:২৬

72:26

তিনি অদৃশ্যের পরিজ্ঞাতা, তাই কারো কাছে তিনি তাঁর রহস্য প্রকাশ করেন না, --^{—জহুরুল হক}
তিনি অদৃশ্যের জ্ঞানী। পরন্ত তিনি অদৃশ্য বিষয় কারও কাছে প্রকাশ করেন না।^{—মুহিউদ্দীন খান}

[He is] Knower of the unseen, and He does not disclose His [knowledge of the] unseen to anyone^{—Saheeh International}

إِلَّا مَنِ ارْتَضَىٰ مِنْ رَسُولٍ فَإِنَّهُ يَسْلُكُ مِنْ بَيْنِ يَدَيْهِ وَمِنْ خَلْفِهِ رَصَدًا۝

٧٢:٢٧

৭২:২৭

72:27

রসূলের মধ্যে যাঁকে তিনি মনোনয়ন করেছেন তাঁকে ব্যতীত, সেজন্য নিশ্চয় তিনি তাঁর সামনে ও তাঁর পেছনে প্রহরী নিয়োজিত করেন,^{—জহুরুল হক}
তাঁর মনোনীত রসূল ব্যতীত। তখন তিনি তার অগ্রে ও পশ্চাতে প্রহরী নিযুক্ত করেন^{—মুহিউদ্দীন খান}

Except whom He has approved of messengers, and indeed, He sends before each messenger and behind him observers^{—Saheeh International}

لِيَعْلَمَ أَنْ قَدْ أَبْلَغُوا رِسَالَاتِ رَبِّهِمْ وَأَحَاطَ بِمَا لَدَيْهِمْ وَأَحْصَىٰ كُلَّ شَيْءٍ عَدَدًا۝

٧٢:٢٨

৭২:২৮

72:28

যেন তিনি জানতে পারেন যে তাঁরা তাঁদের প্রভুর বাণীসমূহ পৌঁছে দিয়েছেন কি না, আর তিনি ঘিরে আছেন তাঁদের কাছের সব- কিছু, আর তিনি সব-কিছুর হিসাব রাখেন গোনে-গোনে।^{—জহুরুল হক}
যাতে আল্লাহ তা’আলা জেনে নেন যে, রসূলগণ তাঁদের পালনকর্তার পয়গাম পৌছিয়েছেন কি না। রসূলগণের কাছে যা আছে, তা তাঁর জ্ঞান-গোচর। তিনি সবকিছুর সংখ্যার হিসাব রাখেন।^{—মুহিউদ্দীন খান}

That he may know that they have conveyed the messages of their Lord; and He has encompassed whatever is with them and has enumerated all things in number.^{—Saheeh International}